'প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে জামায়াত' -আরব নিউজের নিবন্ধ
মধ্যপ্রাচ্যের
প্রভাবশালী সংবাদপত্র আরব নিউজের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, স্থানীয় সমর্থন,
বিদেশী যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবেই
মোকাবেলা করা উচিত। এতে আরো বলা হয়েছে, আগামী দিনে ইসলামী আদর্শের দ্বারা
জামায়াত মুসলিম-প্রধান দেশটিতে একটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ
করতে পারে।
নিবন্ধটি ১৮ ডিসেম্বর আরব নিউজের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। নয়া দিগন্তের পাঠকদের উদ্দেশে সেটি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো-
নিবন্ধটি ১৮ ডিসেম্বর আরব নিউজের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। নয়া দিগন্তের পাঠকদের উদ্দেশে সেটি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো-
দেশের
সবচেয়ে সংগঠিত ও সর্ববৃহৎ ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের
চিন্তাভাবনা করে নিজের পায়েই কুড়াল মারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। কয়েকজন
প্রভাবশালী মন্ত্রী ও বেশ কিছু সরকার সমর্থক রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতের
কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাতে শুরু করেছে। যা বর্তমানে দলটিকে ভীষণ চাপের
মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে
দলের তিনজন শীর্ষ নেতাকে এরই মধ্যে মৃত্যদণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করা হয়েছে।
আরো অনেকের বিচারকাজ চলছে।
যদি জামায়াতকে রাজনীতির বাইরে রাখা হয়, তবে এর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সদস্য ও কর্মীরা, যাদের অধিকাংশের বয়সই ৪৫ বছরে নিচে, আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ অনুসারে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করায় ইতিমধ্যেই নির্বাচনী রাজনীতির বাইরে রয়েছে জামায়াত। এখন দলটিকে নিষিদ্ধ করলে তা হবে কফিনে শেষ পেরেক। সম্ভবত তখন টিকে থাকার জন্য পাল্টা জবাবের বিকল্প থাকবে না দলটির জন্য।
এটা অনুধাবন করা কঠিন নয় যে, দেশকে ঝাঁকুনি দেয়ার মতো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা জামায়াতের আছে।
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি পুরনো দল জামায়াত। ভারতে ইংরেজ শাসনামলে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান সৃষ্টিকালে দলটির জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান নামে কাজ শুরু করে। সেসময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। রাজনীতির সাথে গভীর সংযোগের ফলে দলটির অনেক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জামায়াতের আছে অর্থনৈতিক সামর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাব। এটা শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরেও। প্রায় ১০ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশীর মধ্যে জামায়াতের প্রতি সহানুভূতিশীল, সক্রিয় সদস্য ও নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক আছে। যারা উপসাগরীয় দেশগুলো, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাস করছেন। শুধু সৌদি আরবেই আছেন ১৫ লাখ বাংলাদেশী। প্রায় পাঁচলাখ ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত।
কথিত আছে, একটা বড় সংখ্যক প্রবাসী জামায়াতকে অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে থাকে। যা বর্তমান সরকারের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। ঢাকা ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কিছু দেশকে সতর্ক করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- যুক্তরাজ্যের কথা। বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাজ্যকে জানিয়েছে, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের উত্থানে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে জেলে রেখে জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এর লক্ষ্য শুধু দলটিকে শেষ করাই নয়, বরং বিএনপি থেকে দূরে রেখে বিরোধী দলের সম্মিলিত শক্তিকেও দুর্বল করা।
এখন সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা। তবে এতে বিএনপিই লাভবান হতে পারে। কারণ জামায়াত নিষিদ্ধ হলে দলটির প্রায় সবাই বিএনপিতে যোগ দিতে পারে।
স্থানীয় সমর্থন, বিদেশী যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা উচিত। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে আগামী দিনে ইসলামী আদর্শের দ্বারা জামায়াত মুসলিম প্রধান দেশটিতে একটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
যদি জামায়াতকে রাজনীতির বাইরে রাখা হয়, তবে এর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সদস্য ও কর্মীরা, যাদের অধিকাংশের বয়সই ৪৫ বছরে নিচে, আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ অনুসারে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করায় ইতিমধ্যেই নির্বাচনী রাজনীতির বাইরে রয়েছে জামায়াত। এখন দলটিকে নিষিদ্ধ করলে তা হবে কফিনে শেষ পেরেক। সম্ভবত তখন টিকে থাকার জন্য পাল্টা জবাবের বিকল্প থাকবে না দলটির জন্য।
এটা অনুধাবন করা কঠিন নয় যে, দেশকে ঝাঁকুনি দেয়ার মতো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা জামায়াতের আছে।
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি পুরনো দল জামায়াত। ভারতে ইংরেজ শাসনামলে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান সৃষ্টিকালে দলটির জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান নামে কাজ শুরু করে। সেসময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। রাজনীতির সাথে গভীর সংযোগের ফলে দলটির অনেক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জামায়াতের আছে অর্থনৈতিক সামর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাব। এটা শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরেও। প্রায় ১০ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশীর মধ্যে জামায়াতের প্রতি সহানুভূতিশীল, সক্রিয় সদস্য ও নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক আছে। যারা উপসাগরীয় দেশগুলো, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাস করছেন। শুধু সৌদি আরবেই আছেন ১৫ লাখ বাংলাদেশী। প্রায় পাঁচলাখ ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত।
কথিত আছে, একটা বড় সংখ্যক প্রবাসী জামায়াতকে অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে থাকে। যা বর্তমান সরকারের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। ঢাকা ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কিছু দেশকে সতর্ক করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- যুক্তরাজ্যের কথা। বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাজ্যকে জানিয়েছে, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের উত্থানে ইন্ধন যোগাচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে জেলে রেখে জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এর লক্ষ্য শুধু দলটিকে শেষ করাই নয়, বরং বিএনপি থেকে দূরে রেখে বিরোধী দলের সম্মিলিত শক্তিকেও দুর্বল করা।
এখন সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা। তবে এতে বিএনপিই লাভবান হতে পারে। কারণ জামায়াত নিষিদ্ধ হলে দলটির প্রায় সবাই বিএনপিতে যোগ দিতে পারে।
স্থানীয় সমর্থন, বিদেশী যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক শক্তি বিবেচনায় জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা উচিত। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে আগামী দিনে ইসলামী আদর্শের দ্বারা জামায়াত মুসলিম প্রধান দেশটিতে একটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
No comments