লাশগুলো পড়েছিল রাস্তায়
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গাইল্যা পাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও
মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়ে ও মাইক্রো চালকসহ ৮ জন প্রাণ
হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরো ১১ জন।
বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান লোহাগাড়ার চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আলমগীর হোসেন।
পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, চুনতি জাঙ্গাইল্যা পাড়া এলাকায় রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাত জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও আরো একজনের পরিচয় মিলেনি।
পরিচয় পাওয়া সাত জন হলেন- কক্সবাজার জেলা সদরের পিএমখালীর ছনখোলা নয়াপাড়া এলাকার মো. জিসানের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (২০), তার মেয়ে সাদিয়া (২), তসলিমা আক্তারের মা হাসিনা মমতাজ (৪৫), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সিকদারপাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন সোহেল (৩০) ও বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে মো. সায়েম (২২)। আব্দুর শুক্কুর (২৮) ও চকরিয়ার উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ভাণ্ডু মিয়ার ছেলে মো. নুরুল হুদা (২৫)। নুরুল হুদা মাইক্রো চালক ছিলেন।
হাইওয়ে পুলিশের চিড়িংগা ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গাইল্যা পাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আর বাসটি রাস্তার বাঁ-পাশে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এক শিশু ও দুই নারীসহ আটজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। তাদের লাশগুলো রাস্তায় পড়েছিল। আহত অবস্থায় ১১ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসটি কক্সবাজার সড়কের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী তুলে পরিবহন করছিল। বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছেন। বাস ও মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সাতকানিয়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. ইদ্রিস জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইক্রো ও বাসের ভেতর থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, সকাল থেকে হাসপাতালে আহত ও নিহতদের স্বজনরা ভিড় করছে। যাদের পরিচয় মিলেছে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালে আরো ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান লোহাগাড়ার চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আলমগীর হোসেন।
পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, চুনতি জাঙ্গাইল্যা পাড়া এলাকায় রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাত জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও আরো একজনের পরিচয় মিলেনি।
পরিচয় পাওয়া সাত জন হলেন- কক্সবাজার জেলা সদরের পিএমখালীর ছনখোলা নয়াপাড়া এলাকার মো. জিসানের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (২০), তার মেয়ে সাদিয়া (২), তসলিমা আক্তারের মা হাসিনা মমতাজ (৪৫), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সিকদারপাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন সোহেল (৩০) ও বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে মো. সায়েম (২২)। আব্দুর শুক্কুর (২৮) ও চকরিয়ার উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ভাণ্ডু মিয়ার ছেলে মো. নুরুল হুদা (২৫)। নুরুল হুদা মাইক্রো চালক ছিলেন।
হাইওয়ে পুলিশের চিড়িংগা ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গাইল্যা পাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আর বাসটি রাস্তার বাঁ-পাশে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই এক শিশু ও দুই নারীসহ আটজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। তাদের লাশগুলো রাস্তায় পড়েছিল। আহত অবস্থায় ১১ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসটি কক্সবাজার সড়কের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রী তুলে পরিবহন করছিল। বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছেন। বাস ও মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সাতকানিয়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. ইদ্রিস জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইক্রো ও বাসের ভেতর থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, সকাল থেকে হাসপাতালে আহত ও নিহতদের স্বজনরা ভিড় করছে। যাদের পরিচয় মিলেছে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালে আরো ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
No comments