সেই গ্রামটি এখনো বিচ্ছিন্ন
‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট দেয়ায় রোষানলের শিকার তানোর উপজেলার কলমা গ্রামের মানুষ |
ভোটের
পর থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গ্রামটি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ
প্রতীকে ভোট দেয়ায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা গ্রামের মানুষ রোষানলের
মুখে পড়ে। অবরুদ্ধতা কাটাতে জেলা প্রশাসন সে গ্রামটি পরিদর্শনও করেছে। এতে
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও শঙ্কা কাটেনি। আওয়ামী লীগ এই অবরুদ্ধতাকে
গ্রামের অভ্যন্তরীণ বিবাদ বলে আখ্যা দিচ্ছে। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী)
আসনের কলমা গ্রামটিতে ২ হাজার ৪৩৫ জন ভোটার রয়েছেন।
গেল নির্বাচনে কলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী আমিনুল হক এবং ৬৫৩টি ভোট পেয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী।
মূলত এলাকাটি জনপ্রিয় বিএনপি নেতা শীষ মোহাম্মদের। একইসঙ্গে কলমা ইউনিয়নেই বসবাস এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর। ভোটের পর থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভোটের পরদিনই লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা অবস্থান নেন গ্রামের প্রবেশ পথ দুটিতে। বিল্লি এবং দরগাডাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নিয়ে তারা গ্রামের দিকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এমনকি বাইসাইকেল ও রিকশা-ভ্যানের চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
নাম না বলার শর্তে একজন গ্রামবাসী বলেন, তারা গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থকদেরও ছাড় দিচ্ছেন না। সবাইকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলামের টিনের বাড়ি ভাঙচুর করে। এরফলে বিএনপি সমর্থকরা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদকে ধাওয়া দেয়। এরপর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গ্রামটি।
এদিকে, যুবলীগ নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ অবরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ভোটের পর থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিএনপির লোকজনই ভোটের দিন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৫/৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। থানায় মামলাও হয়েছে। মূলত বিএনপির আক্রমণের ভয়ে লোকজন গ্রামের বাইরে আসছেন না। জেলা প্রশাসন তদন্ত করে গেছেন বলে জেনেছি। তারাও কোনো সত্যতা পায় নি।
আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আতাউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রামটি ঘুরে যাওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। নিরাপত্তার বিষয়ে কর্মকর্তাদের নিশ্চয়তা দেয়ার ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে, কলমা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সুলতানুজ্জামানের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গ্রামের ভেতর এবং গ্রামের বাইরে হামলা-মারধর অব্যাহত রেখেছে। জেলা প্রশাসক ও এসপি কলমা বাজারে সভা করে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু যারা নিরেট বিএনপি নেতাকর্মী তারা আতঙ্কের মাঝে আছেন।
গেল নির্বাচনে কলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে ১ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী আমিনুল হক এবং ৬৫৩টি ভোট পেয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী।
মূলত এলাকাটি জনপ্রিয় বিএনপি নেতা শীষ মোহাম্মদের। একইসঙ্গে কলমা ইউনিয়নেই বসবাস এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর। ভোটের পর থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ভোটের পরদিনই লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরা অবস্থান নেন গ্রামের প্রবেশ পথ দুটিতে। বিল্লি এবং দরগাডাঙ্গা মোড়ে অবস্থান নিয়ে তারা গ্রামের দিকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এমনকি বাইসাইকেল ও রিকশা-ভ্যানের চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়।
নাম না বলার শর্তে একজন গ্রামবাসী বলেন, তারা গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থকদেরও ছাড় দিচ্ছেন না। সবাইকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলামের টিনের বাড়ি ভাঙচুর করে। এরফলে বিএনপি সমর্থকরা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদকে ধাওয়া দেয়। এরপর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গ্রামটি।
এদিকে, যুবলীগ নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ অবরোধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ভোটের পর থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিএনপির লোকজনই ভোটের দিন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৫/৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। থানায় মামলাও হয়েছে। মূলত বিএনপির আক্রমণের ভয়ে লোকজন গ্রামের বাইরে আসছেন না। জেলা প্রশাসন তদন্ত করে গেছেন বলে জেনেছি। তারাও কোনো সত্যতা পায় নি।
আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আতাউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রামটি ঘুরে যাওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। নিরাপত্তার বিষয়ে কর্মকর্তাদের নিশ্চয়তা দেয়ার ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে, কলমা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সুলতানুজ্জামানের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গ্রামের ভেতর এবং গ্রামের বাইরে হামলা-মারধর অব্যাহত রেখেছে। জেলা প্রশাসক ও এসপি কলমা বাজারে সভা করে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু যারা নিরেট বিএনপি নেতাকর্মী তারা আতঙ্কের মাঝে আছেন।
No comments