প্রশাসক বসছেন সিলেট চেম্বারে by ওয়েছ খছরু
শেষ
পর্যন্ত প্রশাসকই বসছেন সিলেট চেম্বারে। ৩০শে মে শেষ হয়ে গেছে বর্তমান
পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ। সুতরাং এখন সংকট কাটাতে হলে প্রশাসকই বসাতে হবে
চেম্বারে। তবে- গতকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো
নির্দেশনা আসেনি। এদিকে- সিলেট চেম্বারের এই শনির দশায় বেশির ভাগ ব্যবসায়ী
অখুশি।
এজন্য তারা সিলেট চেম্বারের বিদায়ী সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদের বিতর্কিত ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। তারা জানান- খন্দকার শিপার আহমদের সদিচ্ছা থাকলে তিনি এ সংকট থেকে চেম্বারকে উত্তরণ ঘটাতে পারতেন। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে উল্টো তিনি নিজেই চেম্বারকে বিতর্কের মুখে ফেলে দিয়েছেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পরিচালকদের কারণেই বার বার বিতর্কের মুখে পড়ে এই প্রতিষ্ঠান। বিগত কয়েক দশক ধরে নির্বাচন নিয়েই জটিলতা দেখা দেয় সিলেট চেম্বারে। নির্বাচন এলেই ভুয়া ভোটার তালিকা, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন্ন করেছে পরিচালনায় থাকা সদস্যরা। কেউ কেউ ঘুরে ফিরে বার বারই ক্ষমতায় আসতে চাওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন নিয়ে নানা সংকট তৈরি হওয়ার কারণে সিলেটের ব্যবসায়ীদের একাংশ নির্ভেজাল সংগঠন গড়ার লক্ষ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি সিলেট চেম্বারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিতর্ক ছাড়াই তার অবস্থান ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুদৃঢ় করেছে। পাশাপাশি সিলেট চেম্বারে মহিলা ব্যবসায়ীরা তেমন সুবিধা না পাওয়ায় সিলেটে উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে তোলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সিলেট চেম্বারে এখন আর বিরোধ থাকার কথা নয়। এর কারণ- যারা এখন চেম্বারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা সবাই প্রায় এক বলয়ের মানুষ। ব্যবসায়িক ভাবেও তাদের সম্পর্ক নিবিড়।
এ কারণে সিলেট চেম্বারে নির্বাচন নিয়ে সংকট থাকার কথা নয়। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে অনিয়ম করে তিনটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং প্রায় ৮০ জনকে অবৈধ ভোটার করায় এবার সংকট দেখা দেয়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি তদন্ত করে এর সত্যতা পায়। এদিকে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রায় ১ মাস আগে সিলেট চেম্বারে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও আপীল বোর্ড পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে- গত ৩০শে মে ছিলো সিলেট চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারার কারণে এখন চেম্বারে বসছেন প্রশাসক। কে হচ্ছেন চেম্বারের প্রশাসক- এ নিয়ে এখন জল্পনার অন্ত নেই সিলেটে। প্রশাসক পদে সরকারি কর্মকর্তা এবার যদি নিয়োগ করা না হয় তাহলে ব্যবসায়ী, সুশীল, বা ক্লিন ইমেজের যে কাউকে প্রশাসক পদে আসতে পারেন।
তবে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা থাকায় ভোট কার্যক্রম স্বচ্ছ কিংবা নির্বাচন যথাসময়ে সম্পন্ন করা নিয়ে সময় ক্ষেপন হওয়ার বিষয়টিও ভাবছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এদিক বিবেচনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কাউকে চূড়ান্ত করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে প্রশাসক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে তিনজনের নাম। এই তিনজন হলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত ও সীমান্তিকের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির এবং সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্নেহধন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিম। এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- সভাপতি হিসেবে আজ ৩০শে মে পর্যন্ত আমার মেয়াদ ছিল। এখন নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক দায়িত্ব নেয়ার কথা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত কাজ শেষ করেছে বলে শুনেছি।
এজন্য তারা সিলেট চেম্বারের বিদায়ী সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদের বিতর্কিত ভূমিকাকে দায়ী করেছেন। তারা জানান- খন্দকার শিপার আহমদের সদিচ্ছা থাকলে তিনি এ সংকট থেকে চেম্বারকে উত্তরণ ঘটাতে পারতেন। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে উল্টো তিনি নিজেই চেম্বারকে বিতর্কের মুখে ফেলে দিয়েছেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পরিচালকদের কারণেই বার বার বিতর্কের মুখে পড়ে এই প্রতিষ্ঠান। বিগত কয়েক দশক ধরে নির্বাচন নিয়েই জটিলতা দেখা দেয় সিলেট চেম্বারে। নির্বাচন এলেই ভুয়া ভোটার তালিকা, জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন্ন করেছে পরিচালনায় থাকা সদস্যরা। কেউ কেউ ঘুরে ফিরে বার বারই ক্ষমতায় আসতে চাওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন নিয়ে নানা সংকট তৈরি হওয়ার কারণে সিলেটের ব্যবসায়ীদের একাংশ নির্ভেজাল সংগঠন গড়ার লক্ষ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি সিলেট চেম্বারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিতর্ক ছাড়াই তার অবস্থান ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুদৃঢ় করেছে। পাশাপাশি সিলেট চেম্বারে মহিলা ব্যবসায়ীরা তেমন সুবিধা না পাওয়ায় সিলেটে উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে তোলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সিলেট চেম্বারে এখন আর বিরোধ থাকার কথা নয়। এর কারণ- যারা এখন চেম্বারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা সবাই প্রায় এক বলয়ের মানুষ। ব্যবসায়িক ভাবেও তাদের সম্পর্ক নিবিড়।
এ কারণে সিলেট চেম্বারে নির্বাচন নিয়ে সংকট থাকার কথা নয়। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে অনিয়ম করে তিনটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং প্রায় ৮০ জনকে অবৈধ ভোটার করায় এবার সংকট দেখা দেয়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি তদন্ত করে এর সত্যতা পায়। এদিকে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রায় ১ মাস আগে সিলেট চেম্বারে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও আপীল বোর্ড পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে- গত ৩০শে মে ছিলো সিলেট চেম্বারের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারার কারণে এখন চেম্বারে বসছেন প্রশাসক। কে হচ্ছেন চেম্বারের প্রশাসক- এ নিয়ে এখন জল্পনার অন্ত নেই সিলেটে। প্রশাসক পদে সরকারি কর্মকর্তা এবার যদি নিয়োগ করা না হয় তাহলে ব্যবসায়ী, সুশীল, বা ক্লিন ইমেজের যে কাউকে প্রশাসক পদে আসতে পারেন।
তবে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা থাকায় ভোট কার্যক্রম স্বচ্ছ কিংবা নির্বাচন যথাসময়ে সম্পন্ন করা নিয়ে সময় ক্ষেপন হওয়ার বিষয়টিও ভাবছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে এদিক বিবেচনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কাউকে চূড়ান্ত করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে প্রশাসক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে তিনজনের নাম। এই তিনজন হলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত ও সীমান্তিকের চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির এবং সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্নেহধন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিম। এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- সভাপতি হিসেবে আজ ৩০শে মে পর্যন্ত আমার মেয়াদ ছিল। এখন নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক দায়িত্ব নেয়ার কথা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত কাজ শেষ করেছে বলে শুনেছি।
No comments