আবারও ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শনিবার ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় একজনকে গুলি ছুড়তে (লাল চিহ্নিত) দেখা যায়। ছবি: প্রথম আলো |
কুষ্টিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের
নেতা-কর্মীদের মধ্যে আজ শনিবার আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়
ইট-পাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে
ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম স্থগিত করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক পক্ষের কর্মী সাইদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সংঘর্ষের জের ধরে আজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমারের অনুসারী নেতা-কর্মী এবং সহসভাপতি মিজানুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাইফুল-অমিত অনুসারীরা ছাত্রলীগের দলীয় তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে মিজানের অনুসারীরা ছিলেন প্রশাসন ভবনের পাশের আমবাগানে। বেলা সাড়ে বারটার দিকে তাঁরা সেখান থেকে মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং তাঁদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। এতে সাইফুল-অমিত অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দও শোনা যায়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর পর মিজানের অনুসারী নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিলে তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থান নেন। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শীতকালীন ছুটি এগিয়ে এনে আজ শনিবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। এতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে এবং আগামী ৩ জানুয়ারি প্রশাসনিক ও ৬ জানুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অনেকেই আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছেড়ে গেছেন।
ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর সাইফুল-অমিত অনুসারীদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ সহসভাপতির পক্ষ নিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া তাঁর (মিজানের) অনুসারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় বহিরাগত ও কুষ্টিয়া ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকে দেখা গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের দলীয় টেন্টে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। একপর্যায়ে সহসভাপতির পক্ষের সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়লে আমরা এর প্রতিরোধ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাংশের ইন্ধনে পুলিশ সহসভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়েছে।’
এদিকে দায়িত্বে থাকা কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ দুটি গুলি ছুড়েছে, কোনো গ্রুপের পক্ষ নেওয়া হয়নি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম স্থগিত করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক পক্ষের কর্মী সাইদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সংঘর্ষের জের ধরে আজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমারের অনুসারী নেতা-কর্মী এবং সহসভাপতি মিজানুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সাইফুল-অমিত অনুসারীরা ছাত্রলীগের দলীয় তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। অন্যদিকে মিজানের অনুসারীরা ছিলেন প্রশাসন ভবনের পাশের আমবাগানে। বেলা সাড়ে বারটার দিকে তাঁরা সেখান থেকে মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং তাঁদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। এতে সাইফুল-অমিত অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় কয়েকটি গুলির শব্দও শোনা যায়।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর পর মিজানের অনুসারী নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিলে তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থান নেন। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শীতকালীন ছুটি এগিয়ে এনে আজ শনিবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। এতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে এবং আগামী ৩ জানুয়ারি প্রশাসনিক ও ৬ জানুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আবাসিক শিক্ষার্থীদের অনেকেই আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে হল ছেড়ে গেছেন।
ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর সাইফুল-অমিত অনুসারীদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ সহসভাপতির পক্ষ নিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া তাঁর (মিজানের) অনুসারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় বহিরাগত ও কুষ্টিয়া ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকে দেখা গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের দলীয় টেন্টে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। একপর্যায়ে সহসভাপতির পক্ষের সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়লে আমরা এর প্রতিরোধ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাংশের ইন্ধনে পুলিশ সহসভাপতি পক্ষের নেতা-কর্মীদের পক্ষ নিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়েছে।’
এদিকে দায়িত্বে থাকা কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ দুটি গুলি ছুড়েছে, কোনো গ্রুপের পক্ষ নেওয়া হয়নি।’
No comments