গণপূর্তমন্ত্রীর সঙ্গে একমত মির্জা ফখরুল, তবে...
বনানীতে
এফ আর টাওয়ারে আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যাকান্ড’ বলে উল্লেখ করে
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে একমত
পোষণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তিনি এই
আগুনের ঘটনার জন্য সরকারের অবহেলা এবং দায়িত্বপালনে ব্যর্থতাকে দায়ী
করেছেন।
বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এফ আর টাওয়ারের সামনে আজ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা তো দেখছি যে, পরপর কয়েকটি এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটল। যেটা এক কথায় বলা যেতে পারে সরকারের অবহেলা, কর্তৃপক্ষের অবহেলা। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের অবহেলার কারণেই এসব ঘটেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০ তলা ভবন। বিল্ডিং কোড কোনোভাবে মানা হয়নি, বিল্ডিং তৈরিতে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। অগ্নিনির্বাপণের জন্য কোনোরকমের ব্যবস্থা নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে যে, ভবনের ভেতরে দিয়ে যে সিঁড়ি থাকার কথা সেই সিঁড়ি পর্যন্ত নেই। এ রকম বিল্ডিং কীভাবে নির্মাণের অনুমতি পায় আমরা সেটাই বুঝতে পারি না।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সকালে এখানে এসে বলেছেন যে, এটা দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। আপনি একে কী বলবেন, এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাকে অবশ্যই হত্যাকাণ্ড বলতে হবে। তারা (সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। যেখানে মানুষের জীবনের প্রশ্ন, সেখানে প্রত্যেকের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, একজন লোক লাফ দিয়ে পড়ল, আমরা দেখেছি যে উদ্ধারে যে নেট থাকে সে নেট ব্যবস্থা এখানে দেখিনি। পানি বিভিন্ন জায়গা থেকে জোগাড় করে আনতে হয়েছে। দেখুন বিল্ডিংগুলো ঘন ঘন। এসবের মাঝে গ্যাপ থাকার কথা, সেটাও নেই। এসব বিল্ডিং নির্মাণের জন্য যারা অনুমতি দেয়, যেমন রাজউকসহ অন্যান্য যারা আছে, তাদের অবহেলার কারণে এটা হয়েছে।
এই ঘটনার জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন, জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, এটা বলা মুশকিল হবে। সার্বিকভাবে সরকার পরিচালনা করছেন যারা, তাদের সার্বিক দায়িত্ব নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের এ বিষয়ে দায়-দায়িত্ব তো গ্রহণ করতেই হবে। তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি দেশে একটি নৈরাজ্যের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোনো জবাবদিহি নেই। সেই কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক একটি অগ্নিকাণ্ড, যা আমাদের সকলকে অত্যন্ত মর্মাহত করেছে। এটা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। এই যে মানুষগুলো চলে গেল, তাদের পরিবার-পরিজনদের বিষয়গুলো কী ভয়াবহ মর্মান্তিক। ওপরে সাফোকেশনে (শ্বাস বন্ধ হয়ে) তারা চলে গেলেন। এটা আমি মেনে নিতে পারি না, আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না এই ধরনের মৃত্যু।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল আরও বলেন, আজকে দুর্ভাগ্যজনক যে, পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেল কিন্তু সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে সার্বিক যে নৈরাজ্য, সেই নৈরাজ্যের জন্য এসব সংঘটিত হচ্ছে। একই সঙ্গে জবাবদিহির যে ব্যবস্থা নেই, সেই কারণে দুর্ঘটনাগুলো সংঘটিত হচ্ছে।
ফায়ার ব্রিগেডকে শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে আমাদের ফায়ার ব্রিগেডকে আরও বেশি শক্তিশালী করা দরকার। তাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি-সরঞ্জামাদি দরকার, যাতে মানুষজনকে রক্ষা করা যায়। আজকে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, এই যে বেসিক কতগুলো উদ্যোগ, তার প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আশা করব এরপরে হয়তো সরকার সজাগ হবে এবং তাদের যে বিভাগগুলো আছে তাদের অন্তত মানুষের জীবন রক্ষার স্বার্থে আন্তরিক হবে।
বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এফ আর টাওয়ারের সামনে আজ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা তো দেখছি যে, পরপর কয়েকটি এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটল। যেটা এক কথায় বলা যেতে পারে সরকারের অবহেলা, কর্তৃপক্ষের অবহেলা। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের অবহেলার কারণেই এসব ঘটেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২০ তলা ভবন। বিল্ডিং কোড কোনোভাবে মানা হয়নি, বিল্ডিং তৈরিতে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। অগ্নিনির্বাপণের জন্য কোনোরকমের ব্যবস্থা নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে যে, ভবনের ভেতরে দিয়ে যে সিঁড়ি থাকার কথা সেই সিঁড়ি পর্যন্ত নেই। এ রকম বিল্ডিং কীভাবে নির্মাণের অনুমতি পায় আমরা সেটাই বুঝতে পারি না।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সকালে এখানে এসে বলেছেন যে, এটা দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। আপনি একে কী বলবেন, এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাকে অবশ্যই হত্যাকাণ্ড বলতে হবে। তারা (সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। যেখানে মানুষের জীবনের প্রশ্ন, সেখানে প্রত্যেকের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, একজন লোক লাফ দিয়ে পড়ল, আমরা দেখেছি যে উদ্ধারে যে নেট থাকে সে নেট ব্যবস্থা এখানে দেখিনি। পানি বিভিন্ন জায়গা থেকে জোগাড় করে আনতে হয়েছে। দেখুন বিল্ডিংগুলো ঘন ঘন। এসবের মাঝে গ্যাপ থাকার কথা, সেটাও নেই। এসব বিল্ডিং নির্মাণের জন্য যারা অনুমতি দেয়, যেমন রাজউকসহ অন্যান্য যারা আছে, তাদের অবহেলার কারণে এটা হয়েছে।
এই ঘটনার জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন, জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, এটা বলা মুশকিল হবে। সার্বিকভাবে সরকার পরিচালনা করছেন যারা, তাদের সার্বিক দায়িত্ব নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের এ বিষয়ে দায়-দায়িত্ব তো গ্রহণ করতেই হবে। তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি দেশে একটি নৈরাজ্যের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোনো জবাবদিহি নেই। সেই কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক একটি অগ্নিকাণ্ড, যা আমাদের সকলকে অত্যন্ত মর্মাহত করেছে। এটা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। এই যে মানুষগুলো চলে গেল, তাদের পরিবার-পরিজনদের বিষয়গুলো কী ভয়াবহ মর্মান্তিক। ওপরে সাফোকেশনে (শ্বাস বন্ধ হয়ে) তারা চলে গেলেন। এটা আমি মেনে নিতে পারি না, আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না এই ধরনের মৃত্যু।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল আরও বলেন, আজকে দুর্ভাগ্যজনক যে, পরপর কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেল কিন্তু সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা আমার কাছে মনে হয়েছে সার্বিক যে নৈরাজ্য, সেই নৈরাজ্যের জন্য এসব সংঘটিত হচ্ছে। একই সঙ্গে জবাবদিহির যে ব্যবস্থা নেই, সেই কারণে দুর্ঘটনাগুলো সংঘটিত হচ্ছে।
ফায়ার ব্রিগেডকে শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে আমাদের ফায়ার ব্রিগেডকে আরও বেশি শক্তিশালী করা দরকার। তাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি-সরঞ্জামাদি দরকার, যাতে মানুষজনকে রক্ষা করা যায়। আজকে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, এই যে বেসিক কতগুলো উদ্যোগ, তার প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আশা করব এরপরে হয়তো সরকার সজাগ হবে এবং তাদের যে বিভাগগুলো আছে তাদের অন্তত মানুষের জীবন রক্ষার স্বার্থে আন্তরিক হবে।
No comments