কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট: সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে চাপ প্রয়োগের আহ্বান
নির্বাচনের
অনিয়ম ও সহিংসতার তথ্য কূটনীতিকদের জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
প্রায় দেড় ঘণ্টার এ বৈঠকে ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ৩০টি দেশের প্রতিনিধি
অংশ নেন। বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, একটি সুষ্ঠু
নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে কূটনীতিকদের কাছে আবেদন রেখেছি।
তিনি বলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের অনিয়ম ও সহিংসতার তথ্য উপাত্ত
আমরা কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেছি। তারা এগুলো একসেপ্ট করেছেন।
কারণ তারা সেগুলো স্বচক্ষে দেখেছেন।
অর্থাৎ এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। তিনি বলেন, আমরা বলেছি সব রাষ্ট্র আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। উনারা বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চেয়েছেন। এ দেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে থাকতে পারে, শান্তি শৃঙ্খলা থাকে ও আইনের শাসন থাকে সেটাই চেয়েছেন। আমরা বলেছি, কূটনীতিকরা আমাদের জন্য যেটা চান আমরাও সেটাই চাই। মানুষের গণমত যাচাই করলে দেখা যাবে তারাও চায়- দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকুক। মানুষ কাজ-কর্ম করে বেঁচে থাকুক। তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর ভালোমতো নির্বাচন হলে সেই জিনিসটাই প্রতিষ্ঠা করা যেত। এখন আমাদের কথা হলো- নির্বাচনে যা হয়েছে, হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে একটা সুন্দর সমাজ গড়ার সুযোগ দেয়া হোক। আমরা কূটনীতিকদের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার আবেদন রেখেছি। তারা না বলেন নি।
আমরা বলেছি, সবাই যেন গঠনমূলক একটি ভূমিকা রাখতে পারি সেই জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা না হলেও তো যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারেন। তারা সরকারকে বলতে পারেন যে, আমরা সবাই দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এবং সরকারের পক্ষে। কারো বিপক্ষে না। তাই সবার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমরা মনে করি এখানে শান্তিপূর্ণভাবে আরেকটি নির্বাচন হলে, তার যে ফলাফল হবে- এর ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার এদেশে থাকুক। সেই সরকার যেন মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে। ড. কামাল বলেন, এই যুক্তির পর সরকারের তো অন্য কিছু বলার কথা না। কারণ আমরা সবাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
বৈঠক শেষে বের হয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নির্বাচনের অনিয়মের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে। এই সংসদে ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন কি না জানতে চেয়েছেন। আমাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে এখন পর্যন্ত শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে আছি। ভবিষ্যতে শপথ নিলে সবাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার গঠন করেছে তারা একটা মন্ত্রিসভা গঠন করবে এটাই নিয়ম। কিন্তু আমরা মনে করছি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে নিয়ম আছে, মিটিং মিছিল অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করতে চাই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসতে চাই। যেমন কমিউনিস্ট পার্টি ও ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই। সবাই মিলিতভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তিনি বলেন, আমরা ভোটের নানা অনিয়মের ভিডিও তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছি। কূটনীতিকরা বলেছেন, নির্বাচনটা মোটেও ফেয়ার হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছেন ঐক্যফ্রন্ট। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, উনারা মিটিং মিছিলও করতে দেবেন না। কথাও বলতে দেবেন না। তাহলে বলে দিক- আমরা কথা বলতে পারব না। তারাই শুধু রাজনীতি করবে। তাদের এখন গবেষণা করে এমন একটি ওষুধ বের করা উচিত, যেটা খেয়ে আমরা আর কোনো কথা বলতে পারব না। তাহলে উনারা মনের সুখে ‘গণতন্ত্র’ চালিয়ে যেতে পারবেন।
এর আগে বিকাল সোয়া ৪টায় কূটনীতিকদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীকে অংশ নেয়া প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, আফরোজা আব্বাস, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা অংশ নেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড আর্ল মিলারসহ যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, রাশিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কোরিয়া, ইউএনডিপি, সুইডেন, স্পেন, জার্মানি, নরওয়ে, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মরক্কো, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের অনিয়ম ও নির্বাচনের আগে এবং পরের ঘটনা তুলে ধরেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সারা দেশে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন। কূটনীতিকদের কাছে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ভিডিওর সিডি ও তথ্য প্রমাণের কাগজপত্রও তাদের সরবরাহ করা হয়।
কারণ তারা সেগুলো স্বচক্ষে দেখেছেন।
অর্থাৎ এটা নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। তিনি বলেন, আমরা বলেছি সব রাষ্ট্র আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। উনারা বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চেয়েছেন। এ দেশের মানুষ যেন সুন্দরভাবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে থাকতে পারে, শান্তি শৃঙ্খলা থাকে ও আইনের শাসন থাকে সেটাই চেয়েছেন। আমরা বলেছি, কূটনীতিকরা আমাদের জন্য যেটা চান আমরাও সেটাই চাই। মানুষের গণমত যাচাই করলে দেখা যাবে তারাও চায়- দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকুক। মানুষ কাজ-কর্ম করে বেঁচে থাকুক। তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর ভালোমতো নির্বাচন হলে সেই জিনিসটাই প্রতিষ্ঠা করা যেত। এখন আমাদের কথা হলো- নির্বাচনে যা হয়েছে, হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন দিয়ে একটা সুন্দর সমাজ গড়ার সুযোগ দেয়া হোক। আমরা কূটনীতিকদের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে চাপ প্রয়োগ করার আবেদন রেখেছি। তারা না বলেন নি।
আমরা বলেছি, সবাই যেন গঠনমূলক একটি ভূমিকা রাখতে পারি সেই জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ করা না হলেও তো যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারেন। তারা সরকারকে বলতে পারেন যে, আমরা সবাই দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এবং সরকারের পক্ষে। কারো বিপক্ষে না। তাই সবার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমরা মনে করি এখানে শান্তিপূর্ণভাবে আরেকটি নির্বাচন হলে, তার যে ফলাফল হবে- এর ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার এদেশে থাকুক। সেই সরকার যেন মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে। ড. কামাল বলেন, এই যুক্তির পর সরকারের তো অন্য কিছু বলার কথা না। কারণ আমরা সবাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
বৈঠক শেষে বের হয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নির্বাচনের অনিয়মের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে। এই সংসদে ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন কি না জানতে চেয়েছেন। আমাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে এখন পর্যন্ত শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে আছি। ভবিষ্যতে শপথ নিলে সবাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার গঠন করেছে তারা একটা মন্ত্রিসভা গঠন করবে এটাই নিয়ম। কিন্তু আমরা মনে করছি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে নিয়ম আছে, মিটিং মিছিল অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করতে চাই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসতে চাই। যেমন কমিউনিস্ট পার্টি ও ইসলামিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই। সবাই মিলিতভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তিনি বলেন, আমরা ভোটের নানা অনিয়মের ভিডিও তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছি। কূটনীতিকরা বলেছেন, নির্বাচনটা মোটেও ফেয়ার হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছেন ঐক্যফ্রন্ট। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, উনারা মিটিং মিছিলও করতে দেবেন না। কথাও বলতে দেবেন না। তাহলে বলে দিক- আমরা কথা বলতে পারব না। তারাই শুধু রাজনীতি করবে। তাদের এখন গবেষণা করে এমন একটি ওষুধ বের করা উচিত, যেটা খেয়ে আমরা আর কোনো কথা বলতে পারব না। তাহলে উনারা মনের সুখে ‘গণতন্ত্র’ চালিয়ে যেতে পারবেন।
এর আগে বিকাল সোয়া ৪টায় কূটনীতিকদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীকে অংশ নেয়া প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, আফরোজা আব্বাস, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা অংশ নেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড আর্ল মিলারসহ যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, রাশিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, কোরিয়া, ইউএনডিপি, সুইডেন, স্পেন, জার্মানি, নরওয়ে, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মরক্কো, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের অনিয়ম ও নির্বাচনের আগে এবং পরের ঘটনা তুলে ধরেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সারা দেশে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন। কূটনীতিকদের কাছে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ভিডিওর সিডি ও তথ্য প্রমাণের কাগজপত্রও তাদের সরবরাহ করা হয়।
No comments