তামিমকে নিয়ে দুশ্চিন্তা by ইশতিয়াক পারভেজ
কালই
শুরু হবে বাংলাদেশ দলের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আসল লড়াই। সেই লড়াইয়ের
প্রস্তুতি নিতে ওভাল স্টেডিয়ামে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই মাঠে আসে বাংলাদেশ
দল। কিন্তু অনুশীলন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমতে
শুরু করে টাইগারদের ক্রিকেট আকাশে। নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন দেশের
সেরা ওপেনার ও দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তখন থ্রোয়ার থেকে ছুটে
যাওয়া একটি বল তার বাম হাতে এসে আঘাত হানে। তাতেই ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন
দলের অন্যতম ব্যাটিং কাণ্ডারি। ধীরে ধীরে জমতে শুরু করে শঙ্কার মেঘ। প্রশ্ন
তৈরি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেনতো
তিনি! যদিও দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন খুব বেশি চিন্তা
নেই তাকে নিয়ে।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে এসে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও তেমন কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সে মাত্রই নেটে চোট পেয়েছে। কি পরিমান চোট তা এখনই বলতে পারছি না। আমার মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে। এখনি কথা বললে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।’
তামিমকে নিয়ে শঙ্কা মানে দলের জন্য সত্যি বড় দুঃসংবাদ। কারণ তার উপরই নির্ভর করছে দলের অনেক আশা। অন্যদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, কোন রকম ঝুঁকি না নিতেই হাতে ব্যথা পাওয়ার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন তামিম। তার চোটের জায়গাতে এক্সরে করানো হবে। হাতে এখনো এক দিন সময় আছে। এরপর যদি তিনি খেলতে না পারেন তাহলে কী হবে? হ্যা, আশা একেবারেই নেই তা নয়। বিকল্প হিসেবে দলে আছেন সৌম্য সরকার। তিনি দারুণ ফর্মে আছেন আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে। এছাড়াও লিটন কুমার দাস আছেন। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের দৃঢ়তা দেখিয়েছেন ব্যাট হাতে। তাই একটু হলেও আশা রাখা যায় তাদের উপর। তবে ওপেনিংয়ে তামিম মাঠে নামতে না পারলে সত্যি বড় বিপদই আছে টাইগারদের সামনে।
অন্যদিকে দলে আরো বেশ কয়েকজন সদস্য আছেন ইনজুরিতে। এর মধ্যে তরুণ পেসার সাইফউদ্দিন ছাড়াও আছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। ইংলিশ কন্ডিশনে পেসারদের বিকল্প নেই। তাদের ভালো করার উপরই দলের জয় পরাজয় নির্ভর করছে। বোলিং কোচ জানালেন সাইফুদ্দিনের অবস্থা জানাতে তারা আরো কিছুটা সময় নিবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুদিন সময় পাচ্ছি। সাইফউদ্দিনের শেষ ম্যাচে একটা চোট ছিল। তাই আজ ওকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয়েছে। সে কতটা সেরে উঠল কাল আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখব।’ এছাড়াও অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়েও চিন্তার শেষ নেই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছে তার। তাকে নিয়ে কোচ ওয়ালশ অবশ্য আশার কথাই শোনালেন। তিনি বলেন ‘আমার মনে হয় ম্যাশের কিছুটা অস্বস্তি ছিল তাই আজ তেমন অনুশীলন করেনি। সেটাও কাল দেখব কী অবস্থা। মোস্তাফিজ ঠিক আছে, ওরও সমস্যা ছিল কিছুটা। কিন্তু আজ ভালোই বল করেছে।’
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একাদশ কেমন হবে তা নিয়ে যত আলোচনা তার চেয়ে বেশি আলোচনা এখন পেসারদের নিয়ে। কারা হবেন মাশরাফির পেস আক্রমণের সঙ্গী? রুবেল হোসেন ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে করেছেন দারুণ বোলিংও। রান খরচ করলেও তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। মোস্তাফিজও আছেন ভালো অবস্থাতে। প্রস্তুতি ম্যাচ মোস্তাফিজের বলের গতি দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেন অধিনায়ক মাশরাফি। সাইফউদ্দিনের খেলার সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না। যদি তিনি না খেলেন তাহলে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ভূমিকাট পালন করতে হবে সৌম্য সরকারকেই। তবে সাইফউদ্দিরের উপর দারুণ আস্থা কোচের। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে রুবেল খুব বেশি ম্যাচ পায়নি। কিন্তু তিন পেসার নিয়ে খেললে তাকে পাওয়া বেশ ভালো। তবে আমার মনে হয় এতদিন যাকে (সাইফউদ্দিন) খেলানো হয়েছে তার উপরই আস্থা থাকবে বেশি। কিন্তু সমস্যা হলো এখন সাইফউদ্দিনের ইনজুরি আছে। এটা আবার সমান সমান করে দিয়েছে পরিস্থিতি। কাজেই বলা যাচ্ছে না কে খেলবে। সাইফউদ্দিন যদি কাল ফিট না হয় তাহলে তো ভিন্ন চিন্তায় যেতেই হবে। কিন্তু যদি সে ফিট থাকে তাহলে নির্বাচকদের মাথা ব্যথা বাড়বে। এই মূহূর্তে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের বোলিংয়ে বেশ ভালো রসদ আছে। কাল সব কিছু চূড়ান্ত করার দিন। দলে জায়গা পেতে এরকম লড়াই বেশ ইতিবাচক।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে এসে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও তেমন কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সে মাত্রই নেটে চোট পেয়েছে। কি পরিমান চোট তা এখনই বলতে পারছি না। আমার মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে। এখনি কথা বললে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।’
তামিমকে নিয়ে শঙ্কা মানে দলের জন্য সত্যি বড় দুঃসংবাদ। কারণ তার উপরই নির্ভর করছে দলের অনেক আশা। অন্যদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, কোন রকম ঝুঁকি না নিতেই হাতে ব্যথা পাওয়ার পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন তামিম। তার চোটের জায়গাতে এক্সরে করানো হবে। হাতে এখনো এক দিন সময় আছে। এরপর যদি তিনি খেলতে না পারেন তাহলে কী হবে? হ্যা, আশা একেবারেই নেই তা নয়। বিকল্প হিসেবে দলে আছেন সৌম্য সরকার। তিনি দারুণ ফর্মে আছেন আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে। এছাড়াও লিটন কুমার দাস আছেন। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের দৃঢ়তা দেখিয়েছেন ব্যাট হাতে। তাই একটু হলেও আশা রাখা যায় তাদের উপর। তবে ওপেনিংয়ে তামিম মাঠে নামতে না পারলে সত্যি বড় বিপদই আছে টাইগারদের সামনে।
অন্যদিকে দলে আরো বেশ কয়েকজন সদস্য আছেন ইনজুরিতে। এর মধ্যে তরুণ পেসার সাইফউদ্দিন ছাড়াও আছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। ইংলিশ কন্ডিশনে পেসারদের বিকল্প নেই। তাদের ভালো করার উপরই দলের জয় পরাজয় নির্ভর করছে। বোলিং কোচ জানালেন সাইফুদ্দিনের অবস্থা জানাতে তারা আরো কিছুটা সময় নিবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুদিন সময় পাচ্ছি। সাইফউদ্দিনের শেষ ম্যাচে একটা চোট ছিল। তাই আজ ওকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয়েছে। সে কতটা সেরে উঠল কাল আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখব।’ এছাড়াও অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়েও চিন্তার শেষ নেই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছে তার। তাকে নিয়ে কোচ ওয়ালশ অবশ্য আশার কথাই শোনালেন। তিনি বলেন ‘আমার মনে হয় ম্যাশের কিছুটা অস্বস্তি ছিল তাই আজ তেমন অনুশীলন করেনি। সেটাও কাল দেখব কী অবস্থা। মোস্তাফিজ ঠিক আছে, ওরও সমস্যা ছিল কিছুটা। কিন্তু আজ ভালোই বল করেছে।’
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে একাদশ কেমন হবে তা নিয়ে যত আলোচনা তার চেয়ে বেশি আলোচনা এখন পেসারদের নিয়ে। কারা হবেন মাশরাফির পেস আক্রমণের সঙ্গী? রুবেল হোসেন ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে করেছেন দারুণ বোলিংও। রান খরচ করলেও তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। মোস্তাফিজও আছেন ভালো অবস্থাতে। প্রস্তুতি ম্যাচ মোস্তাফিজের বলের গতি দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেন অধিনায়ক মাশরাফি। সাইফউদ্দিনের খেলার সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না। যদি তিনি না খেলেন তাহলে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ভূমিকাট পালন করতে হবে সৌম্য সরকারকেই। তবে সাইফউদ্দিরের উপর দারুণ আস্থা কোচের। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে রুবেল খুব বেশি ম্যাচ পায়নি। কিন্তু তিন পেসার নিয়ে খেললে তাকে পাওয়া বেশ ভালো। তবে আমার মনে হয় এতদিন যাকে (সাইফউদ্দিন) খেলানো হয়েছে তার উপরই আস্থা থাকবে বেশি। কিন্তু সমস্যা হলো এখন সাইফউদ্দিনের ইনজুরি আছে। এটা আবার সমান সমান করে দিয়েছে পরিস্থিতি। কাজেই বলা যাচ্ছে না কে খেলবে। সাইফউদ্দিন যদি কাল ফিট না হয় তাহলে তো ভিন্ন চিন্তায় যেতেই হবে। কিন্তু যদি সে ফিট থাকে তাহলে নির্বাচকদের মাথা ব্যথা বাড়বে। এই মূহূর্তে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের বোলিংয়ে বেশ ভালো রসদ আছে। কাল সব কিছু চূড়ান্ত করার দিন। দলে জায়গা পেতে এরকম লড়াই বেশ ইতিবাচক।
No comments