ভারতে ৫৮ জনের মন্ত্রিসভায়: ৯০ শতাংশ মন্ত্রীই কোটিপতি- নতুন মুখ ২৩
ভারতে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ৫৮ জনের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত
হয়েছে। এই নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ ২৩ জন। আর নারী মন্ত্রী হয়েছেন মাত্র ৬
জন। প্রথম সংসদ সদস্য হয়েই মন্ত্রী হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে রয়েছেন
পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ থেকে নির্বাচিত দেবশ্রী চৌধুরী। গতবার এই সংখ্যাটি
ছিল ৮ জন। মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু মুখ মাত্র ১ জন। তিনি হলেন মুক্তার আব্বাস
নকভি।
তিনি গতবারও মন্ত্রী ছিলেন। এবারের মন্ত্রিসভায় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সংসদ সদস্যদের থেকে ১৯ শতাংশকে মন্ত্রী করা হচ্ছে। গতবার ছিল ১৭.৪ শতাংশ। এবারের মন্ত্রীদের মধ্যে ৫৩ জনই বিজেপির, একজন সাবেক কূটনীতিবিদ। শরিক দলগুলো থেকে এবার মাত্র ৪ জন মন্ত্রী হয়েছেন। এনডিএ-র শরিক দলগুলোর মধ্যে সংযুক্ত জনতা দল, এডিএমকে ও আপনা দল এবারের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে রাজি হয়নি। গত মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অসুস্থতার কারণে মন্ত্রিসভায় আসতে রাজি হন নি। তবে বাদ পড়েছেন মানেকা গান্ধী, সুরেশ প্রভু, জয়ন্ত সিনহা, রাজ্যবর্ধন রাঠোরে, জুয়েল ওরাঁও, মহেশ শর্মা, রাধা মোহন সিং, অনুপ্রিয়া প্যাটেল ও জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েটরা। অবশ্য জেপি নাড্ডাকে বিজেপির সভাপতি করার ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী গত মন্ত্রিসভার ৪৪ শতাংশ মন্ত্রীকেই বাদ দিয়েছেন।
জানা গেছে, জাতপাতের অঙ্ক ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রেখেই মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই করা হয়েছে। তবে আগামী দিনে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। ২০১৪ সালে মোদি প্রথম সরকার গঠন করেছিলেন ৪৬ জনকে নিয়ে। এর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন ২৪ জন, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ১০ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ১২ জন। পরে অবশ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়ে ৭১-এ পৌঁছেছিল। এবার ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তবে লোকসভার সদস্য সংখ্যার বিচারে মন্ত্রিসভার আয়তন ৮১ পর্যন্ত (১৯ শতাংশ) বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এবারের মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী হয়েছেন হিন্দি বলয় বলে পরিচিত রাজ্যগুলো থেকে। মোট ৩১ জন এই হিন্দি বলয় থেকে মন্ত্রী হয়েছে। আর রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী হয়েছেন উত্তর প্রদেশ থেকে ৯ জন।
এরপরেই বেশি মন্ত্রী হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে ৮ জন। এবারের মন্ত্রিসভায় ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। জানা গেছে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ৯০ শতাংশই কোটিপতি। সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী হলেন হরসিমরাত কাউর বাদল। তার সম্পদের পরিমাণ ২১৭.৯ কোটি রুপি। আর সবচেয়ে গরিব মন্ত্রী হলেন প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি। তার সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১৩ লাখ রুপি। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে কনিষ্ঠতম সদস্য হলেন ৩৫ বছরের কৈলাশ চৌধুরী এবং সবচেয়ে প্রবীণ মন্ত্রী হলেন ৭২ বছরের রামবিলাস পাশোয়ান। মন্ত্রিসভার মাত্র ১০ জন মন্ত্রীর বয়স ৫০ বছরের নিচে। বাকিদের বয়স ৫১ থেকে ৭২ বছরের মধ্যে। রামবিলাস পাশোয়ান ১০ বার সংসদ সদস্য হয়ে রেকর্ড করেছেন। অন্যদিকে সন্তোষ গাঙ্গোয়ার ৭ বার সংসদ সদস্য হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে এক রাজকীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ৮ হাজার অতিথির উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন।
তিনি গতবারও মন্ত্রী ছিলেন। এবারের মন্ত্রিসভায় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সংসদ সদস্যদের থেকে ১৯ শতাংশকে মন্ত্রী করা হচ্ছে। গতবার ছিল ১৭.৪ শতাংশ। এবারের মন্ত্রীদের মধ্যে ৫৩ জনই বিজেপির, একজন সাবেক কূটনীতিবিদ। শরিক দলগুলো থেকে এবার মাত্র ৪ জন মন্ত্রী হয়েছেন। এনডিএ-র শরিক দলগুলোর মধ্যে সংযুক্ত জনতা দল, এডিএমকে ও আপনা দল এবারের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে রাজি হয়নি। গত মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অসুস্থতার কারণে মন্ত্রিসভায় আসতে রাজি হন নি। তবে বাদ পড়েছেন মানেকা গান্ধী, সুরেশ প্রভু, জয়ন্ত সিনহা, রাজ্যবর্ধন রাঠোরে, জুয়েল ওরাঁও, মহেশ শর্মা, রাধা মোহন সিং, অনুপ্রিয়া প্যাটেল ও জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েটরা। অবশ্য জেপি নাড্ডাকে বিজেপির সভাপতি করার ভাবনা চিন্তা চলছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী গত মন্ত্রিসভার ৪৪ শতাংশ মন্ত্রীকেই বাদ দিয়েছেন।
জানা গেছে, জাতপাতের অঙ্ক ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রেখেই মন্ত্রিসভার সদস্য বাছাই করা হয়েছে। তবে আগামী দিনে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহল। ২০১৪ সালে মোদি প্রথম সরকার গঠন করেছিলেন ৪৬ জনকে নিয়ে। এর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন ২৪ জন, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ১০ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ১২ জন। পরে অবশ্য মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়ে ৭১-এ পৌঁছেছিল। এবার ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৯ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২৪ জন প্রতিমন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তবে লোকসভার সদস্য সংখ্যার বিচারে মন্ত্রিসভার আয়তন ৮১ পর্যন্ত (১৯ শতাংশ) বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এবারের মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী হয়েছেন হিন্দি বলয় বলে পরিচিত রাজ্যগুলো থেকে। মোট ৩১ জন এই হিন্দি বলয় থেকে মন্ত্রী হয়েছে। আর রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী হয়েছেন উত্তর প্রদেশ থেকে ৯ জন।
এরপরেই বেশি মন্ত্রী হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে ৮ জন। এবারের মন্ত্রিসভায় ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। জানা গেছে, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ৯০ শতাংশই কোটিপতি। সবচেয়ে ধনী মন্ত্রী হলেন হরসিমরাত কাউর বাদল। তার সম্পদের পরিমাণ ২১৭.৯ কোটি রুপি। আর সবচেয়ে গরিব মন্ত্রী হলেন প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি। তার সম্পদের পরিমাণ মাত্র ১৩ লাখ রুপি। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে কনিষ্ঠতম সদস্য হলেন ৩৫ বছরের কৈলাশ চৌধুরী এবং সবচেয়ে প্রবীণ মন্ত্রী হলেন ৭২ বছরের রামবিলাস পাশোয়ান। মন্ত্রিসভার মাত্র ১০ জন মন্ত্রীর বয়স ৫০ বছরের নিচে। বাকিদের বয়স ৫১ থেকে ৭২ বছরের মধ্যে। রামবিলাস পাশোয়ান ১০ বার সংসদ সদস্য হয়ে রেকর্ড করেছেন। অন্যদিকে সন্তোষ গাঙ্গোয়ার ৭ বার সংসদ সদস্য হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে এক রাজকীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ৮ হাজার অতিথির উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন।
No comments