পোশাক খাতে ৩ পর্যায়ে ১৬ ধাপে দুর্নীতি : টিআইবি
তৈরি
পোশাক খাতে ১৬ ধাপে দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সরবরাহ খাতের তিন
পর্যায়ে ১৬ ধাপে এ দুর্নীতি হয়ে থাকে।
ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি’র কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ‘তৈরি পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনে অনিয়ম ও দুর্নীতি মোকাবেলায় অংশীজনের করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
টিআইবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনের প্রায় পুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। পণ্যের মান, পরিমাণ ও কমপ্লায়েন্স এর ঘাটতি ধামাচাপা দেওয়া হয় ঘুষের মাধ্যমে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থায় কার্যাদেশ, উৎপাদন ও সরবরাহ- তিনটি পর্যায়ের অন্তত ১৬টি ধাপে দুর্নীতি হয়।
এ তিন পর্যায়ের ১৬টি ধাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রান্ড/আমদানিকারকের সঙ্গে স্থানীয় এজেন্ট/বায়িং হাউইজের সঙ্গে যোগাযোগ, কমপ্লায়েন্টকারখার সঙ্গে যোগাযোগ, কার্যাদেশ প্রদান, মূল্য নির্ধারণ/দরকষাকষি, স্যাম্পল করার নির্দেশ, মাস্টার এলসি-ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা, উৎপাদনের কাঁচামাল/দ্রব্য ক্রয়/আমদানি, পণ্যের মান ও কমপ্লায়েন্ট পরিদর্শন, প্রাক জাহাজীকরণ পর্যায়ের মান পরিদর্শন ও জাহাজীকরণ (এফওবি/সিএ্যান্ডএফ) ধাপে দুর্নীতি হয়ে থাকে।
তবে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক খাতে ৬০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৩ সালের এ খাতের ৬৩টি বিষয়ে সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এসব ঘাটতি পূরণে সরকার, মালিক ও বায়ারদের ১০২টি উদ্যোগে এ অগ্রগতি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এখানে গুণগত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। যেজন্য পরিসংখ্যানগত কোনো অনিয়মের তথ্য দিতে পারছি না। তবে আগের তুলনায় সবক্ষেত্রে অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সব সময় অনিয়ম দুর্নীতির জন্যে বাংলাদেশের সরকার, উৎপাদকদের দায় দেওয়া হলেও, দুর্নীতির জন্য বায়াররাও কম দায়ী নয়। অনিয়মের সঙ্গে কমবেশি সবাই জড়িত। এককভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়ী করা ঠিক হবে না। বায়ার, এজেন্ট, যারা এখাতে সংশ্লিষ্ট তাদের দায়ও এড়ানো যাবে না।’
এ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে ২৭ দফা করণীয় ও সুপারিশ করেছে টিআইবি।
ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি’র কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার ‘তৈরি পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনে অনিয়ম ও দুর্নীতি মোকাবেলায় অংশীজনের করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
টিআইবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের সাপ্লাই চেইনের প্রায় পুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। পণ্যের মান, পরিমাণ ও কমপ্লায়েন্স এর ঘাটতি ধামাচাপা দেওয়া হয় ঘুষের মাধ্যমে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থায় কার্যাদেশ, উৎপাদন ও সরবরাহ- তিনটি পর্যায়ের অন্তত ১৬টি ধাপে দুর্নীতি হয়।
এ তিন পর্যায়ের ১৬টি ধাপের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রান্ড/আমদানিকারকের সঙ্গে স্থানীয় এজেন্ট/বায়িং হাউইজের সঙ্গে যোগাযোগ, কমপ্লায়েন্টকারখার সঙ্গে যোগাযোগ, কার্যাদেশ প্রদান, মূল্য নির্ধারণ/দরকষাকষি, স্যাম্পল করার নির্দেশ, মাস্টার এলসি-ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা, উৎপাদনের কাঁচামাল/দ্রব্য ক্রয়/আমদানি, পণ্যের মান ও কমপ্লায়েন্ট পরিদর্শন, প্রাক জাহাজীকরণ পর্যায়ের মান পরিদর্শন ও জাহাজীকরণ (এফওবি/সিএ্যান্ডএফ) ধাপে দুর্নীতি হয়ে থাকে।
তবে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক খাতে ৬০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৩ সালের এ খাতের ৬৩টি বিষয়ে সুশাসনের ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছিল। এসব ঘাটতি পূরণে সরকার, মালিক ও বায়ারদের ১০২টি উদ্যোগে এ অগ্রগতি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এখানে গুণগত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। যেজন্য পরিসংখ্যানগত কোনো অনিয়মের তথ্য দিতে পারছি না। তবে আগের তুলনায় সবক্ষেত্রে অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সব সময় অনিয়ম দুর্নীতির জন্যে বাংলাদেশের সরকার, উৎপাদকদের দায় দেওয়া হলেও, দুর্নীতির জন্য বায়াররাও কম দায়ী নয়। অনিয়মের সঙ্গে কমবেশি সবাই জড়িত। এককভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের দায়ী করা ঠিক হবে না। বায়ার, এজেন্ট, যারা এখাতে সংশ্লিষ্ট তাদের দায়ও এড়ানো যাবে না।’
এ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে ২৭ দফা করণীয় ও সুপারিশ করেছে টিআইবি।
No comments