শিশুর মা দাবি, ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ by গাজী ফিরোজ
জান্নাতুল ফেরদৌসl পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া ছবি -প্রথম আলো |
কেউ
নেই জেনে এক শিশুকে বাসায় আশ্রয় দেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের বাসিন্দা
মজদ্দেলফা বেগম। পরিচিত এক গৃহকর্মী শিশুটিকে তাঁর কাছে রেখে যান। চার মাস
পর ওই গৃহকর্মী এক নারীকে নিয়ে তাঁর বাসায় যান। সেই নারী নিজেকে শিশুটিকে
মা দাবি করে শিশুটিকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু শিশুটি তাঁকে মা বলে অস্বীকার
করে। বিষয়টি থানা-পুলিশ ও আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
সাত বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস সাড়ে তিন মাস ধরে চট্টগ্রামের ফরহাদাবাদ এলাকার ‘মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ হেফাজতি আবাসন কেন্দ্রে’ রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর আদালত শিশুটির মাতৃত্ব নির্ণয়ে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার শুরু এ বছরের ২ জানুয়ারি। মজদ্দেলফা বেগমের কাছে সেদিন শিশু জান্নাতকে নিয়ে আসেন গৃহকর্মী জরিনা বেগম। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে তিনি হোসনে আরা নামের এক নারীকে শিশুটির মা বলে পরিচয় করিয়ে দেন। শিশুটিকে ওই বাসা থেকে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চান। এ সময় শিশুটি হোসনে আরাকে মা বলে অস্বীকার করে। এতে মজদ্দেলেফা বেগমের সন্দেহ হয়। এর পরও কয়েকবার শিশুটিকে নিয়ে যেতে আসেন তাঁরা। পরে গত ৫ জুলাই মজদ্দেলেফা বেগম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, শিশুটি তার প্রকৃত মা-বাবার কাছে ফিরে যাক। শিশুটিকে জোর করে নিয়ে যেতে যাওয়ায় থানায় জিডি করা হয়।
শিশুটির মা দাবিদার হোসনে আরা বলেন, ‘ওই বাসায় ভালোভাবে থাকায় মেয়ে এখন আমার কাছে আসতে চাইছে না।’ শিশুটিকে কীভাবে পেয়েছেন তা জানতে খুলশীর ডেবারপাড় এলাকায় গৃহকর্মী জরিনা বেগমের ভাড়া বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন জানান জরিনা বেগম বাসা বদল করেছেন। তবে মজদ্দেলেফা বেগমের করা জিডি তদন্ত করেছেন পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার। তিনি বলেন, হোসনে আরার (৩৭) দুই ছেলে রয়েছে। সাত বছর আগে স্বামী মো. মনির তাঁকে ছেড়ে যান। এখন শিশুটি হোসনে আরার কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই শিশুটিকে গত ২৭ আগস্ট আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর শিশু আদালতের বিচারক শিশু জান্নাতের মাতৃত্ব নির্ণয়ের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। একই আদালত ১ ডিসেম্বর আরেক আদেশে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা বিচারকের খাসকামরায় সংগ্রহ করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। ওই দিন আদালত প্রাঙ্গণে শিশুটি বলে, হোসনে আরা তার মা নন। তার মা-বাবা কে সে জানে না।
জানতে চাইলে সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসাইন বলেন, আদালতের আদেশ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এ ফয়েজ বলেন, মাতৃত্ব নির্ধারণের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিশুটি ফরহাদাবাদে নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে থাকবে।
সাত বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস সাড়ে তিন মাস ধরে চট্টগ্রামের ফরহাদাবাদ এলাকার ‘মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ হেফাজতি আবাসন কেন্দ্রে’ রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর আদালত শিশুটির মাতৃত্ব নির্ণয়ে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার শুরু এ বছরের ২ জানুয়ারি। মজদ্দেলফা বেগমের কাছে সেদিন শিশু জান্নাতকে নিয়ে আসেন গৃহকর্মী জরিনা বেগম। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে তিনি হোসনে আরা নামের এক নারীকে শিশুটির মা বলে পরিচয় করিয়ে দেন। শিশুটিকে ওই বাসা থেকে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চান। এ সময় শিশুটি হোসনে আরাকে মা বলে অস্বীকার করে। এতে মজদ্দেলেফা বেগমের সন্দেহ হয়। এর পরও কয়েকবার শিশুটিকে নিয়ে যেতে আসেন তাঁরা। পরে গত ৫ জুলাই মজদ্দেলেফা বেগম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, শিশুটি তার প্রকৃত মা-বাবার কাছে ফিরে যাক। শিশুটিকে জোর করে নিয়ে যেতে যাওয়ায় থানায় জিডি করা হয়।
শিশুটির মা দাবিদার হোসনে আরা বলেন, ‘ওই বাসায় ভালোভাবে থাকায় মেয়ে এখন আমার কাছে আসতে চাইছে না।’ শিশুটিকে কীভাবে পেয়েছেন তা জানতে খুলশীর ডেবারপাড় এলাকায় গৃহকর্মী জরিনা বেগমের ভাড়া বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন জানান জরিনা বেগম বাসা বদল করেছেন। তবে মজদ্দেলেফা বেগমের করা জিডি তদন্ত করেছেন পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার। তিনি বলেন, হোসনে আরার (৩৭) দুই ছেলে রয়েছে। সাত বছর আগে স্বামী মো. মনির তাঁকে ছেড়ে যান। এখন শিশুটি হোসনে আরার কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই শিশুটিকে গত ২৭ আগস্ট আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর শিশু আদালতের বিচারক শিশু জান্নাতের মাতৃত্ব নির্ণয়ের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। একই আদালত ১ ডিসেম্বর আরেক আদেশে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা বিচারকের খাসকামরায় সংগ্রহ করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। ওই দিন আদালত প্রাঙ্গণে শিশুটি বলে, হোসনে আরা তার মা নন। তার মা-বাবা কে সে জানে না।
জানতে চাইলে সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসাইন বলেন, আদালতের আদেশ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এ ফয়েজ বলেন, মাতৃত্ব নির্ধারণের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিশুটি ফরহাদাবাদে নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে থাকবে।
No comments