ক্যাসিনোর অন্দরমহল: সিঙ্গাপুরে ঢাকাইয়া সম্রাটদের ফেরা শুরু by মিজানুর রহমান
ঢাকার
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে উদ্বেগ আর অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল সিঙ্গাপুরেও।
সিঙ্গাপুরে সম্রাটের সহযোগী মুমিনুল হক সাঈদ ওরফে সাঈদ কমিশনার ছাড়া কেউ
প্রকাশ্যে ছিলেন না। গাঢাকা দিয়েছিলেন জুয়াড়িরা। বলতে গেলে গত ক’দিন
প্রাণহীন ছিল ‘বাঙালিপাড়া’। ঢাকা থেকে নিয়মিত যাওয়া ভিআইপি বা সাধারণ
গেস্ট-জুয়াড়িদের সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। এমনকি সিঙ্গাপুরে থাকা বাংলাদেশি
হুন্ডি কারবারিরা স্থান বদল করেছিলেন । কিন্তু সম্রাটের আটকের পরদিন অন্য
ইস্যু সামনে এসে যায়। আবরার হত্যাকাণ্ডে প্রশাসনের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায়
অভিযানের ধারাবাহিকতা নিয়ে তৈরি হয় সংশয়।
আর এমন পরিস্থিতিতে জুয়াড়ি আর হুন্ডি ব্যবসায়ীরা স্ব-স্থানে ফিরতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নিয়মিত বা অনিয়মিত জুয়ার নেশায় বুঁদে থাকা ঢাকাইয়া ক্যাসিনো সম্রাটরা বিরতি শেষে সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন সন্তোষা ক্যাসিনো এবং রাতে দেশটির বড় জুয়ার আস্তানা মেরিনা বে সেন্ডস ক্যাসিনো ঘুরে তাদের সক্রিয়তার প্রমাণ মিলেছে। সরজমিন দেখা গেছে, আগের দু’দিনের তুলনায় ঢাকা থেকে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়েছে। কোনো ধরনের টেনশন বা দুশ্চিন্তা ছাড়াই তারা নিজেদের মতো করে খেলছেন। দুই ক্যাসিনোতেই জুয়ায় পারদর্শী বাংলাদেশি সাধারণ শ্রমিকদের খেলা দেখার সুযোগ হয়েছে। বিদেশি শ্রমিক বা কর্মী যারা পিআর কার্ড পায়নি তাদের ক্যাসিনোতে খেলতে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ক্যাসিনোতে নিরুৎসাহিত করতে সরকার নাগরিক বা পিআরদের ক্যাসিনোতে প্রবেশে ২৪ ঘণ্টায় দেড়শ’ ডলার ট্যাক্স বসিয়ে রেখেছে। আরো কত কি? সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ক্যাসিনোতে গেলে নানা ধরনের জবাবদিহি করতে হয়। তিরস্কার সহ্য করতে হয়।
এত ঝক্কি ঝামেলার কারণে সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা ক্যাসিনোতে যান না বললেই চলে! ক্যাসিনোগুলোতে চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা বেশি যান। তবে বাংলাদেশিদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ঢাকা থেকে যাওয়া ও বসবাসরত সাধারণ শ্রমিক মিলে সিঙ্গাপুরের দুটি ক্যাসিনোতে প্রতিদিন ১৫-১৭ পারসেন্ট হবে বাংলাদেশি নাগরিক। এর মধ্যে বেশির ভাগই খেলেন মেরিনায়। সন্তোষা ক্যাসিনো বেশ দূরে, আগে বাংলাদেশিরা এত দূর যেতেন না। কিন্তু এখন নানা কারণে তারা ওই মুখী হচ্ছেন। বাংলাদেশি সাধারণ জুয়াড়িদের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে মেরিনায় দেখা মিলেছে তুলনামূলক পরিচিত বাংলাদেশি দুটি দম্পতির। স্ত্রীরা স্বামীদের খেলা নির্বিঘ্ন রাখতে ডলার ভাঙানো বা সরবরাহে কেবল ব্যস্তই থাকেননি, তারাও পূর্ণ মনোযোগী হয়ে দক্ষ জুয়াড়ির মতোই মেশিনকে হারানোর চেষ্টা করেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দু’জন পুরুষ এবং দু’জন নারী, যারা পরস্পর বন্ধু এবং ফ্যামিলি ফ্রেন্ডস বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই দুই দম্পতির মধ্যরাতে মেরিনা বে সেন্ডসে অপলক নেত্রে রুলেট খেলা অবস্থার একটি ছবি পাওয়া গেছে। এক ফ্রেমেই তাদের ধারণ করা গেছে। বলাবলি আছে, ওই চারজনই সম্রাটের ঘনিষ্ঠ। একজন তার পরিবারেরই। ইলেক্ট্রনিক এবং ম্যানুয়েল দুই বোর্ডেই খেলেন তারা। তাদের টানা এবং নির্বিঘ্ন খেলা সবার পছন্দ। ‘বাদল গ্রুপের মেম্বার’ নামেই বাংলাদেশিরা তাদের চেনেন। ওই গ্রুপে একাধিক এমপিও যুক্ত হন। মূলত তারা রুলেটই খেলেন।
১৯ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে আছেন আশুলিয়ার একজন। ক্যাসিনোতে খেলছেন দীর্ঘ ১২-১৩ বছর ধরে। অঙ্কের হিসাব বলে- ওই জুয়াড়ির এতদিনে পাইজা প্লাটিনাম মেম্বার কার্ড অর্জনের কথা। কিন্তু লেনদেন কম হওয়ার কারণে কার্ডে পজিশন বাড়েনি। এটা তার আফসোস। অবশ্য তার নিজের ব্যর্থতা এবং সীমাবদ্ধতার কথাও অকপটে স্বীকার করেন।
তার বন্ধু পাইজা রুমে খেলেন। তিনি নিচ তলায়। কিন্তু সেখানেও ঘটিয়ে বসেছেন অঘটন। টানা নির্ঘুম রাত কাটানো, অর্থকড়ি হারিয়ে পাগলপারা অবস্থা। এক রাতে ক্যাসিনোতে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে যায় সার্ভিলেন্স টিম। যা হওয়ার তাই হয়। তাকে তাৎক্ষণিক বের করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে তার শাস্তিও হয়ে যায়। ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের আওতায় এক বছরের জন্য মেরিনায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এলোমেলো চুল-দাড়ির কারণে ‘পাগলা বাবা’ বা ‘শিখ বাবা’ নামে পরিচিতি পাওয়া ওই জুয়াড়ির। তার নামডাক আগেই শুনেছি। কাল তার দেখা পাওয়া যায় সন্তোষায়। আশুলিয়ার ওই জুয়াড়ি সম্রাটের খেলা দেখেছেন। তার স্টাইল অব প্লে’র ভক্ত তিনি। তবে ক্যাসিনোর ওই চোরাবালিতে তার মতো কেউ যেনো না হারিয়ে যায়! এটাই বারবার বলছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে বসবাসরত কুমিল্লার বরুড়ার বাসিন্দা একজন জুয়াড়ির সঙ্গে দেখা হয়েছিল মঙ্গল ও বুধবার দু’দিনই। স্থান মেরিনা। দফায় দফায় কথা হয়েছে। এখানে তার শেয়ারে একটি কোম্পানি আছে। যার কার্ড শেয়ার করছেন। তার দাবি এক মাস হয় তিনি এ জগতে। মোটে ১০-১২ দিন খেলেছেন। প্রথম দিন খুইয়েছেন ৩০০০ ডলার। পরদিন নিচতলায় ব্যাংকার প্লেয়ার খেলে মধ্যরাতে সাড়ে ৭ হাজার ডলারের মতো লাভ করেছিলেন। নতুন পরিচিত এবং বন্ধু হওয়া লোকজনের থেকে বিদায়ও নিয়েছিলেন রুমে ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ফিরতে পারেননি। দোতলা হয়ে বের হতে হয় মেরিনা। বিশাল এলাকা। দোতলায় বড় দানের খেলা।
লাভ-লোকসানও বেশি বেশি। লোভ সংবরণ করতে পারেননি। দাঁড়িয়ে যান। মুহূর্তেই ফতুর। লাভ-মূলধন সবই শেষ। তার মতে, এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন তিনি আসছেন ওই অর্থ তুলতে। লাভ করতে। অল্প ডলার নিয়ে কাজ শেষেও ঢুকে পড়েন। কিছু আসে। কিন্তু রাত শেষে সবই দিয়ে আসতে হয়। ভোর সাড়ে ৬টায় মেট্রোরেল বা এমআরটি যখন খোলে তখন খালি হাতেই বাড়ির পথে যেতে হয়। নব্য ওই জুয়াড়ি বলছিলেন দেশে তার স্ত্রী আছেন, সাড়ে ৩ বছরের একটি মেয়েও আছে। ক্যাসিনোতে সময় কাটানোয় এখন তার কাজকর্ম, সাব-কন্ট্রাক্টের ব্যবসা লাটে ওঠেছে। ক্যাসিনোতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ডলার খুইয়েছেন। তার সাব-কন্ট্রাক্টের কাজে লোক ডাকেন, কিন্তু কেউ যায় না। বাড়িতে টাকা তো নয়ই, ক্যাসিনোতে রাত কাটানোর কারণে ঠিকমতো বউ-বাচ্চার সঙ্গে কথাও বলতে পারেন না।
আর এমন পরিস্থিতিতে জুয়াড়ি আর হুন্ডি ব্যবসায়ীরা স্ব-স্থানে ফিরতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নিয়মিত বা অনিয়মিত জুয়ার নেশায় বুঁদে থাকা ঢাকাইয়া ক্যাসিনো সম্রাটরা বিরতি শেষে সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন সন্তোষা ক্যাসিনো এবং রাতে দেশটির বড় জুয়ার আস্তানা মেরিনা বে সেন্ডস ক্যাসিনো ঘুরে তাদের সক্রিয়তার প্রমাণ মিলেছে। সরজমিন দেখা গেছে, আগের দু’দিনের তুলনায় ঢাকা থেকে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়েছে। কোনো ধরনের টেনশন বা দুশ্চিন্তা ছাড়াই তারা নিজেদের মতো করে খেলছেন। দুই ক্যাসিনোতেই জুয়ায় পারদর্শী বাংলাদেশি সাধারণ শ্রমিকদের খেলা দেখার সুযোগ হয়েছে। বিদেশি শ্রমিক বা কর্মী যারা পিআর কার্ড পায়নি তাদের ক্যাসিনোতে খেলতে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ক্যাসিনোতে নিরুৎসাহিত করতে সরকার নাগরিক বা পিআরদের ক্যাসিনোতে প্রবেশে ২৪ ঘণ্টায় দেড়শ’ ডলার ট্যাক্স বসিয়ে রেখেছে। আরো কত কি? সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের ক্যাসিনোতে গেলে নানা ধরনের জবাবদিহি করতে হয়। তিরস্কার সহ্য করতে হয়।
এত ঝক্কি ঝামেলার কারণে সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা ক্যাসিনোতে যান না বললেই চলে! ক্যাসিনোগুলোতে চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা বেশি যান। তবে বাংলাদেশিদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। ঢাকা থেকে যাওয়া ও বসবাসরত সাধারণ শ্রমিক মিলে সিঙ্গাপুরের দুটি ক্যাসিনোতে প্রতিদিন ১৫-১৭ পারসেন্ট হবে বাংলাদেশি নাগরিক। এর মধ্যে বেশির ভাগই খেলেন মেরিনায়। সন্তোষা ক্যাসিনো বেশ দূরে, আগে বাংলাদেশিরা এত দূর যেতেন না। কিন্তু এখন নানা কারণে তারা ওই মুখী হচ্ছেন। বাংলাদেশি সাধারণ জুয়াড়িদের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে মেরিনায় দেখা মিলেছে তুলনামূলক পরিচিত বাংলাদেশি দুটি দম্পতির। স্ত্রীরা স্বামীদের খেলা নির্বিঘ্ন রাখতে ডলার ভাঙানো বা সরবরাহে কেবল ব্যস্তই থাকেননি, তারাও পূর্ণ মনোযোগী হয়ে দক্ষ জুয়াড়ির মতোই মেশিনকে হারানোর চেষ্টা করেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দু’জন পুরুষ এবং দু’জন নারী, যারা পরস্পর বন্ধু এবং ফ্যামিলি ফ্রেন্ডস বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই দুই দম্পতির মধ্যরাতে মেরিনা বে সেন্ডসে অপলক নেত্রে রুলেট খেলা অবস্থার একটি ছবি পাওয়া গেছে। এক ফ্রেমেই তাদের ধারণ করা গেছে। বলাবলি আছে, ওই চারজনই সম্রাটের ঘনিষ্ঠ। একজন তার পরিবারেরই। ইলেক্ট্রনিক এবং ম্যানুয়েল দুই বোর্ডেই খেলেন তারা। তাদের টানা এবং নির্বিঘ্ন খেলা সবার পছন্দ। ‘বাদল গ্রুপের মেম্বার’ নামেই বাংলাদেশিরা তাদের চেনেন। ওই গ্রুপে একাধিক এমপিও যুক্ত হন। মূলত তারা রুলেটই খেলেন।
১৯ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে আছেন আশুলিয়ার একজন। ক্যাসিনোতে খেলছেন দীর্ঘ ১২-১৩ বছর ধরে। অঙ্কের হিসাব বলে- ওই জুয়াড়ির এতদিনে পাইজা প্লাটিনাম মেম্বার কার্ড অর্জনের কথা। কিন্তু লেনদেন কম হওয়ার কারণে কার্ডে পজিশন বাড়েনি। এটা তার আফসোস। অবশ্য তার নিজের ব্যর্থতা এবং সীমাবদ্ধতার কথাও অকপটে স্বীকার করেন।
তার বন্ধু পাইজা রুমে খেলেন। তিনি নিচ তলায়। কিন্তু সেখানেও ঘটিয়ে বসেছেন অঘটন। টানা নির্ঘুম রাত কাটানো, অর্থকড়ি হারিয়ে পাগলপারা অবস্থা। এক রাতে ক্যাসিনোতে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে যায় সার্ভিলেন্স টিম। যা হওয়ার তাই হয়। তাকে তাৎক্ষণিক বের করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে তার শাস্তিও হয়ে যায়। ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের আওতায় এক বছরের জন্য মেরিনায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এলোমেলো চুল-দাড়ির কারণে ‘পাগলা বাবা’ বা ‘শিখ বাবা’ নামে পরিচিতি পাওয়া ওই জুয়াড়ির। তার নামডাক আগেই শুনেছি। কাল তার দেখা পাওয়া যায় সন্তোষায়। আশুলিয়ার ওই জুয়াড়ি সম্রাটের খেলা দেখেছেন। তার স্টাইল অব প্লে’র ভক্ত তিনি। তবে ক্যাসিনোর ওই চোরাবালিতে তার মতো কেউ যেনো না হারিয়ে যায়! এটাই বারবার বলছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে বসবাসরত কুমিল্লার বরুড়ার বাসিন্দা একজন জুয়াড়ির সঙ্গে দেখা হয়েছিল মঙ্গল ও বুধবার দু’দিনই। স্থান মেরিনা। দফায় দফায় কথা হয়েছে। এখানে তার শেয়ারে একটি কোম্পানি আছে। যার কার্ড শেয়ার করছেন। তার দাবি এক মাস হয় তিনি এ জগতে। মোটে ১০-১২ দিন খেলেছেন। প্রথম দিন খুইয়েছেন ৩০০০ ডলার। পরদিন নিচতলায় ব্যাংকার প্লেয়ার খেলে মধ্যরাতে সাড়ে ৭ হাজার ডলারের মতো লাভ করেছিলেন। নতুন পরিচিত এবং বন্ধু হওয়া লোকজনের থেকে বিদায়ও নিয়েছিলেন রুমে ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ফিরতে পারেননি। দোতলা হয়ে বের হতে হয় মেরিনা। বিশাল এলাকা। দোতলায় বড় দানের খেলা।
লাভ-লোকসানও বেশি বেশি। লোভ সংবরণ করতে পারেননি। দাঁড়িয়ে যান। মুহূর্তেই ফতুর। লাভ-মূলধন সবই শেষ। তার মতে, এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন তিনি আসছেন ওই অর্থ তুলতে। লাভ করতে। অল্প ডলার নিয়ে কাজ শেষেও ঢুকে পড়েন। কিছু আসে। কিন্তু রাত শেষে সবই দিয়ে আসতে হয়। ভোর সাড়ে ৬টায় মেট্রোরেল বা এমআরটি যখন খোলে তখন খালি হাতেই বাড়ির পথে যেতে হয়। নব্য ওই জুয়াড়ি বলছিলেন দেশে তার স্ত্রী আছেন, সাড়ে ৩ বছরের একটি মেয়েও আছে। ক্যাসিনোতে সময় কাটানোয় এখন তার কাজকর্ম, সাব-কন্ট্রাক্টের ব্যবসা লাটে ওঠেছে। ক্যাসিনোতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ডলার খুইয়েছেন। তার সাব-কন্ট্রাক্টের কাজে লোক ডাকেন, কিন্তু কেউ যায় না। বাড়িতে টাকা তো নয়ই, ক্যাসিনোতে রাত কাটানোর কারণে ঠিকমতো বউ-বাচ্চার সঙ্গে কথাও বলতে পারেন না।
No comments