কীর্তিমান এক সাংবাদিকের বিদায়
বাংলাদেশে
পরিবেশ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও সময়ের সাহসী কণ্ঠস্বর মাহফুজ উল্লাহ আর নেই।
থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় গতকাল বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহে ওয়া
ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্টাটাসে মাহফুজউল্লাহ’র
মৃত্যুবরণের সংবাদটি নিশ্চিত করেন। কিছুদিন ধরে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি
ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন কীর্তিমান এই সাংবাদিক। ২রা এপ্রিল হৃদরোগে
আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
স্কয়ারে কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১১ই
এপ্রিল তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নিয়ে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। এর আগে ব্যাংককে একবার তার বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল।
লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ মাহফুজউল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ই মার্চ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম হাবিবুল্লাহ ও মায়ের নাম ফয়জুননিসা বেগম। ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কমরেড মুজফফর আহমেদের দৌহিত্র। তার বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।
তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়েনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্ররাজনীতির কারণে আইয়ুুব খানের সামরিক শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে পদার্থবিদ্যা ও ৭৪ সালে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবনেই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। উপস্থাপনা করেছেন রেডিও ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান। সর্বশেষ তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। সাম্প্রতিক দশকে বাংলাদেশে টেলিভিশন টকশোর সাহসী ও আলোচিত কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি।
মাহফুজউল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন পরিবেশবিদ ছিলেন। তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন বাংলাদেশে। তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার-এর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় মাহফুজউল্লাহ লেখা বইয়ের সংখ্যা ৫০ এর অধিক। তার সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ: আ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি; যাদুর লাউ; যে কথা বলতে চাই; অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর; পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ জান্তা ও জনতা; পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন: গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১); উলফা অ্যান্ড দ্য ইনসারজেন্সি ইন আসাম; বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ হার স্টোরি; স্বাধীনতার প্রথম দশকে বাংলাদেশ; মুক্তজীবন রুদ্ধপ্রাণ; পাঠকের চোখে জাসদ; স্বরূপ অন্বেষা; এ কী কেবলই প্রেম। এসবের বেশিরভাগই পৃথিবীর বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সংগৃহীত আছে। উল্লেখ্য, গত ২১শে এপ্রিল তার মৃত্যুর খবরও ছড়িয়েছিল। কিন্তু তার মেয়ে নুসরাত তখন জানিয়েছিলেন, তার বাবা বেঁচে আছেন।
মাহফুজউল্লাহর মেয়ে নুসরাত হুমায়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ব্যাংকক থেকে তার বাবার লাশ দেশে আসবে। আজ জোহরের নামাজের পর ঢাকার গ্রীন রোডের জামে মসজিদে ও পরে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বড় ভাই প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, মাহফুজউল্লাহর মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন- ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে মরহুম মাহফুজ উল্লাহর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁর ধারালো লেখনি ও সাহসী উচ্চারণ দেশের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল। তাঁর লেখনি ছিল সবসময়ই সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধ ছিল সর্বজনস্বীকৃত এবং প্রশ্নাতীতভাবে গৃহীত। সাংবাদিকতা জগতে তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। তাঁর শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় বলেন- ‘সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বরাবরই তিনি ছিলেন নির্ভীক ও দ্বিধাহীন। অবৈধ সরকারের রক্তচক্ষুর কাছে তিনি কখনোই মাথানত করেননি। সরকারী ক্রোধের পরোয়া না করে গণতন্ত্রের পক্ষে তাঁর উচ্চারণ ছিল শাণিত ও সুস্পষ্ট। বর্তমান দুঃসময়ে তাঁর মতো একজন ঋজু ও দৃঢ়চেতা মানুষের বড়ই প্রয়োজন ছিল। দেশে ভয় ও শংকার বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মতো মানুষের অনুপস্থিতি গভীর শুন্যতার সৃষ্টি করবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব তাদের শোকবার্তায় মরহুম মাহফুজউল্লাহর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, তাঁর শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়াও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন শোকপ্রকাশ করেন।
লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ মাহফুজউল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ই মার্চ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম হাবিবুল্লাহ ও মায়ের নাম ফয়জুননিসা বেগম। ভারতীয় উপমহাদেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কমরেড মুজফফর আহমেদের দৌহিত্র। তার বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।
তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়েনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্ররাজনীতির কারণে আইয়ুুব খানের সামরিক শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে পদার্থবিদ্যা ও ৭৪ সালে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবনেই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। উপস্থাপনা করেছেন রেডিও ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান। সর্বশেষ তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। সাম্প্রতিক দশকে বাংলাদেশে টেলিভিশন টকশোর সাহসী ও আলোচিত কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি।
মাহফুজউল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন পরিবেশবিদ ছিলেন। তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন বাংলাদেশে। তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার-এর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় মাহফুজউল্লাহ লেখা বইয়ের সংখ্যা ৫০ এর অধিক। তার সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ: আ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি; যাদুর লাউ; যে কথা বলতে চাই; অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর; পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ জান্তা ও জনতা; পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন: গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১); উলফা অ্যান্ড দ্য ইনসারজেন্সি ইন আসাম; বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ হার স্টোরি; স্বাধীনতার প্রথম দশকে বাংলাদেশ; মুক্তজীবন রুদ্ধপ্রাণ; পাঠকের চোখে জাসদ; স্বরূপ অন্বেষা; এ কী কেবলই প্রেম। এসবের বেশিরভাগই পৃথিবীর বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সংগৃহীত আছে। উল্লেখ্য, গত ২১শে এপ্রিল তার মৃত্যুর খবরও ছড়িয়েছিল। কিন্তু তার মেয়ে নুসরাত তখন জানিয়েছিলেন, তার বাবা বেঁচে আছেন।
মাহফুজউল্লাহর মেয়ে নুসরাত হুমায়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ব্যাংকক থেকে তার বাবার লাশ দেশে আসবে। আজ জোহরের নামাজের পর ঢাকার গ্রীন রোডের জামে মসজিদে ও পরে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বড় ভাই প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, মাহফুজউল্লাহর মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন- ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে মরহুম মাহফুজ উল্লাহর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তাঁর ধারালো লেখনি ও সাহসী উচ্চারণ দেশের মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল। তাঁর লেখনি ছিল সবসময়ই সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধ ছিল সর্বজনস্বীকৃত এবং প্রশ্নাতীতভাবে গৃহীত। সাংবাদিকতা জগতে তাঁর অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। তাঁর শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। বিএনপি মহাসচিব শোকবার্তায় বলেন- ‘সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বরাবরই তিনি ছিলেন নির্ভীক ও দ্বিধাহীন। অবৈধ সরকারের রক্তচক্ষুর কাছে তিনি কখনোই মাথানত করেননি। সরকারী ক্রোধের পরোয়া না করে গণতন্ত্রের পক্ষে তাঁর উচ্চারণ ছিল শাণিত ও সুস্পষ্ট। বর্তমান দুঃসময়ে তাঁর মতো একজন ঋজু ও দৃঢ়চেতা মানুষের বড়ই প্রয়োজন ছিল। দেশে ভয় ও শংকার বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মতো মানুষের অনুপস্থিতি গভীর শুন্যতার সৃষ্টি করবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব তাদের শোকবার্তায় মরহুম মাহফুজউল্লাহর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, তাঁর শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়াও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন শোকপ্রকাশ করেন।
No comments