যক্ষ্মা: ২৬ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
বাড়ছে
যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে ২৪ হাজারের বেশি রোগী
শনাক্ত হয়েছে বলে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অন্য যক্ষ্মারোগীসহ শিশু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যাও
বেড়েছে দেশে। যক্ষ্মা শনাক্তকরণের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এই
সংখ্যা বেশি চিহ্নিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। দেশে যক্ষ্মা
চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য আশাব্যঞ্জক হলেও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা
বা মাল্টি ড্রাগ রেজিসটেন্ট টিউবারকিউলোসিস (এমডিআর) নিয়ন্ত্রণ এখনো বড়
একটি চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে কারণ হলো ডায়াগনসিস সংক্রান্ত
জটিলতা।
এখনো এ ধরনের রোগীদের আনুমানিক ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে। আর সব ধরনের যক্ষ্মা চিকিৎসার আওতাবহির্ভূত থাকছে ২৬ শতাংশ রোগী।
তবে, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও জীবাণুযুক্ত ফুসফুসে যক্ষ্মার চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে ১২৪০ জন এমডিআর-টিবি শনাক্তকরণ হয়েছে। টিবি আক্রান্ত ৫ থেকে ১৫ শতাংশ রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
২০১৫ সালে যেখানে শিশু যক্ষ্মা রোগী ছিল ৭ হাজার ৯৮৪ জন, সেখানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে নতুন দাঁড়ায় ১০ হাজার ৬২ জন। শতকরা হিসেবে দুই বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৬ শতাংশের উপরে। শিশুসহ ২০১৬ সালে দেশে শনাক্ত হওয়া মোট যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ২৯০ জন। আর ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৮ জন। এই সংখ্যা ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জনে। গেল বছর শিশু (১৫ বছরের নিচে) রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ জন। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমডিআর রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে যে সংখ্যক জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকার কথা, তা নেই। তাছাড়া সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসাব্যয় বেশি বলে অনেকের পক্ষে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে এর সফলতা তুলনামূলক কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট-২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে যক্ষ্মার কারণে মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। প্রতি বছর প্রতি লাখে নতুন যক্ষ্মারোগী আক্রান্ত হচ্ছে ২২১ জন। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা চিকিৎসার সাফল্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরো অগ্রগামী। এক্ষেত্রে বিশ্বে যেখানে সাফল্যের হার ৫৪ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে সাফল্যের হার ৭৭ শতাংশ। এই রোগ নির্মূল করতে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্র্যাকসহ ২৭টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর আরো এক লাখের বেশি যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের বাইরে থাকে। এই হিসাব মিলে এই সংখ্যা ১৫ থেকে ১৭ লাখ উপরে হবে। আক্রান্তদের মধ্যে প্রতিজনের দুই বছর মেয়াদি চিকিৎসায় সরকারের খরচ হয় ৩ লাখ টাকা। টিবি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত রোগ। মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। যক্ষ্মা দু’প্রকার। ফুসফুসের যক্ষ্মা এবং ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা। যক্ষ্মা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কাশি ও জ্বর। ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়ায় খাওয়ার রুচি থাকে না। শরীরের যে কোনো স্থানে যক্ষ্মা রোগ হতে পারে। তবে শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ যক্ষ্মা রোগ ছড়ায় ফুসফুসে। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও চিকিৎসকের পরামর্শে এ রোগ ভালো হয়। তিন সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি হলে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া একান্ত জরুরি। তারা বলেন, কফে জীবাণুযুক্ত রোগীদের আরোগ্য লাভ করার সংখ্যাই বেশি। এটি ইতিবাচক বলে তারা মন্তব্য করেন। আর বাকি ৬ শতাংশ, যারা অনিয়মিত, লস টু ফলোআপ এবং মৃত্যুবরণ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) পরিসংখ্যান মতে, ২০১৫ সালে ২ লাখ ৬ হাজার ৯১৫ জন, ২০১৪ সালে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৭ জন, ২০১৩ সালে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৩ জন, ২০১২ সালে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৭ জন এবং ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৭ জন।
প্রতি বছর এই রোগে বিশ্বে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা বিশ্বে ১০টি মৃত্যুজনিত কারণগুলোর মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। তাই জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে অধিকতর সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার আদায়ে এই দিবসটির গুরুত্ব অনেক। সূত্র মতে, সরকার জিন এক্সপার্ট মেশিন (নতুন যক্ষ্মা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি) সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ২০৩টি জিন এক্সপার্ট এর মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলছে।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক এক অধ্যাপক বলেন, টিবি রোগীর একটি সংখ্যা শনাক্ত না হওয়ার বিষয়টি সঠিক। এজন্য টিবি রোগীর সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। তিনি বলেন, এটা প্রি-ডায়াগনসিস ও পোস্ট ডায়াগনসিস হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। যক্ষ্মা রোগীর যে সংখ্যাটা শনাক্তের বাইরে থাকছে এটা অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। এতে সমাজের ক্ষতি হবে। রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতির অপ্রতুলনতাও। সংশ্লিষ্টদের এদিকে নজর দিতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দেশে আগামীকাল বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করা হচ্ছে। এবারের যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।’
এখনো এ ধরনের রোগীদের আনুমানিক ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে থাকছে। আর সব ধরনের যক্ষ্মা চিকিৎসার আওতাবহির্ভূত থাকছে ২৬ শতাংশ রোগী।
তবে, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও জীবাণুযুক্ত ফুসফুসে যক্ষ্মার চিকিৎসায় সাফল্যের হার ৯৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে ১২৪০ জন এমডিআর-টিবি শনাক্তকরণ হয়েছে। টিবি আক্রান্ত ৫ থেকে ১৫ শতাংশ রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
২০১৫ সালে যেখানে শিশু যক্ষ্মা রোগী ছিল ৭ হাজার ৯৮৪ জন, সেখানে ২০১৭ সালে তা বেড়ে নতুন দাঁড়ায় ১০ হাজার ৬২ জন। শতকরা হিসেবে দুই বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ২৬ শতাংশের উপরে। শিশুসহ ২০১৬ সালে দেশে শনাক্ত হওয়া মোট যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ২৯০ জন। আর ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৬৮ জন। এই সংখ্যা ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জনে। গেল বছর শিশু (১৫ বছরের নিচে) রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ জন। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমডিআর রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে যে সংখ্যক জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকার কথা, তা নেই। তাছাড়া সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসাব্যয় বেশি বলে অনেকের পক্ষে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে এর সফলতা তুলনামূলক কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট-২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে যক্ষ্মার কারণে মৃত্যু হয় ৩৬ জনের। প্রতি বছর প্রতি লাখে নতুন যক্ষ্মারোগী আক্রান্ত হচ্ছে ২২১ জন। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা চিকিৎসার সাফল্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরো অগ্রগামী। এক্ষেত্রে বিশ্বে যেখানে সাফল্যের হার ৫৪ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে সাফল্যের হার ৭৭ শতাংশ। এই রোগ নির্মূল করতে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্র্যাকসহ ২৭টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর আরো এক লাখের বেশি যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের বাইরে থাকে। এই হিসাব মিলে এই সংখ্যা ১৫ থেকে ১৭ লাখ উপরে হবে। আক্রান্তদের মধ্যে প্রতিজনের দুই বছর মেয়াদি চিকিৎসায় সরকারের খরচ হয় ৩ লাখ টাকা। টিবি বিশেষজ্ঞরা বলেন, যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত রোগ। মানুষের হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। যক্ষ্মা দু’প্রকার। ফুসফুসের যক্ষ্মা এবং ফুসফুস বহির্ভূত যক্ষ্মা। যক্ষ্মা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কাশি ও জ্বর। ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়ায় খাওয়ার রুচি থাকে না। শরীরের যে কোনো স্থানে যক্ষ্মা রোগ হতে পারে। তবে শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ যক্ষ্মা রোগ ছড়ায় ফুসফুসে। নিয়মিত ওষুধ সেবন ও চিকিৎসকের পরামর্শে এ রোগ ভালো হয়। তিন সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি হলে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া একান্ত জরুরি। তারা বলেন, কফে জীবাণুযুক্ত রোগীদের আরোগ্য লাভ করার সংখ্যাই বেশি। এটি ইতিবাচক বলে তারা মন্তব্য করেন। আর বাকি ৬ শতাংশ, যারা অনিয়মিত, লস টু ফলোআপ এবং মৃত্যুবরণ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) পরিসংখ্যান মতে, ২০১৫ সালে ২ লাখ ৬ হাজার ৯১৫ জন, ২০১৪ সালে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৭ জন, ২০১৩ সালে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৩ জন, ২০১২ সালে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৭ জন এবং ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৭ জন।
প্রতি বছর এই রোগে বিশ্বে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা বিশ্বে ১০টি মৃত্যুজনিত কারণগুলোর মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। তাই জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে অধিকতর সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার আদায়ে এই দিবসটির গুরুত্ব অনেক। সূত্র মতে, সরকার জিন এক্সপার্ট মেশিন (নতুন যক্ষ্মা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি) সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে ২০৩টি জিন এক্সপার্ট এর মাধ্যমে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলছে।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক এক অধ্যাপক বলেন, টিবি রোগীর একটি সংখ্যা শনাক্ত না হওয়ার বিষয়টি সঠিক। এজন্য টিবি রোগীর সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। তিনি বলেন, এটা প্রি-ডায়াগনসিস ও পোস্ট ডায়াগনসিস হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। যক্ষ্মা রোগীর যে সংখ্যাটা শনাক্তের বাইরে থাকছে এটা অবশ্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। এতে সমাজের ক্ষতি হবে। রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতির অপ্রতুলনতাও। সংশ্লিষ্টদের এদিকে নজর দিতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দেশে আগামীকাল বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করা হচ্ছে। এবারের যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।’
No comments