‘তাঁর’ জন্য ‘তাঁরা’ও মাঠে
গল্প,
নাটক কি উপন্যাস—বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘সতিন’ চরিত্রকে নেতিবাচকভাবে দেখানো
হয়। অবশ্য বাস্তবে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা
নির্বাচনে মাজেদা বেগম সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন। আর তাঁর জয়ের জন্য সতিনেরা দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
তিন সতিন একসঙ্গে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কয়েকজন ভোটার বলেছেন, বর্তমান সময়ে সতিনদের মধ্যে সাধারণত মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না। আর এখানে এক সতিনের জয়ের জন্য অন্য দুই সতিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। মাজেদা বেগমের পারিবারিক সূত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুস সামাদ তাঁর তিন স্ত্রীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। যেকোনো এক স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব করেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগম হবেন সেই প্রার্থী।
চার-পাঁচজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদা বেগম সংরক্ষিত ২ নম্বর (৪, ৫ ও ৬) ওয়ার্ডে ‘কাঁচি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তিন সতিন মিনু বেগম, রেণু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আবদুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত ওয়ার্ডের এ-বাড়ি ও-বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার বজলুর রহমান বলেন, তিন সতিনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী।
মাজেদা বেগম বলেন, ‘সতিন মানে মনে করা হয় শত্রু। কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতিনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।’
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবদুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কারণে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তিনি টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
তিন সতিন একসঙ্গে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ায় এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কয়েকজন ভোটার বলেছেন, বর্তমান সময়ে সতিনদের মধ্যে সাধারণত মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত হয় না। আর এখানে এক সতিনের জয়ের জন্য অন্য দুই সতিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। মাজেদা বেগমের পারিবারিক সূত্র জানায়, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই পৌর এলাকার বন্তেঘরী মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুস সামাদ তাঁর তিন স্ত্রীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। যেকোনো এক স্ত্রীকে দিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তাব করেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, সামাদের তৃতীয় স্ত্রী মাজেদা বেগম হবেন সেই প্রার্থী।
চার-পাঁচজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদা বেগম সংরক্ষিত ২ নম্বর (৪, ৫ ও ৬) ওয়ার্ডে ‘কাঁচি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদিন ভোরে তিন সতিন মিনু বেগম, রেণু বেগম ও মাজেদা বেগম স্বামী আবদুস সামাদকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণায় বের হন। গভীর রাত পর্যন্ত ওয়ার্ডের এ-বাড়ি ও-বাড়ি ক্লান্তিহীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বন্তেঘরী গ্রামের ভোটার বজলুর রহমান বলেন, তিন সতিনের প্রচারণা ভোটারদের মধ্যে আলাদা একটা উৎসাহ নিয়ে এসেছে। মাজেদা বেগম এখন এ পৌরসভার আলোচিত প্রার্থী।
মাজেদা বেগম বলেন, ‘সতিন মানে মনে করা হয় শত্রু। কিন্তু আমি ভাগ্যবান। সতিনরা আমার কাছে বোনের মতো। অতি আপনজন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকায় নারী নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।’
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবদুস সামাদের চার স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কারণে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। তিনি টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করছেন।
প্রচারণায় একসঙ্গে (বাঁ থেকে) শিবগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মাজেদা বেগমের স্বামী আবদুস সামাদ, তাঁর স্ত্রী রেণু বেগম, মিনু বেগম ও মাজেদা নিজে l প্রথম আলো |
No comments