আমস্টারডামের যৌনদাসী
সারাহ
ফোরসিথের বয়স তখন সবে ১৯ বছর। ভাল বেতানের প্রলোভনে তিনি ছুটে গেলেন
আমস্টারডামে। উদ্দেশ্য একটি নার্সারিতে নার্স হিসেবে তাকে কাজ করতে হবে।
কিন্তু আমস্টারডামে পৌঁছার পরই তার চোখ উল্টে গেল। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে
তাকে অপহরণ করা হলো। তারপর বিক্রি করে দেয়া হলো যৌনদাসী হিসেবে। সেই থেকে
শুরু হয় তার অন্ধকার জীবন। প্রতি রাতে অচেনা, অজানা পুরুষের যৌনক্ষুধা
নিবারণ করতে হয় তাকে।
কোনো আপত্তি সেখানে কাজ করে না। বাধ্য হয়ে তাকে প্রতি রাতে বিছানায় নিতে হয় কমপক্ষে ২০ জন করে পুরুষকে। তারা সারার শরীরটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে থাকে। অসীম সেই যন্ত্রণা বহুদিন তিনি বয়ে বেরিয়েছেন। এখনও চোখ বন্ধ করলে দেখতে পান সেইসব দৃশ্য। তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে যেন কোনো হরর ছবির দৃশ্য, যেখানে পিশাচরা কোনো নারীর দেহ নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে।
সারাহ ফোরসিথ বৃটিশ নারী। বর্তমানে তার বয়স ৪২ বছর। তাকে যখন আমস্টারডামের নিষিদ্ধপল্লীতে নেয়া হয় তখন তিনি তার মতো অনেককেই দেখতে পান। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের আরেক যুবতীর কথা তার খুব মনে আছে। তার নামও সারাহ। এই সারাহকে চিহ্নিত করতে আমরা এখানে সারাহ থাই হিসেবে তাকে পরিচয় দিচ্ছি। কি ঘটেছিল সারাহ থাইয়ের ভাগ্যে তার বর্ণনা দিয়েছেন সারাহ ফোরসিথ। সারাহ থাইকে একটি ওয়ারহাউসের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন নি বলে তাকে গুলি করে হত্যা করে তার রক্ষকরা। সেই ভয়াবহ হত্যার দৃশ্য তারা ক্যামেরাবন্দি করে। সারাহ ফোরসিথ বলেন, গুলি করে যখন সারাহ থাইকে হত্যা করা হলো তার মুখটা যেন বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল। আরেকটি বুলেট তার মাথা ও কাঁধকে বিদীর্ণ করে ছিন্নভিন্ন করে দিলো। সেই অন্ধকার দিনগুলো কথা নিজের লেখা ‘স্লেভ গার্ল’-এ লিখেছেন সারাহ ফোরসিথ।
১৯৯০ এর দশকের মধ্যভাব। একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয় আমস্টারডামে একটি নার্সারিতে মানসম্পন্ন নার্স নিয়োগ করা হবে। তাতে আবেদন করেন বৃটেনের সারাহ ফোরসিথ। তারপর ধারাবাহিকতায় তিনি পৌঁছে যান আমস্টারডামে। শিপোল এয়ারপোর্টে তাকে গ্রহণ করে বৃটেনের ক্রিমিনাল জন রেসি। তার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মুখের ভিতর বন্ধুকের নল ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এ সম্পর্কে সারা ফোরসিথ বলেন, বিমান থেকে নামার পর হেঁটে গেলাম এরাইভাল হলে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে পরিবেশটা পুরোপুরি উপযুক্ত মনে হচ্ছিল না। তখন আমার ভিতর একটি আর্তনাদই হচ্ছে- না, এমন কাজ করো না। এমন সময় জন আমাকে বললো, যদি আমি একটু ত্যাড়াবাঁকা করি তাহলে আমাকে গুলি করে হত্যা করা হবে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সারাহ ফোরসিথকে পতিতালয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করা হলো। এ সম্পর্কে সারা ফোরসিথ বলেন, প্রথমবারের পর আমি অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপছিলাম। আমার শরীর যেন ভূমিকম্পের মতো কেঁপে কেঁপে উঠছিল। মনে হচ্ছিল আমি কোনো অন্ধকার গহ্বরে নিপতিত হচ্ছি। যেখানে কোনো শেষ নেই। আছে শুধু অন্ধকার। ওই সময়টাতে আমি যে আর সারাহ ফোরসিথ ছিলাম না। সারাহ যেন তখন মারা গেছে এবং বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে।
এক মাস পরের কথা সারাহ ফোরসিথকে রিসি বললো তাকে কিনে নিয়েছে যুগোস্লাভিয়ার এক দেহ ব্যবসার কারবারী। সেই তাকে রেখেছে এমন একটি বাড়িতে যা কুকুরে ভর্তি। সে চায় সারাহ যেন প্রতি রাতে ১৮ জন পুরুষের মনোরঞ্জন করেন। এই ধকল কাটিয়ে উঠতে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন সারা ফোরসিথ। তাতে বেশ অর্থ খরচ হতে থাকে তার। কিন্তু এর ফলে তার দাসত্ব বেড়ে যায়। তিনি অধিক পরিমাণে পুরুষের মনোরঞ্জন করতে পারেন।
সারা বুঝে ফেলেন তাকে এখান থেকে বাঁচতে হলে পালাতে হবে। তাকে একজন যৌন ব্যবসায়ী গ্রেগর বলেছিল, সারাহ থাইকে যে হত্যা করা হয়েছে এটা ছিল একটি ¯œাফ পর্নো ছবির অংশ। ¯œাফ পর্নোছবি হলো এমন এক ছবি যেখানে রগরগে যৌন দৃশ্যে অংশগ্রহণকারীদের একজনকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ওই কাহিনী থেকে তিনি শিখতে পেয়েছেন ভয়াবহতা।
এক পর্যায়ে আমস্টারডাম থেকে পলায়ন করেন সারাহ ফোরসিথ। তারপর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভয়াবহতা তাকে পিছু ছাড়ছে না।
কোনো আপত্তি সেখানে কাজ করে না। বাধ্য হয়ে তাকে প্রতি রাতে বিছানায় নিতে হয় কমপক্ষে ২০ জন করে পুরুষকে। তারা সারার শরীরটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেতে থাকে। অসীম সেই যন্ত্রণা বহুদিন তিনি বয়ে বেরিয়েছেন। এখনও চোখ বন্ধ করলে দেখতে পান সেইসব দৃশ্য। তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে যেন কোনো হরর ছবির দৃশ্য, যেখানে পিশাচরা কোনো নারীর দেহ নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে।
সারাহ ফোরসিথ বৃটিশ নারী। বর্তমানে তার বয়স ৪২ বছর। তাকে যখন আমস্টারডামের নিষিদ্ধপল্লীতে নেয়া হয় তখন তিনি তার মতো অনেককেই দেখতে পান। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের আরেক যুবতীর কথা তার খুব মনে আছে। তার নামও সারাহ। এই সারাহকে চিহ্নিত করতে আমরা এখানে সারাহ থাই হিসেবে তাকে পরিচয় দিচ্ছি। কি ঘটেছিল সারাহ থাইয়ের ভাগ্যে তার বর্ণনা দিয়েছেন সারাহ ফোরসিথ। সারাহ থাইকে একটি ওয়ারহাউসের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন নি বলে তাকে গুলি করে হত্যা করে তার রক্ষকরা। সেই ভয়াবহ হত্যার দৃশ্য তারা ক্যামেরাবন্দি করে। সারাহ ফোরসিথ বলেন, গুলি করে যখন সারাহ থাইকে হত্যা করা হলো তার মুখটা যেন বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল। আরেকটি বুলেট তার মাথা ও কাঁধকে বিদীর্ণ করে ছিন্নভিন্ন করে দিলো। সেই অন্ধকার দিনগুলো কথা নিজের লেখা ‘স্লেভ গার্ল’-এ লিখেছেন সারাহ ফোরসিথ।
১৯৯০ এর দশকের মধ্যভাব। একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয় আমস্টারডামে একটি নার্সারিতে মানসম্পন্ন নার্স নিয়োগ করা হবে। তাতে আবেদন করেন বৃটেনের সারাহ ফোরসিথ। তারপর ধারাবাহিকতায় তিনি পৌঁছে যান আমস্টারডামে। শিপোল এয়ারপোর্টে তাকে গ্রহণ করে বৃটেনের ক্রিমিনাল জন রেসি। তার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মুখের ভিতর বন্ধুকের নল ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এ সম্পর্কে সারা ফোরসিথ বলেন, বিমান থেকে নামার পর হেঁটে গেলাম এরাইভাল হলে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে পরিবেশটা পুরোপুরি উপযুক্ত মনে হচ্ছিল না। তখন আমার ভিতর একটি আর্তনাদই হচ্ছে- না, এমন কাজ করো না। এমন সময় জন আমাকে বললো, যদি আমি একটু ত্যাড়াবাঁকা করি তাহলে আমাকে গুলি করে হত্যা করা হবে।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সারাহ ফোরসিথকে পতিতালয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করা হলো। এ সম্পর্কে সারা ফোরসিথ বলেন, প্রথমবারের পর আমি অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপছিলাম। আমার শরীর যেন ভূমিকম্পের মতো কেঁপে কেঁপে উঠছিল। মনে হচ্ছিল আমি কোনো অন্ধকার গহ্বরে নিপতিত হচ্ছি। যেখানে কোনো শেষ নেই। আছে শুধু অন্ধকার। ওই সময়টাতে আমি যে আর সারাহ ফোরসিথ ছিলাম না। সারাহ যেন তখন মারা গেছে এবং বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে।
এক মাস পরের কথা সারাহ ফোরসিথকে রিসি বললো তাকে কিনে নিয়েছে যুগোস্লাভিয়ার এক দেহ ব্যবসার কারবারী। সেই তাকে রেখেছে এমন একটি বাড়িতে যা কুকুরে ভর্তি। সে চায় সারাহ যেন প্রতি রাতে ১৮ জন পুরুষের মনোরঞ্জন করেন। এই ধকল কাটিয়ে উঠতে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন সারা ফোরসিথ। তাতে বেশ অর্থ খরচ হতে থাকে তার। কিন্তু এর ফলে তার দাসত্ব বেড়ে যায়। তিনি অধিক পরিমাণে পুরুষের মনোরঞ্জন করতে পারেন।
সারা বুঝে ফেলেন তাকে এখান থেকে বাঁচতে হলে পালাতে হবে। তাকে একজন যৌন ব্যবসায়ী গ্রেগর বলেছিল, সারাহ থাইকে যে হত্যা করা হয়েছে এটা ছিল একটি ¯œাফ পর্নো ছবির অংশ। ¯œাফ পর্নোছবি হলো এমন এক ছবি যেখানে রগরগে যৌন দৃশ্যে অংশগ্রহণকারীদের একজনকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ওই কাহিনী থেকে তিনি শিখতে পেয়েছেন ভয়াবহতা।
এক পর্যায়ে আমস্টারডাম থেকে পলায়ন করেন সারাহ ফোরসিথ। তারপর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ভয়াবহতা তাকে পিছু ছাড়ছে না।
No comments