বাউফলে মিন্টুর মাল্টা-কমলালেবু বাগান
উপকূলীয়
অঞ্চল পটুয়াখালীর বাউফলে বিদেশি ফল মাল্টা-কমলালেবু চাষে ব্যাপক সফলতা লাভ
করেছেন ধূলিয়া ইউনিয়নের মিজানুর রহমান (টিটু) নামে এক যুবক। তিনি পেশায়
একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী হলেও শখের বশে ২০১৬ সালে প্রায় ৮ একর জমির ওপর
মিজান গার্ডেন নামে একটি বাগান বাড়ি গড়ে তোলেন নিজ গ্রাম ধূলিয়ায়। সেখানে
পার্সিমন, রাম্বুটান, ড্রাগন, প্যাশন, জাম্বুরা, পেঁপে, পেয়ারা, কমলার মতো
নানা জাতের দেশি বিদেশি ফল গাছের পাশাপাশি বরিশালের স্বরূপকাঠীর একটি
নার্সারি থেকে এনে শতাধিক মাল্টা-কমলালেবুর চারা রোপণ করেন। দীর্ঘ তিনবছর
নিয়মিত পরিচর্যা ও দেখভাল করার পর এ বছর মিজান গার্ডেনে দেখা গিয়েছে
মাল্টার বাম্পার ফলন। মিজানুর রহমান টিটু ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার
ব্যবসায়ী। মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে বাগান দেখাশোনা করেন তিনি। সার্বক্ষণিক
বাগান সৃজন ও পরিচর্যার দায়িত্বে রয়েছেন তুষার ইমরান। তিনি জানান, মাটিতে
গোবর মিশিয়ে রোপণ করা হয় নাগপুরী, বারি-১, চায়না, এলাচি, বেড়াকাটা জাতের
কমলা ও পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান বারি জাতের শতাধিক মাল্টা চারা।
রাসায়নিক সার ওষুধ ছাড়াই জৈবসার আর প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা ও নিয়মিত পানি দেয়ায় ফল আসে গাছগুলোতে। গাছ গাছে এখন ছবির মতো ঝুলে আছে পাকা-আধাপাকা মাল্টা। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অন্তত এক মণ মাল্টা। বিক্রির প্রয়োজন না থাকায় পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশী ও স্থানীয় দুস্থ লোকজনের মাঝে এসব মাল্টা বিলিয়ে দিতে পারবেন তারা। গাছে গাছে মাল্টা ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের অনেকেই অভিভূত হচ্ছেন। চারা গাছ কিংবা মাল্টার কলম সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন অনেকেই। দেখভালের দায়িত্বে থাকা অরেকজন শিক্ষক আরিফুর রহমান জানান- জলপাই, জাম্বুরা, থাই জাম্বুরা, কামরাঙা, বেড়াকাটা লেবু, বেড়াকাটা পেয়ারা, পার্সিমন, রাম্বুটান, খাটো জাতের থাই নারিকেলসহ নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফল গাছ রয়েছে তাদের ওই বাগান বাড়িতে। রয়েছে রেডলেডি জাতের পেঁপে, লাউসহ সবজির বাগানও। নানা জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, কামিনী, জবা, জিনিয়া, আলমন্ডা, প্যারাডাইস, মাধবীলতা, গোল্ডেন শাওয়ার, মেফ্লোয়ার, লিলি, সজনেসহ দেশি-বিদেশি শোভাবর্ধক ভেষজ গাছও রয়েছে বাগানে। বাগানে আরো আছে মহাছনক, পালমার, সূর্যডিম, মিসস্পেশাল, পুনাই, পুনাই লাল, ম্যাট্রাস, ম্যাট্রাস তোঁতা, হাঁড়িভাঙা, চিনের কিউজাইসহ নানা জাতের আম গাছ। দেশি-বিদেশি ফুল-ফলের সমারোহে মিজান গার্ডেন নামে ওই বাগান বাড়ি সেজেছে যেন স্বপ্নের মতো। এ ছাড়া বাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা ও কমলালেবুসহ নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে শৌলা গ্রামের নুরজাহান গার্ডেন ও কর্পূরকাঠি গ্রামের স্বপ্নচূড়া থিম পার্কে সারি সারি গাছে ঝুলছে নাগপুরী, বারি কমলা-১, চায়না, এলাচি, বেড়াকাটাহ বিভিন্ন জাতের কমলালেবু ও মাল্টা। ক্রমাগত আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং রাসয়নিক সার ও বিষমুক্ত ফলের আশায় এখন অনেকেই ঘরের আঙিনায়, পরিত্যক্ত ভিটে-বাড়িসহ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছের চাষে ঝুঁকছেন। পৌর সদরের বাসাবাড়িতে কেউ কেউ আবার টবে ড্রাগন, মাল্টা, কমলাসহ বিভিন্ন ফল গাছ লাগিয়েছেন। গড়ে তুলছেন ছাদ বাগান। কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা বেগম বলেন, ‘সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলাসহ বিদেশের মাটিতেই কেবল ভালো কমলা কিংবা মাল্টা ফলে এমন ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। বীজ থেকে সরাসরি চারা তৈরি করা যায়। ভালো জাতের মাল্টা বা কমলালেবুর চোখ কলম, পার্শ্বকলম ও ১০-১২ মাস বয়সের চারা বাডিং ও গ্রাফটিংয়ের জন্য আদিজোড় হিসেবে ব্যবহার করা ভালো। সোজা ও ভালো বৃদ্ধি সম্পন্ন তরতাজা চারা অথবা কলম বেছে নিয়ে রোপণ করা উচিত। দেশি প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় ফল গাছের পাশাপাশি মিজান গার্ডেনে মাল্টার মতো পুষ্টিমান সম্পন্ন পরিবেশ বান্ধব ফল গাছের পরিকল্পিত বনায়ন করা জরুরি।’ কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, ‘মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ফল। এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়ও এখন কমবেশি মাল্টা ও কমলার চাষ হচ্ছে। পুষ্টির চাহিদা পূরণে অন্য পেশার পাশাপাশি শিক্ষিত লোকজনের এ ধরনের ফল চাষে এগিয়ে আসা উচিত।’ বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ অঞ্চলের মাটি মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তার প্রমাণ ইতিপূর্বে যারা মাল্টা চাষ করেছেন তারা সফল হয়েছেন। এ বছরও আমরা ২০টি মাল্টার বাগান দিয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মাল্টা চাষিদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
রাসায়নিক সার ওষুধ ছাড়াই জৈবসার আর প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা ও নিয়মিত পানি দেয়ায় ফল আসে গাছগুলোতে। গাছ গাছে এখন ছবির মতো ঝুলে আছে পাকা-আধাপাকা মাল্টা। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অন্তত এক মণ মাল্টা। বিক্রির প্রয়োজন না থাকায় পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশী ও স্থানীয় দুস্থ লোকজনের মাঝে এসব মাল্টা বিলিয়ে দিতে পারবেন তারা। গাছে গাছে মাল্টা ঝুলে থাকার দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের অনেকেই অভিভূত হচ্ছেন। চারা গাছ কিংবা মাল্টার কলম সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন অনেকেই। দেখভালের দায়িত্বে থাকা অরেকজন শিক্ষক আরিফুর রহমান জানান- জলপাই, জাম্বুরা, থাই জাম্বুরা, কামরাঙা, বেড়াকাটা লেবু, বেড়াকাটা পেয়ারা, পার্সিমন, রাম্বুটান, খাটো জাতের থাই নারিকেলসহ নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফল গাছ রয়েছে তাদের ওই বাগান বাড়িতে। রয়েছে রেডলেডি জাতের পেঁপে, লাউসহ সবজির বাগানও। নানা জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, কামিনী, জবা, জিনিয়া, আলমন্ডা, প্যারাডাইস, মাধবীলতা, গোল্ডেন শাওয়ার, মেফ্লোয়ার, লিলি, সজনেসহ দেশি-বিদেশি শোভাবর্ধক ভেষজ গাছও রয়েছে বাগানে। বাগানে আরো আছে মহাছনক, পালমার, সূর্যডিম, মিসস্পেশাল, পুনাই, পুনাই লাল, ম্যাট্রাস, ম্যাট্রাস তোঁতা, হাঁড়িভাঙা, চিনের কিউজাইসহ নানা জাতের আম গাছ। দেশি-বিদেশি ফুল-ফলের সমারোহে মিজান গার্ডেন নামে ওই বাগান বাড়ি সেজেছে যেন স্বপ্নের মতো। এ ছাড়া বাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা ও কমলালেবুসহ নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে শৌলা গ্রামের নুরজাহান গার্ডেন ও কর্পূরকাঠি গ্রামের স্বপ্নচূড়া থিম পার্কে সারি সারি গাছে ঝুলছে নাগপুরী, বারি কমলা-১, চায়না, এলাচি, বেড়াকাটাহ বিভিন্ন জাতের কমলালেবু ও মাল্টা। ক্রমাগত আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং রাসয়নিক সার ও বিষমুক্ত ফলের আশায় এখন অনেকেই ঘরের আঙিনায়, পরিত্যক্ত ভিটে-বাড়িসহ বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফলদ গাছের চাষে ঝুঁকছেন। পৌর সদরের বাসাবাড়িতে কেউ কেউ আবার টবে ড্রাগন, মাল্টা, কমলাসহ বিভিন্ন ফল গাছ লাগিয়েছেন। গড়ে তুলছেন ছাদ বাগান। কালিশুরী ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসলিমা বেগম বলেন, ‘সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলাসহ বিদেশের মাটিতেই কেবল ভালো কমলা কিংবা মাল্টা ফলে এমন ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। বীজ থেকে সরাসরি চারা তৈরি করা যায়। ভালো জাতের মাল্টা বা কমলালেবুর চোখ কলম, পার্শ্বকলম ও ১০-১২ মাস বয়সের চারা বাডিং ও গ্রাফটিংয়ের জন্য আদিজোড় হিসেবে ব্যবহার করা ভালো। সোজা ও ভালো বৃদ্ধি সম্পন্ন তরতাজা চারা অথবা কলম বেছে নিয়ে রোপণ করা উচিত। দেশি প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় ফল গাছের পাশাপাশি মিজান গার্ডেনে মাল্টার মতো পুষ্টিমান সম্পন্ন পরিবেশ বান্ধব ফল গাছের পরিকল্পিত বনায়ন করা জরুরি।’ কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, ‘মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ফল। এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়ও এখন কমবেশি মাল্টা ও কমলার চাষ হচ্ছে। পুষ্টির চাহিদা পূরণে অন্য পেশার পাশাপাশি শিক্ষিত লোকজনের এ ধরনের ফল চাষে এগিয়ে আসা উচিত।’ বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ অঞ্চলের মাটি মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তার প্রমাণ ইতিপূর্বে যারা মাল্টা চাষ করেছেন তারা সফল হয়েছেন। এ বছরও আমরা ২০টি মাল্টার বাগান দিয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মাল্টা চাষিদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
No comments