এক বছরে ৪৩৩ শিশু ধর্ষণ, নির্যাতনে মৃত্যু ২৭১
২০১৮
সালে সারাদেশে ৪৩৩ টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার
হয়ে মারা গেছে ২২টি শিশু। যৌন নির্যাতনের ফলে মারা গেছে একজন। এছাড়াও
ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছিল ৫৩টি শিশুর ওপর। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, হত্যা ও
শারীরিক নির্যাতনের কারণে মারা গেছে ২৭১টি শিশু। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের
শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে আরও ১০০৬ জন। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে
বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ
পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। সংস্থাটি এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দেশে প্রকাশিত ছয়টি সংবাদপত্রে উল্লেখিত সংবাদ থেকে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রাফিজা শাহীন বলেন, ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হওয়া বেশিরভাগ শিশুর বয়স ৭-১২ বছর। ১৩-১৮ বছর বয়সীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বেশি। বিশেষ করে পুরুষ শিক্ষকের হাতে এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গতবছরে শিশুদের বিষয়ে এক হাজার ৩৭টি ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অন্যদিকে নেতিবাচক ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২৯৭৩টি, যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৮১১ জন।
রাফিজা শাহীন বলেন, আমাদের দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে, সেটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা কেন শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাস গড়তে পারছি না সেটি নিয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এখনই করণীয় নির্ণয় করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শাহনাজ হুদা বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমরা এই প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহ করছি। শুরুতে আমাদের ধারণা ছিল এতে করে শিশুদের প্রতি সহিংসতা কমবে। কিন্তু হচ্ছে এর উল্টো। মূলত বিচারহীনতার জনই এমনটা হচ্ছে। শাস্তির দিকে মনোযোগ না দিয়ে, সংশোধনে মনোযোগ দেয়া জরুরি। নাহলে এই সমস্যা আরও প্রকট হবে। সঙ্গে এসব ঘটনার বিচার এমনভাবে করতে হবে যেন আর কেউ শিশুদের প্রতি অপরাধ করতে উৎসাহিত না হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রনি চাকমা বলেন, যারা অপরাধী তাদের ওপরও একটি স্টাডি করা জরুরি। কেন তারা শিশুদের রেপ করবে? এমন চিন্তা মাথায় আসে কিভাবে সেটি খুঁজে বের করতে হবে আমাদেরকে। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। দ্রুততম সময়ে এটি বন্ধ করতে হবে।
দেশে প্রকাশিত ছয়টি সংবাদপত্রে উল্লেখিত সংবাদ থেকে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রাফিজা শাহীন বলেন, ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হওয়া বেশিরভাগ শিশুর বয়স ৭-১২ বছর। ১৩-১৮ বছর বয়সীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বেশি। বিশেষ করে পুরুষ শিক্ষকের হাতে এই ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গতবছরে শিশুদের বিষয়ে এক হাজার ৩৭টি ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অন্যদিকে নেতিবাচক ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২৯৭৩টি, যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ শিশুর সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৮১১ জন।
রাফিজা শাহীন বলেন, আমাদের দেশে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে, সেটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা কেন শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাস গড়তে পারছি না সেটি নিয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এখনই করণীয় নির্ণয় করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের শাহনাজ হুদা বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমরা এই প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহ করছি। শুরুতে আমাদের ধারণা ছিল এতে করে শিশুদের প্রতি সহিংসতা কমবে। কিন্তু হচ্ছে এর উল্টো। মূলত বিচারহীনতার জনই এমনটা হচ্ছে। শাস্তির দিকে মনোযোগ না দিয়ে, সংশোধনে মনোযোগ দেয়া জরুরি। নাহলে এই সমস্যা আরও প্রকট হবে। সঙ্গে এসব ঘটনার বিচার এমনভাবে করতে হবে যেন আর কেউ শিশুদের প্রতি অপরাধ করতে উৎসাহিত না হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রনি চাকমা বলেন, যারা অপরাধী তাদের ওপরও একটি স্টাডি করা জরুরি। কেন তারা শিশুদের রেপ করবে? এমন চিন্তা মাথায় আসে কিভাবে সেটি খুঁজে বের করতে হবে আমাদেরকে। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক। দ্রুততম সময়ে এটি বন্ধ করতে হবে।
No comments