অর্ধেক শ্রমিক বোনাস পাননি by শুভংকর কর্মকার
বরাবরের
মতো এবারও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শ্রমিকের ঈদ বোনাস দিলেন না প্রায়
অর্ধেক পোশাকশিল্পের মালিক। অথচ তাঁদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা
গত ৩০ মের মধ্যে বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
কয়েকজন শ্রমিকনেতা বলছেন, বড় পোশাক কারখানাগুলো গতকাল পর্যন্ত শ্রমিকের ঈদ বোনাস দিয়েছে। ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো আগামী রোববার ও সোমবারের মধ্যে মজুরির সঙ্গে বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। অন্যদিকে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা দাবি করছেন, তাঁদের অধিকাংশ সদস্য কারখানাই বোনাস পরিশোধ করেছে।
শিল্প পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মহানগর ছাড়া আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ৩ হাজার ৫৩৬ পোশাক কারখানার মধ্যে গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১ হাজার ৯২৭টি কারখানা শ্রমিকের ঈদ বোনাস দিয়েছে। আর চলতি মে মাসের বেতন দিয়েছে ২৩৬টি কারখানা। অন্যদিকে এসব এলাকায় পোশাকশিল্পের বাইরে অন্যান্য শিল্পকারখানা আছে ৩ হাজার ৯০৪টি। সেগুলোর মধ্যে ৫৪ দশমিক ১২ শতাংশ বা ২ হাজার ১১৩টি কারখানা শ্রমিকের ঈদ বোনাস ও ৮ শতাংশ বা ৩১৪টি কারখানা চলতি মে মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে।
পোশাকশিল্পে আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানাগুলো বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। সেখানকার ৭৯১টি কারখানার মধ্যে ৯৫ শতাংশ বা ৭৫০টি বোনাস পরিশোধ করেছে। নারায়ণগঞ্জের ৬৪২ কারখানার মধ্যে ৬২ শতাংশ বা ৩৯৬টি, গাজীপুরের ১ হাজার ৩৪৫ কারখানার মধ্যে ৩০ শতাংশ বা ৪০২টি, চট্টগ্রামের ৬৯৭ কারখানার মধ্যে ৪৭ শতাংশ বা ৩৩০টি, ময়মনসিংহের ৫৬ কারখানার মধ্যে ৪৪টি এবং খুলনা অঞ্চলের ৫টি কারখানার সব কটিই শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করেছে।
২৩ মে ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটির ৪২তম সভা হয়। সেই সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ৩০ মে এবং মে মাসের মজুরি ২ জুনের মধ্যে পরিশোধের জন্য পোশাকশিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মালিকপক্ষ সে অনুযায়ী বেতন-ভাতা দিতে সম্মত হয়।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বড় কারখানাগুলো বোনাস দিয়েছে। ছোট-মাঝারি কারখানা দেয়নি। তাতে ৫০ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেনি। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে মজুরি-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বা সময়সীমা কখনোই মানেন না মালিকেরা। তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো মজুরি–ভাতা দেন। শেষ মুহূর্তে মজুরি-ভাতা দেওয়ার কারণে অনেক শ্রমিকই প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। তাই সময়সীমা মেনে মালিকেরা যাতে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেন, সে জন্য সরকারের শক্ত অবস্থান নেওয়া দরকার।
*মালিকপক্ষ ৩০ মের মধ্যে বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
*তবে প্রায় অর্ধেক মালিক সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
জানতে চাইলে শ্রমিকনেতা বাবুল আখতার বলেন, ‘বড় কারখানাগুলো বোনাস দিয়েছে। বাকিরা শেষ মুহূর্তে দেবে। শ্রম আইনের মারপ্যাঁচের কারণে শ্রমিকের চাকরির বয়স এক বছরের কম হলে বোনাস পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা হচ্ছে।’
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিজিএমইএর সদস্য ৯০ শতাংশ কারখানা সরকারের ঘোষিত সময়ে বোনাস দিয়ে দিয়েছে। যারা দেয়নি তারা দু–তিন দিনের মধ্যে দিয়ে দেবে। মজুরি-ভাতা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ৮০০ পোশাক কারখানায় মজুরি-ভাতা নিয়ে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা করেছিল। আমরা সেগুলো কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছি। ইতিমধ্যে ৬৫টি কারখানার সমস্যাও সমাধান হয়েছে। বর্তমানে ১০-১২টি কারখানা ঝুঁকির মধ্যে আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
কয়েকজন শ্রমিকনেতা বলছেন, বড় পোশাক কারখানাগুলো গতকাল পর্যন্ত শ্রমিকের ঈদ বোনাস দিয়েছে। ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো আগামী রোববার ও সোমবারের মধ্যে মজুরির সঙ্গে বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। অন্যদিকে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা দাবি করছেন, তাঁদের অধিকাংশ সদস্য কারখানাই বোনাস পরিশোধ করেছে।
শিল্প পুলিশের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা মহানগর ছাড়া আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ৩ হাজার ৫৩৬ পোশাক কারখানার মধ্যে গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১ হাজার ৯২৭টি কারখানা শ্রমিকের ঈদ বোনাস দিয়েছে। আর চলতি মে মাসের বেতন দিয়েছে ২৩৬টি কারখানা। অন্যদিকে এসব এলাকায় পোশাকশিল্পের বাইরে অন্যান্য শিল্পকারখানা আছে ৩ হাজার ৯০৪টি। সেগুলোর মধ্যে ৫৪ দশমিক ১২ শতাংশ বা ২ হাজার ১১৩টি কারখানা শ্রমিকের ঈদ বোনাস ও ৮ শতাংশ বা ৩১৪টি কারখানা চলতি মে মাসের মজুরি পরিশোধ করেছে।
পোশাকশিল্পে আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানাগুলো বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। সেখানকার ৭৯১টি কারখানার মধ্যে ৯৫ শতাংশ বা ৭৫০টি বোনাস পরিশোধ করেছে। নারায়ণগঞ্জের ৬৪২ কারখানার মধ্যে ৬২ শতাংশ বা ৩৯৬টি, গাজীপুরের ১ হাজার ৩৪৫ কারখানার মধ্যে ৩০ শতাংশ বা ৪০২টি, চট্টগ্রামের ৬৯৭ কারখানার মধ্যে ৪৭ শতাংশ বা ৩৩০টি, ময়মনসিংহের ৫৬ কারখানার মধ্যে ৪৪টি এবং খুলনা অঞ্চলের ৫টি কারখানার সব কটিই শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করেছে।
২৩ মে ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কোর কমিটির ৪২তম সভা হয়। সেই সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ৩০ মে এবং মে মাসের মজুরি ২ জুনের মধ্যে পরিশোধের জন্য পোশাকশিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মালিকপক্ষ সে অনুযায়ী বেতন-ভাতা দিতে সম্মত হয়।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বড় কারখানাগুলো বোনাস দিয়েছে। ছোট-মাঝারি কারখানা দেয়নি। তাতে ৫০ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেনি। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে মজুরি-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বা সময়সীমা কখনোই মানেন না মালিকেরা। তাঁরা তাঁদের ইচ্ছামতো মজুরি–ভাতা দেন। শেষ মুহূর্তে মজুরি-ভাতা দেওয়ার কারণে অনেক শ্রমিকই প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। তাই সময়সীমা মেনে মালিকেরা যাতে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেন, সে জন্য সরকারের শক্ত অবস্থান নেওয়া দরকার।
*মালিকপক্ষ ৩০ মের মধ্যে বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
*তবে প্রায় অর্ধেক মালিক সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
জানতে চাইলে শ্রমিকনেতা বাবুল আখতার বলেন, ‘বড় কারখানাগুলো বোনাস দিয়েছে। বাকিরা শেষ মুহূর্তে দেবে। শ্রম আইনের মারপ্যাঁচের কারণে শ্রমিকের চাকরির বয়স এক বছরের কম হলে বোনাস পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা হচ্ছে।’
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিজিএমইএর সদস্য ৯০ শতাংশ কারখানা সরকারের ঘোষিত সময়ে বোনাস দিয়ে দিয়েছে। যারা দেয়নি তারা দু–তিন দিনের মধ্যে দিয়ে দেবে। মজুরি-ভাতা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা কাজ করছি।’
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি এস এম মান্নান বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ৮০০ পোশাক কারখানায় মজুরি-ভাতা নিয়ে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা করেছিল। আমরা সেগুলো কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছি। ইতিমধ্যে ৬৫টি কারখানার সমস্যাও সমাধান হয়েছে। বর্তমানে ১০-১২টি কারখানা ঝুঁকির মধ্যে আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন কারখানাটির শ্রমিকেরা। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ছবি: প্রথম আলো |
No comments