বিজেপি কেন আবারো বাবরি মসজিদের প্রসঙ্গ তুলছে! by মিসবাহুল হক
২৬
বছর আগে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বিখ্যাত বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে হিন্দু
কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদীরা। যা ভারতে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে
দেয়। এতে নিহত হন প্রায় ২ হাজার মানুষ। কট্টরপন্থি হিন্দুদের দাবি, মুঘল
সম্রাট বাবর একটি রামমন্দিরের জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। মূলত এর
মাধ্যমে তিনি হিন্দুদের মর্যাদার দিক দিয়ে খাটো করতে চেয়েছেন। তারা যুক্তি
দেখান, বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা শুধু প্রতিশোধের বিষয়ই না, বরং এটি হিন্দুদের
ধর্মীয় দায়িত্বও। বলা হয়, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি),
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলসহ বিভিন্ন
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসে জড়িতদের সরাসরি
নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আর এতে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিজেপি নেতা
লালকৃষ্ণ আদভানির বিরুদ্ধে।
তিনি হিন্দু জাতীয়তাবাদী এই দলের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও। পরে এই আদভানি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। বর্তমানে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চলছে।
মূলত বিজেপি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে ব্যবহার করে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সমর্থন নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা চালায়। আদভানি যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পর্দার আড়ালে থেকে এই আন্দোলন পরিচালনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় রাম মন্দির ধ্বংসের মাধ্যমে তিনি যে রাজনৈতিক পুঁজি অর্জন করেছিলেন, পরে তা ব্যবহার করে মোদি নিজেকে জাতীয় নেতৃত্ব এবং চূড়ান্তভাবে প্রধানমন্ত্রিত্বের দিকে ধাবিত করেন।
এখন নরেন্দ্র মোদি ও তার দল অযোধ্যার সেই বিতর্কের আগুন আবারো জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। যা ভারতকে নতুন করে নজিরবিহীন বিভক্তি ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি ভালো করেই জানেন যে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ইসলামিফোবিয়াকে কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে মসজিদটি ধ্বংস করার পরেও ওই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের পিভি নরসিমা রাও বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মসজিদ পুনর্নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমন অবস্থায় বিজেপি সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। মূলত, মসজিদ ধ্বংস করার ঘটনায় দলটি যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতেই এই পদক্ষেপ নেয় তারা। তাদের এ কৌশল বেশ কাজেও লেগেছে।
যা হোক, মসজিদ নিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে একটি মামলা চলছে। পরে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে তোলা হয়। বিজেপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে একমত যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক। অনেক বছর ধরেই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আটকে আছে। কিন্তু এ বছরে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত করার জন্য প্রসিদ্ধ বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী সম্প্রতি তাগাদা দেন। এখন ক্ষমতাসীন দল যত দ্রুত সম্ভব অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করার মনোভাব দেখাচ্ছে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। বিজেপি দ্রুত মামলার রায় দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। কেননা সম্প্রতি দেশজুড়ে তাদের সমর্থন ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন একেবারেই নিকটে। কৃষক অসন্তোষ, তরুণদের বেকারত্ব বৃদ্ধিসহ বিতর্কিত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর কারণে গত কয়েক বছরে নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা অনেকটাই কমে গেছে। সরকারবিরোধী এই মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়া রোধ করতে এবং আরেকটি জাতীয় নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য বিজেপি ও তার মূল দল আরএসএস এখন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ওপর মনোনিবেশ করেছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের এই চেতনাকে পুঁজি করেই ১৯৯৮ সালে বিজেপি প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।
বিধান সভা নির্বাচনের সময়েও বিজেপি অযোধ্যার বিতর্ককে প্রচারণায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভয়ভীতি দেখিয়ে বিচারকদের হিন্দুদের পক্ষে রায় দেয়া থেকে বিরত রেখেছে। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বাবরি মসজিদ ইস্যুতে এক ইঞ্চিও ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিজেপি ও আরএসএসের নেতারা বলছেন, আদালতকে অবশ্যই হিন্দুদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে রায় দিতে হবে। কিন্তু বিজেপি’র এত প্রচারণার পরেও প্রধান তিনটি রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনেই বিজেপি হেরেছে। এগুলো হলো- রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ। তবে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে একেবারেই লজ্জাজনক পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করে হেরেছে দলটি। এ থেকে বোঝা যায়, ক্রমবর্ধনশীল জন-অসন্তোষ ঠেকাতে বিজেপি’র হিন্দু জাতীয়তাবাদকে ব্যবহারের কৌশল কিছুটা হলেও কাজ করছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হিন্দুদের জন্য একটি আবেগের বিষয়। এই আবেগের কারণেই হিন্দুদের অনেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও যে দল এসব দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তাদেরকে উপেক্ষা করতে পারে। এমন সম্ভাবনা প্রবল। কেননা, বেশিরভাগ হিন্দু মনে করে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেয়া তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। এ ছাড়া তাদের অনেকে মনে করে- মুসলিমরা মোঘল সম্রাট বাবরের উত্তরসূরি, তাদেরকে এখন হিন্দুদের অধীনস্থ হয়ে থাকতে হবে। হিন্দুদের এই মনোভাবকেই ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। আর সে জন্যই জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ও এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রক্রিয়া গতিশীল করছে বিজেপি। বিজেপিবিরোধী ও ভারতের একতা, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে বিশ্বাসী সবাইকে এ বিতর্কের বিষয়ে পূর্বের চেয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। (আল জাজিরা অবলম্বনে)
তিনি হিন্দু জাতীয়তাবাদী এই দলের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও। পরে এই আদভানি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী হন। বর্তমানে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চলছে।
মূলত বিজেপি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে ব্যবহার করে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সমর্থন নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা চালায়। আদভানি যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পর্দার আড়ালে থেকে এই আন্দোলন পরিচালনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অযোধ্যায় রাম মন্দির ধ্বংসের মাধ্যমে তিনি যে রাজনৈতিক পুঁজি অর্জন করেছিলেন, পরে তা ব্যবহার করে মোদি নিজেকে জাতীয় নেতৃত্ব এবং চূড়ান্তভাবে প্রধানমন্ত্রিত্বের দিকে ধাবিত করেন।
এখন নরেন্দ্র মোদি ও তার দল অযোধ্যার সেই বিতর্কের আগুন আবারো জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। যা ভারতকে নতুন করে নজিরবিহীন বিভক্তি ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি ভালো করেই জানেন যে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ইসলামিফোবিয়াকে কার্যকর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে মসজিদটি ধ্বংস করার পরেও ওই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের পিভি নরসিমা রাও বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মসজিদ পুনর্নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমন অবস্থায় বিজেপি সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকাশ করে। মূলত, মসজিদ ধ্বংস করার ঘটনায় দলটি যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতেই এই পদক্ষেপ নেয় তারা। তাদের এ কৌশল বেশ কাজেও লেগেছে।
যা হোক, মসজিদ নিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে একটি মামলা চলছে। পরে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে তোলা হয়। বিজেপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে একমত যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের রায় পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক। অনেক বছর ধরেই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে আটকে আছে। কিন্তু এ বছরে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত করার জন্য প্রসিদ্ধ বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী সম্প্রতি তাগাদা দেন। এখন ক্ষমতাসীন দল যত দ্রুত সম্ভব অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করার মনোভাব দেখাচ্ছে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। বিজেপি দ্রুত মামলার রায় দেয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। কেননা সম্প্রতি দেশজুড়ে তাদের সমর্থন ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন একেবারেই নিকটে। কৃষক অসন্তোষ, তরুণদের বেকারত্ব বৃদ্ধিসহ বিতর্কিত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর কারণে গত কয়েক বছরে নরেন্দ্র মোদির সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা অনেকটাই কমে গেছে। সরকারবিরোধী এই মনোভাব বৃদ্ধি পাওয়া রোধ করতে এবং আরেকটি জাতীয় নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য বিজেপি ও তার মূল দল আরএসএস এখন অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ওপর মনোনিবেশ করেছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের এই চেতনাকে পুঁজি করেই ১৯৯৮ সালে বিজেপি প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।
বিধান সভা নির্বাচনের সময়েও বিজেপি অযোধ্যার বিতর্ককে প্রচারণায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভয়ভীতি দেখিয়ে বিচারকদের হিন্দুদের পক্ষে রায় দেয়া থেকে বিরত রেখেছে। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বাবরি মসজিদ ইস্যুতে এক ইঞ্চিও ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিজেপি ও আরএসএসের নেতারা বলছেন, আদালতকে অবশ্যই হিন্দুদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে রায় দিতে হবে। কিন্তু বিজেপি’র এত প্রচারণার পরেও প্রধান তিনটি রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনেই বিজেপি হেরেছে। এগুলো হলো- রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ। তবে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে একেবারেই লজ্জাজনক পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ এই দুই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করে হেরেছে দলটি। এ থেকে বোঝা যায়, ক্রমবর্ধনশীল জন-অসন্তোষ ঠেকাতে বিজেপি’র হিন্দু জাতীয়তাবাদকে ব্যবহারের কৌশল কিছুটা হলেও কাজ করছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হিন্দুদের জন্য একটি আবেগের বিষয়। এই আবেগের কারণেই হিন্দুদের অনেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও যে দল এসব দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তাদেরকে উপেক্ষা করতে পারে। এমন সম্ভাবনা প্রবল। কেননা, বেশিরভাগ হিন্দু মনে করে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেয়া তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। এ ছাড়া তাদের অনেকে মনে করে- মুসলিমরা মোঘল সম্রাট বাবরের উত্তরসূরি, তাদেরকে এখন হিন্দুদের অধীনস্থ হয়ে থাকতে হবে। হিন্দুদের এই মনোভাবকেই ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। আর সে জন্যই জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ও এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রক্রিয়া গতিশীল করছে বিজেপি। বিজেপিবিরোধী ও ভারতের একতা, সমৃদ্ধি ও কল্যাণে বিশ্বাসী সবাইকে এ বিতর্কের বিষয়ে পূর্বের চেয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। (আল জাজিরা অবলম্বনে)
No comments