মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় ইরানেরও দায় আছে by মাইকেল স্টিফেন্স
সৌদি আরবে শিয়াদের ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর ইরানের রাজধানী তেহরানে বিক্ষুব্ধ জনতা সৌদি
দূতাবাসে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করে। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষ
থেকেই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। সে বিষয়েই দুটি লেখা প্রকাশিত
হলো।
সৌদি আরব যে তেহরান থেকে নিজের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনল এবং রিয়াদ থেকে ইরানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করল, তা মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই বিবদমান শক্তির সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে আরও উদ্বেগের জন্ম দিল। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান সময়-সুযোগ পেলেই ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস ভঙ্গ করে। তাদের দেশের বিক্ষুব্ধ জনতা এবারই প্রথম সেখানকার কোনো বিদেশি দূতাবাসে হামলা করল না, সাম্প্রতিক অতীতে ২০১১ সালে তেহরানের যুক্তরাজ্য দূতাবাসেও হামলা চালিয়েছিল তারা।
এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য তেহরানে নিজেদের দূতাবাস এবং লন্ডনে ইরানের দূতাবাসও বন্ধ করে দেয়। সেই অর্থে সৌদি আরব যে কাজ করল, তা কিন্তু মোটেও অস্বাভাবিক বা নজিরবিহীন নয়, এমনকি আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তা স্বাভাবিক রীতির বাইরে নয়। শিয়া নেতা শেখ নিমর এক বড় খেলার বলি হলেন। তিনি যদি জীবিত থাকতেন, তাহলে হয়তো এ খেলায় অংশ নিয়ে তিনি তা রোখারও চেষ্টা করতেন। ২০১১ সালের ৭ অক্টোবর তিনি এক কুখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তাঁর সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের কেউ যেন নাক না গলায়, এই বক্তব্য তিনি যেমন খামেনিকে উদ্দেশ করে দিয়েছিলেন, তেমনি আল সৌদকে উদ্দেশ করেও দিয়েছিলেন।
ফলে লোকে যে বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি দেশ তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক ত্যাগ করেছে, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও সে রকম নয়। এমন কথা বললে তা স্ববিরোধী মনে হয়। নিমরের বন্ধুর তালিকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কিন্তু শান্তিকামী মানুষ নন। তাঁর ধর্মচিন্তার গুরু ছিলেন ইরাকের কট্টরপন্থী ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় আয়াতুল্লাহ্ মুহাম্মদ আল হুসেইনি আল-সিরাজি, যাঁর সঙ্গে ইরানের কিছু অপ্রীতিকর শক্তির সম্পর্ক ছিল। তা ছাড়া নিমরের উল্লেখযোগ্য বন্ধুর তালিকায় ছিলেন আবদ আল-রউফ আল-সাহেব, তিনি বাহরাইনের নাগরিক। সম্প্রতি ব্রিটেনে তাঁর কাছ থেকে জিহাদি কার্যক্রমের সহায়ক উপাদান ও তথ্য পাওয়ার জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কিন্তু কয়েকজন কুখ্যাত আল-কায়েদা সন্ত্রাসীর সঙ্গে শেখ নিমরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে সৌদি আরব তাদের এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ তো সন্ত্রাসবাদই, তা সে যে ঘরানারই হোক না কেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে শিয়া সম্প্রদায় যেভাবে খেপেছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্যেকে ঠান্ডা করার সাধ্য কারও নেই। দেশ দুটির সম্পর্ক কেন এমন টান টান অবস্থায় গেল, তা বোঝা দরকার।
১০ মহররম তারিখে কারবালায় ইমাম হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে মাতম করা একধরনের রীতিতে পরিণত হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে শিয়া-সুন্নি বিভেদ সব সময়ই আছে। কিন্তু ব্যাপারটা পুরো সত্য নয়। কারণ গোষ্ঠীতন্ত্র কখনো কখনো তীব্র হয়, আবার কখনো কখনো স্তিমিত হয়। এই বর্তমান উত্তেজনা শুরু হয়েছে সেই ১৯৭৮ সালে, যখন সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শিয়া-অধ্যুষিত প্রদেশে আল সৌদের বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। ইরানের আয়াতুল্লাহ্ এই বিদ্রোহের সদ্ব্যবহার করে ১৯৭৯ সালে ক্ষমতায় যান।
খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শুধু ধর্মীয় কারণে গোষ্ঠীবিবাদ শুরু হয়। এটা সাধারণত সাংস্কৃতিক বিবাদের সঙ্গে জড়াজড়ি করে আসে, সঙ্গে থাকে অন্য পক্ষের নৃশংসতা ও নিপীড়নের বয়ান। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, উভয় পক্ষের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা একে অপরের বিরুদ্ধে আইএস তোষণের অভিযোগ করছেন। কিন্তু এতে শুধু গোষ্ঠীগত বিভাজনই তীব্র হয়।
ওদিকে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ পরিচয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে পেরেছে। বাহরাইন সৌদি আরবের পথ অনুসরণ করে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলেও কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত তাকে অনুসরণ করেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন একটু আলগা করলেও তা ছিন্ন করবে না। এমন সম্ভাবনা আছে যে কাতারও একই কাজ করবে। এদিকে কুয়েত তেহরানে নিযুক্ত নিজের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠালেও এ মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার চিন্তা করাও তার জন্য ক্ষতিকর হবে।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের পক্ষে দাঁড়াতে পারস্য উপসাগরে নিজের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করবে। আঞ্চলিক বিবাদের সমাধান হিসেবে যুদ্ধ কোনো তরিকা নয়। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি এই উত্তেজনা প্রশমিত করতে চায়, তাহলে উপসাগরের উভয় পারের এই দুই দেশকে তাকে দেখিয়ে দিতে হবে, আসল কর্তা কে। সমস্যা হচ্ছে, এই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কারণেই প্রথমত এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর শান্তি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করার ক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসনের অনিচ্ছাও এর জন্য দায়ী।
এই দ্বন্দ্ব মধ্যপ্রাচ্যের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। কারণ রিয়াদ ও তেহরানকে ঝগড়া করা থেকে বিরত রাখার মতো নিরাপত্তা-মাতব্বর না থাকলে নিরাপত্তাহীনতা শুধু বাড়বেই, সঙ্গে বাড়বে প্রতিযোগিতা, আর আবশ্যকীয়ভাবে গোষ্ঠী বিবাদও বাড়বে। ২০১৬ সালটা মনে হয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ যাবে।
আল জাজিরা থেকে নেওয়া; অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
মাইকেল স্টিফেন্স: কাতারের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ফেলো গবেষক।
সৌদি আরব যে তেহরান থেকে নিজের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনল এবং রিয়াদ থেকে ইরানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করল, তা মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই বিবদমান শক্তির সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে আরও উদ্বেগের জন্ম দিল। ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান সময়-সুযোগ পেলেই ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস ভঙ্গ করে। তাদের দেশের বিক্ষুব্ধ জনতা এবারই প্রথম সেখানকার কোনো বিদেশি দূতাবাসে হামলা করল না, সাম্প্রতিক অতীতে ২০১১ সালে তেহরানের যুক্তরাজ্য দূতাবাসেও হামলা চালিয়েছিল তারা।
এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য তেহরানে নিজেদের দূতাবাস এবং লন্ডনে ইরানের দূতাবাসও বন্ধ করে দেয়। সেই অর্থে সৌদি আরব যে কাজ করল, তা কিন্তু মোটেও অস্বাভাবিক বা নজিরবিহীন নয়, এমনকি আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তা স্বাভাবিক রীতির বাইরে নয়। শিয়া নেতা শেখ নিমর এক বড় খেলার বলি হলেন। তিনি যদি জীবিত থাকতেন, তাহলে হয়তো এ খেলায় অংশ নিয়ে তিনি তা রোখারও চেষ্টা করতেন। ২০১১ সালের ৭ অক্টোবর তিনি এক কুখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তাঁর সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের কেউ যেন নাক না গলায়, এই বক্তব্য তিনি যেমন খামেনিকে উদ্দেশ করে দিয়েছিলেন, তেমনি আল সৌদকে উদ্দেশ করেও দিয়েছিলেন।
ফলে লোকে যে বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি দেশ তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক ত্যাগ করেছে, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও সে রকম নয়। এমন কথা বললে তা স্ববিরোধী মনে হয়। নিমরের বন্ধুর তালিকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কিন্তু শান্তিকামী মানুষ নন। তাঁর ধর্মচিন্তার গুরু ছিলেন ইরাকের কট্টরপন্থী ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় আয়াতুল্লাহ্ মুহাম্মদ আল হুসেইনি আল-সিরাজি, যাঁর সঙ্গে ইরানের কিছু অপ্রীতিকর শক্তির সম্পর্ক ছিল। তা ছাড়া নিমরের উল্লেখযোগ্য বন্ধুর তালিকায় ছিলেন আবদ আল-রউফ আল-সাহেব, তিনি বাহরাইনের নাগরিক। সম্প্রতি ব্রিটেনে তাঁর কাছ থেকে জিহাদি কার্যক্রমের সহায়ক উপাদান ও তথ্য পাওয়ার জন্য তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কিন্তু কয়েকজন কুখ্যাত আল-কায়েদা সন্ত্রাসীর সঙ্গে শেখ নিমরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে সৌদি আরব তাদের এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ তো সন্ত্রাসবাদই, তা সে যে ঘরানারই হোক না কেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে শিয়া সম্প্রদায় যেভাবে খেপেছে, তাতে মধ্যপ্রাচ্যেকে ঠান্ডা করার সাধ্য কারও নেই। দেশ দুটির সম্পর্ক কেন এমন টান টান অবস্থায় গেল, তা বোঝা দরকার।
১০ মহররম তারিখে কারবালায় ইমাম হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে মাতম করা একধরনের রীতিতে পরিণত হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে শিয়া-সুন্নি বিভেদ সব সময়ই আছে। কিন্তু ব্যাপারটা পুরো সত্য নয়। কারণ গোষ্ঠীতন্ত্র কখনো কখনো তীব্র হয়, আবার কখনো কখনো স্তিমিত হয়। এই বর্তমান উত্তেজনা শুরু হয়েছে সেই ১৯৭৮ সালে, যখন সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শিয়া-অধ্যুষিত প্রদেশে আল সৌদের বিরুদ্ধে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। ইরানের আয়াতুল্লাহ্ এই বিদ্রোহের সদ্ব্যবহার করে ১৯৭৯ সালে ক্ষমতায় যান।
খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শুধু ধর্মীয় কারণে গোষ্ঠীবিবাদ শুরু হয়। এটা সাধারণত সাংস্কৃতিক বিবাদের সঙ্গে জড়াজড়ি করে আসে, সঙ্গে থাকে অন্য পক্ষের নৃশংসতা ও নিপীড়নের বয়ান। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, উভয় পক্ষের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা একে অপরের বিরুদ্ধে আইএস তোষণের অভিযোগ করছেন। কিন্তু এতে শুধু গোষ্ঠীগত বিভাজনই তীব্র হয়।
ওদিকে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ পরিচয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে পেরেছে। বাহরাইন সৌদি আরবের পথ অনুসরণ করে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলেও কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত তাকে অনুসরণ করেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন একটু আলগা করলেও তা ছিন্ন করবে না। এমন সম্ভাবনা আছে যে কাতারও একই কাজ করবে। এদিকে কুয়েত তেহরানে নিযুক্ত নিজের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠালেও এ মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার চিন্তা করাও তার জন্য ক্ষতিকর হবে।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের পক্ষে দাঁড়াতে পারস্য উপসাগরে নিজের উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করবে। আঞ্চলিক বিবাদের সমাধান হিসেবে যুদ্ধ কোনো তরিকা নয়। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি এই উত্তেজনা প্রশমিত করতে চায়, তাহলে উপসাগরের উভয় পারের এই দুই দেশকে তাকে দেখিয়ে দিতে হবে, আসল কর্তা কে। সমস্যা হচ্ছে, এই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কারণেই প্রথমত এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর শান্তি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করার ক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসনের অনিচ্ছাও এর জন্য দায়ী।
এই দ্বন্দ্ব মধ্যপ্রাচ্যের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। কারণ রিয়াদ ও তেহরানকে ঝগড়া করা থেকে বিরত রাখার মতো নিরাপত্তা-মাতব্বর না থাকলে নিরাপত্তাহীনতা শুধু বাড়বেই, সঙ্গে বাড়বে প্রতিযোগিতা, আর আবশ্যকীয়ভাবে গোষ্ঠী বিবাদও বাড়বে। ২০১৬ সালটা মনে হয় ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ যাবে।
আল জাজিরা থেকে নেওয়া; অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
মাইকেল স্টিফেন্স: কাতারের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ফেলো গবেষক।
No comments