রাণীনগরে কুমড়া বড়ি তৈরির ধুম
গ্রামে
প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ফাঁকা রোদ মাখানো বিভিন্ন স্থানে চাটাইয়ের ওপর
সারি সারি করে বিছানো সাদা রঙের মাষকলাইয়ের তৈরি কুমড়া বড়ি শুকানো হচ্ছে।
কেউ কেউ আবার শুকনো বড়িগুলো বাঁশের চাটাই থেকে খুলছে আবার কেউ সেই বড়ি
সৎকার করছে এরকম অনেক দৃশ্য চোখে পড়বে। এহলো মাষকলাইয়ের কুমড়া বড়ি তৈরির
গ্রামের বর্ণনা। বর্তমানে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়া বড়ি
তৈরির ধুম পড়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন
স্থানে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছেন
কারিগররা।
সকাল থেকেই এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির উঠানে উঠানে চলে এই বড়ি তৈরির কাজ। বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে ছোট-বড় ও বয়স্ক লোক সবাই মিলে তৈরি করছে সুস্বাদু ও অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই কুমড়া বড়ি। এ হলো নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের খট্টেশ্বর গ্রামের বর্ণনা।
এই গ্রামে শতাধিক বছর পূর্ব থেকেই বিখ্যাত এই বড়ি তৈরি করা হয়। তাই আজো এখানকার কারিগররা শত বাধা উপেক্ষা করে পৈতৃক এই পেশাটিকে ধরে রেখেছে। সারা বছর টুকটাক তৈরি হলেও শীত মৌসুমে এই বড়ি তৈরির ধূম পড়ে যায়। এই বড়ি মূলত শীতকালের একটি আকর্ষণীয় খাবার পণ্য। বর্তমানে এই গ্রামের সকলেই সুস্বাদু কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত মৌসুমে এই বড়ির চাহিদা বেশি থাকায় এখন এই বড়ি তৈরির পল্লীতে বড়ি তৈরি নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। অর্ধেক রাত থেকে শুরু হয় এই বিখ্যাত বড়ি তৈরির কাজ। আর এই গ্রাম ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিজস্ব একটি ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার হলো এই মাষকলাইয়ের কুমড়া বড়ি। এটি শীত মৌসুমের একটি বিশেষ খাবার। শীতের ৬ মাসই মূলত এই বড়িটি তৈরি করা হয়ে থাকে। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। বড়িতে রয়েছে অধিক মানের পুষ্টি। বড়ি তৈরির সব উপকরণই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পণ্য। তাই এই বড়িতে ভেজাল বলে কিছুই নেই। শীত মৌসুমে যেকোনো তরকারিতে এই কুমড়া বড়ি যোগ করলে আলাদা একটি স্বাদ। উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র সদর ইউনিয়নের খট্টেশ্বর গ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যপূর্ণ এই কুমড়া বড়ি বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি করে আসছে এখানকার কারিগররা। এই গ্রামের ২৫-৩০টি পরিবারের মানুষ পৈতৃক ভাবেই তৈরি করে আসছে এই সুস্বাদু কুমড়া বড়ি। এই কয়টি বাড়ির কুমড়া বড়ি তৈরির কারিগররাই আজো ধরে রেখেছে ঐতিহ্যপূর্ণ এই কুমড়া বড়ির শিল্পটি। তবে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ অনেকটাই কমে গেছে।
কারিগররা জানিয়েছেন, প্রথমে মাষকালাই পানিতে ভিজিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে মেশিনে ভেঙ্গে গুঁড়া করে আবার তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রুটি তৈরির আটার মতো অবস্থায় পরিণত করা হয়। এরপর এর সঙ্গে চাল কুমড়া পিষিয়ে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে বড়ি তৈরি করা হয়। এরপর তা ২-৩ দিন রোদে ভালো ভাবে শুকানোর পর বিক্রয় করা হয়। বড়িকে শক্তিশালী করার জন্য এর সঙ্গে খুব কম পরিমাণে আলো চালের আটা মিশানো হয়। প্রতি কেজি মাষকলাই থেকে প্রায় ৬শ’ গ্রাম কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। যেকোনো রান্না করা তরকারির সঙ্গে এই কুমড়া বড়ি রান্না করা যায়। আর রান্নার পর তরকারিতে এই বড়ি যোগ করে অন্য রকমের এক স্বাদ হয়।
খট্টেশ্বর হাটখোলাপাড়া গ্রামের শ্রী. বলায় চন্দ্র জানান, ‘এই কুমড়া বড়ি তৈরির পেশাটি আমাদের বাপ-দাদার। তাই আজো তা করে আসছি। এই বড়ি মূলত মাষকলাই, চাল কুমড়া, জিরা, কালোজিরা, মোহরী দিয়ে তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি বড়ি ১৮০-২০০ টাকা (বড় আকারের) এবং ১৫০-১৬০ টাকা (ছোট আকারের) করে খুচরা-পাইকারি বিক্রয় করা হয়। নিজ এলাকার প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কুমড়া বড়িগুলো সরবরাহ করা হয়। এই শীতকালই হচ্ছে এই কুমড়া বড়ির মৌসুম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়তই পাইকাররা এসে আমাদের কাছ থেকে এই বড়ি কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া আমরা স্থানীয় বিভিন্ন হাটেও খুচরা বিক্রয় করি। তবে আমাদের লাভ খুব সিমিত।
একই গ্রামের বড়ি তৈরির কারিগর শ্রী মিঠন কুমার জানান, ‘আমরা নিম্ন আয়ের কিছু মানুষ ঐতিহ্যপূর্ণ এই পৈতৃক পেশাটিকে আজো ধরে রেখেছি। আমরা বিভিন্ন এনজিও-সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কোনোমতে এই শিল্পটাকে ধরে রেখেছি। যার কারণে আমাদের ইচ্ছে থাকলেও এই শিল্পটাকে প্রসারিত করতে পারছি না কারণ আমাদের পুঁজি কম। আমরা যদি কম সুদে ঋণ পেতাম তাহলে বড় ধরনের অর্থ খাটিয়ে এই শিল্পটাকে আরো অনেক বড় করতে পারতাম। আগের তুলনায় এখন বড়ি তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় লাভ অনেকটাই কমে গেছে। তবু শত কষ্টেও বাপ-দাদার এই পেশাটি আমরা ধরে রেখেছি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার শ্রী রূপ কুমার জানান, এই উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলকায় এই গ্রামের তৈরি কুমড়া বড়ির সুনাম রয়েছে। অনেক দূর-দূরান্তের মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এসে এই গ্রামের কুমড়া বড়ি নিয়ে যায়। তবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত নিম্ন আয়ের মানুষরা সরকারি ভাবে কিংবা কোন সংস্থার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না। যদি এই মানুষরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা পেতো তাহলে এই শিল্পটি আরো প্রসারিত হতো। আরো অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। সরকার ইচ্ছে করলে এই সুস্বাদু বড়ি বিদেশেও রপ্তানি করতে পারে। এই বড়ি যদি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয় তাহলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষরা যেমন লাভবান হবে তেমনি সরকার রাজস্ব হিসাবে আয় করতে পারবে অনেক অর্থ। এটি বাস্তবায়ন করতে শুধুমাত্র সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের ইচ্ছেশক্তিই যথেষ্ট বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, রাণীনগর উপজেলার একমাত্র এই খট্টেশ্বর গ্রামটিতেই অনেক বছর যাবৎ বাণিজ্যিক ভাবে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই সুস্বাদু মাষকলাইয়ের কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে। অন্যান্য গ্রামে বাণিজ্যিক ভাবে এই বড়ি তৈরি করা হয় না। তবে সরকারি ভাবে যদি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এই শিল্পটি আরো অধিক প্রসারিত হতো। তবে এখানকার কারিগররা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে আমরা তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
সকাল থেকেই এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির উঠানে উঠানে চলে এই বড়ি তৈরির কাজ। বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে ছোট-বড় ও বয়স্ক লোক সবাই মিলে তৈরি করছে সুস্বাদু ও অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই কুমড়া বড়ি। এ হলো নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের খট্টেশ্বর গ্রামের বর্ণনা।
এই গ্রামে শতাধিক বছর পূর্ব থেকেই বিখ্যাত এই বড়ি তৈরি করা হয়। তাই আজো এখানকার কারিগররা শত বাধা উপেক্ষা করে পৈতৃক এই পেশাটিকে ধরে রেখেছে। সারা বছর টুকটাক তৈরি হলেও শীত মৌসুমে এই বড়ি তৈরির ধূম পড়ে যায়। এই বড়ি মূলত শীতকালের একটি আকর্ষণীয় খাবার পণ্য। বর্তমানে এই গ্রামের সকলেই সুস্বাদু কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত মৌসুমে এই বড়ির চাহিদা বেশি থাকায় এখন এই বড়ি তৈরির পল্লীতে বড়ি তৈরি নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা। অর্ধেক রাত থেকে শুরু হয় এই বিখ্যাত বড়ি তৈরির কাজ। আর এই গ্রাম ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিজস্ব একটি ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার হলো এই মাষকলাইয়ের কুমড়া বড়ি। এটি শীত মৌসুমের একটি বিশেষ খাবার। শীতের ৬ মাসই মূলত এই বড়িটি তৈরি করা হয়ে থাকে। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। বড়িতে রয়েছে অধিক মানের পুষ্টি। বড়ি তৈরির সব উপকরণই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পণ্য। তাই এই বড়িতে ভেজাল বলে কিছুই নেই। শীত মৌসুমে যেকোনো তরকারিতে এই কুমড়া বড়ি যোগ করলে আলাদা একটি স্বাদ। উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র সদর ইউনিয়নের খট্টেশ্বর গ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যপূর্ণ এই কুমড়া বড়ি বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি করে আসছে এখানকার কারিগররা। এই গ্রামের ২৫-৩০টি পরিবারের মানুষ পৈতৃক ভাবেই তৈরি করে আসছে এই সুস্বাদু কুমড়া বড়ি। এই কয়টি বাড়ির কুমড়া বড়ি তৈরির কারিগররাই আজো ধরে রেখেছে ঐতিহ্যপূর্ণ এই কুমড়া বড়ির শিল্পটি। তবে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ অনেকটাই কমে গেছে।
কারিগররা জানিয়েছেন, প্রথমে মাষকালাই পানিতে ভিজিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে মেশিনে ভেঙ্গে গুঁড়া করে আবার তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রুটি তৈরির আটার মতো অবস্থায় পরিণত করা হয়। এরপর এর সঙ্গে চাল কুমড়া পিষিয়ে অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে বড়ি তৈরি করা হয়। এরপর তা ২-৩ দিন রোদে ভালো ভাবে শুকানোর পর বিক্রয় করা হয়। বড়িকে শক্তিশালী করার জন্য এর সঙ্গে খুব কম পরিমাণে আলো চালের আটা মিশানো হয়। প্রতি কেজি মাষকলাই থেকে প্রায় ৬শ’ গ্রাম কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। যেকোনো রান্না করা তরকারির সঙ্গে এই কুমড়া বড়ি রান্না করা যায়। আর রান্নার পর তরকারিতে এই বড়ি যোগ করে অন্য রকমের এক স্বাদ হয়।
খট্টেশ্বর হাটখোলাপাড়া গ্রামের শ্রী. বলায় চন্দ্র জানান, ‘এই কুমড়া বড়ি তৈরির পেশাটি আমাদের বাপ-দাদার। তাই আজো তা করে আসছি। এই বড়ি মূলত মাষকলাই, চাল কুমড়া, জিরা, কালোজিরা, মোহরী দিয়ে তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি বড়ি ১৮০-২০০ টাকা (বড় আকারের) এবং ১৫০-১৬০ টাকা (ছোট আকারের) করে খুচরা-পাইকারি বিক্রয় করা হয়। নিজ এলাকার প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কুমড়া বড়িগুলো সরবরাহ করা হয়। এই শীতকালই হচ্ছে এই কুমড়া বড়ির মৌসুম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়তই পাইকাররা এসে আমাদের কাছ থেকে এই বড়ি কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া আমরা স্থানীয় বিভিন্ন হাটেও খুচরা বিক্রয় করি। তবে আমাদের লাভ খুব সিমিত।
একই গ্রামের বড়ি তৈরির কারিগর শ্রী মিঠন কুমার জানান, ‘আমরা নিম্ন আয়ের কিছু মানুষ ঐতিহ্যপূর্ণ এই পৈতৃক পেশাটিকে আজো ধরে রেখেছি। আমরা বিভিন্ন এনজিও-সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কোনোমতে এই শিল্পটাকে ধরে রেখেছি। যার কারণে আমাদের ইচ্ছে থাকলেও এই শিল্পটাকে প্রসারিত করতে পারছি না কারণ আমাদের পুঁজি কম। আমরা যদি কম সুদে ঋণ পেতাম তাহলে বড় ধরনের অর্থ খাটিয়ে এই শিল্পটাকে আরো অনেক বড় করতে পারতাম। আগের তুলনায় এখন বড়ি তৈরির উপকরণের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় লাভ অনেকটাই কমে গেছে। তবু শত কষ্টেও বাপ-দাদার এই পেশাটি আমরা ধরে রেখেছি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার শ্রী রূপ কুমার জানান, এই উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলকায় এই গ্রামের তৈরি কুমড়া বড়ির সুনাম রয়েছে। অনেক দূর-দূরান্তের মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এসে এই গ্রামের কুমড়া বড়ি নিয়ে যায়। তবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত নিম্ন আয়ের মানুষরা সরকারি ভাবে কিংবা কোন সংস্থার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না। যদি এই মানুষরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা পেতো তাহলে এই শিল্পটি আরো প্রসারিত হতো। আরো অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। সরকার ইচ্ছে করলে এই সুস্বাদু বড়ি বিদেশেও রপ্তানি করতে পারে। এই বড়ি যদি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হয় তাহলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষরা যেমন লাভবান হবে তেমনি সরকার রাজস্ব হিসাবে আয় করতে পারবে অনেক অর্থ। এটি বাস্তবায়ন করতে শুধুমাত্র সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের ইচ্ছেশক্তিই যথেষ্ট বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, রাণীনগর উপজেলার একমাত্র এই খট্টেশ্বর গ্রামটিতেই অনেক বছর যাবৎ বাণিজ্যিক ভাবে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই সুস্বাদু মাষকলাইয়ের কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে। অন্যান্য গ্রামে বাণিজ্যিক ভাবে এই বড়ি তৈরি করা হয় না। তবে সরকারি ভাবে যদি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এই শিল্পটি আরো অধিক প্রসারিত হতো। তবে এখানকার কারিগররা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাহলে আমরা তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
No comments