দল এবং সম্পদ নিয়ে কেন শঙ্কিত এরশাদ
নিজের
সব সম্পত্তি ট্রাস্টের নামে দলিল করে দেয়ার পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সম্পদ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এ নিয়ে
কৌতূহল রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও। এর আগে দলের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব
পরিবর্তনে এরশাদের একের পর এক সিদ্ধান্তে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, আদৌ কি তিনি
নিজেই এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাকি নেপথ্যে অন্যকিছু। দল আর সম্পত্তি নিয়ে
এরশাদ এবার নিজেই যেন আস্থাহীনতায় পড়েছেন। তা নাহলে থানায় জিডি করতে যাবেন
কেন?
নিজের দল জাতীয় পার্টি ও সম্পদ নিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির শঙ্কায় বুধবার বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন এরশাদ। তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কেউ কেউ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি সাধন করতে পারে এমন আশঙ্কায় তিনি এ জিডি করেন। এ জিডি ঘিরে এখন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক অঙ্গণে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বাক্ষর জাল করে সম্পদ হাতিয়ে নেয়া হতে পারে এমন অভিযোগে জিডিতে নিজের নিরাপত্তাহীনতা ও শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন এইচ এম এরশাদ।
গত বুধবার তার পক্ষে বিরোধীদলীয় নেতার একজন প্রটোকল অফিসার, একজন কনস্টেবল ও আনসার সদস্য এবং তার এক ব্যক্তিগত সহকারী বনানী থানায় জিডির আবেদন নিয়ে যান।
সাধারণ ডায়েরির লিখিত আবেদনে স্বাক্ষর করেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নিজেই। জিডির আবেদনে কারা স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দল, সম্পদ ও তার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে এমন কারো নাম উল্লেখ করেননি বিরোধীদলীয় নেতা। তবে পার্টির কয়েকজন নেতাকর্মী তার ও পরিবারের ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কায় এরশাদ জিডি করেছেন বলে মানবজমিনকে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ব্যক্তিগত সহকারী। জিডি করার সময় উপস্থিত থাকা একজন জানান, স্যারের (এরশাদের) হাতের সই এলোমেলো হয়ে গেছে। যেকোন লোক নকল করতে পারে। এজন্য জিডি করে রাখা হল। বুধবার জিডিটি গ্রহণ করে নথিভুক্ত করেন সেই সময় বনানী থানায় দায়িত্বে থাকা একজন ডিউটি অফিসার। পরে, ১৫০২ নম্বর জিডি হিসেবে থানার নথিতে তা অর্ন্তভূক্ত করা হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও চলমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার শঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় করা জিডিটি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখছে বনানী থানা পুলিশ। বনানী থানার একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়েই তার শঙ্কার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শায়হান ওয়ালী উল্লাহকে এরই মধ্যে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকালে তিনি মানবজমিনকে বলেন, উনার (এরশাদ) স্বাক্ষর করা একটি জিডি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনই কিছু বলতে পারছি না। এদিকে জাতীয় পার্টি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ডায়েরিতে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, তার বর্তমান ও অবর্তমানে স্বাক্ষর নকল করে পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলের বিভিন্ন পদ পদবী বাগিয়ে নেয়া, ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি ও পারিবারিক সম্পদ, দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া ও আত্মীয়-স্বজনদের জানমাল হুমকির মুখে রয়েছে। দলের নেতৃত্ব ও তার সম্পদের কারণে অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নিতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান এরশাদ। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন এমন অপরাধ করতে না পারে, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও চেয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, উনার (এরশাদ) কাছ থেকে অনেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই নিরাপত্তা হিসেবে এই জিডি করা হয়। এদিকে, বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ৯০ বছর বয়সী সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ সমপ্রতি একটি ট্রাস্ট গঠন করে সেখানে তার সব সম্পদ দলিল করে দিয়েছেন। পাঁচ সদস্যের ট্রাস্টে এরশাদ নিজে সদস্য হিসেবে থাকলেও স্ত্রী রওশন এরশাদ আর ভাই জিএম কাদেরকে ট্রাস্টি হিসেবে রাখেননি। ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, একান্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। সবশেষ গত ৭ই এপ্রিল এইচ এম এরশাদ তার সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্ট গঠন করে দেয়ার পর থেকেই তিনি কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
এরশাদের প্রটোকলে থাকা একজন বলেন, ট্রাস্টে অনেককে রাখা হয়নি। এজন্য কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হতেও পারেন। এছাড়া দলের ও কাছের অনেকে নানা সময়ে বিভিন্ন কাগজ স্বাক্ষর করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্যার (এরশাদ) শঙ্কা করছেন এসবের মধ্যে তার অজান্তে অনেকে সম্পদ ও দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জালিয়াতি করতে পারে। স্যার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তার মৃত্যুর পর এসব জালিয়াতি করা কাগজপত্র অকার্যকর হবে। এছাড়া, কারো কোন দাবি থাকলে তা সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যে হলফনামা জমা দেন তাতে তিনি বার্ষিক এক কোটি আট লাখ টাকা আয়ের কথা জানান। সম্পদের বিবরণীতে তিনি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, অনির্ধারিত ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বেতন, সম্মানীর কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে সর্বশেষ তিনি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন যার মূল্য যথাক্রমে ৬ কোটি ২০ লাখ ও ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংকে এরশাদের ঋণ রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।
তিনি নিজেও এই ব্যাংকের একজন পরিচালক। ব্যাংকটি থেকে তিনি বার্ষিক ৭৪ লাখ টাকা সম্মানি হিসেবে পান। বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ এরশাদকে সবশেষ বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমইচ)। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে ফেরার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট দিতে নিজের নির্বাচনী এলাকা রংপুরেও যাননি এরশাদ। নির্বাচনের পর গত ৬ই জানুয়ারি হুইল চেয়ারে চড়ে সংসদে যান এইচ এম এরশাদ, শপথ নেন আইনপ্রণেতা হিসেবে। এরপর ২০ জানুয়ারি আবারো চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এরশাদ। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের ২৬ দিনের মধ্যে মাত্র একদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা।
নিজের দল জাতীয় পার্টি ও সম্পদ নিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতির শঙ্কায় বুধবার বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন এরশাদ। তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কেউ কেউ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি সাধন করতে পারে এমন আশঙ্কায় তিনি এ জিডি করেন। এ জিডি ঘিরে এখন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক অঙ্গণে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বাক্ষর জাল করে সম্পদ হাতিয়ে নেয়া হতে পারে এমন অভিযোগে জিডিতে নিজের নিরাপত্তাহীনতা ও শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন এইচ এম এরশাদ।
গত বুধবার তার পক্ষে বিরোধীদলীয় নেতার একজন প্রটোকল অফিসার, একজন কনস্টেবল ও আনসার সদস্য এবং তার এক ব্যক্তিগত সহকারী বনানী থানায় জিডির আবেদন নিয়ে যান।
সাধারণ ডায়েরির লিখিত আবেদনে স্বাক্ষর করেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নিজেই। জিডির আবেদনে কারা স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দল, সম্পদ ও তার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে এমন কারো নাম উল্লেখ করেননি বিরোধীদলীয় নেতা। তবে পার্টির কয়েকজন নেতাকর্মী তার ও পরিবারের ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কায় এরশাদ জিডি করেছেন বলে মানবজমিনকে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ব্যক্তিগত সহকারী। জিডি করার সময় উপস্থিত থাকা একজন জানান, স্যারের (এরশাদের) হাতের সই এলোমেলো হয়ে গেছে। যেকোন লোক নকল করতে পারে। এজন্য জিডি করে রাখা হল। বুধবার জিডিটি গ্রহণ করে নথিভুক্ত করেন সেই সময় বনানী থানায় দায়িত্বে থাকা একজন ডিউটি অফিসার। পরে, ১৫০২ নম্বর জিডি হিসেবে থানার নথিতে তা অর্ন্তভূক্ত করা হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও চলমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার শঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় করা জিডিটি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখছে বনানী থানা পুলিশ। বনানী থানার একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়েই তার শঙ্কার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শায়হান ওয়ালী উল্লাহকে এরই মধ্যে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকালে তিনি মানবজমিনকে বলেন, উনার (এরশাদ) স্বাক্ষর করা একটি জিডি আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনই কিছু বলতে পারছি না। এদিকে জাতীয় পার্টি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ডায়েরিতে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, তার বর্তমান ও অবর্তমানে স্বাক্ষর নকল করে পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলের বিভিন্ন পদ পদবী বাগিয়ে নেয়া, ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি ও পারিবারিক সম্পদ, দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া ও আত্মীয়-স্বজনদের জানমাল হুমকির মুখে রয়েছে। দলের নেতৃত্ব ও তার সম্পদের কারণে অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নিতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান এরশাদ। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে কেউ যেন এমন অপরাধ করতে না পারে, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও চেয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, উনার (এরশাদ) কাছ থেকে অনেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই নিরাপত্তা হিসেবে এই জিডি করা হয়। এদিকে, বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ৯০ বছর বয়সী সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ সমপ্রতি একটি ট্রাস্ট গঠন করে সেখানে তার সব সম্পদ দলিল করে দিয়েছেন। পাঁচ সদস্যের ট্রাস্টে এরশাদ নিজে সদস্য হিসেবে থাকলেও স্ত্রী রওশন এরশাদ আর ভাই জিএম কাদেরকে ট্রাস্টি হিসেবে রাখেননি। ট্রাস্টি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, একান্ত সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। সবশেষ গত ৭ই এপ্রিল এইচ এম এরশাদ তার সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্ট গঠন করে দেয়ার পর থেকেই তিনি কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
এরশাদের প্রটোকলে থাকা একজন বলেন, ট্রাস্টে অনেককে রাখা হয়নি। এজন্য কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হতেও পারেন। এছাড়া দলের ও কাছের অনেকে নানা সময়ে বিভিন্ন কাগজ স্বাক্ষর করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্যার (এরশাদ) শঙ্কা করছেন এসবের মধ্যে তার অজান্তে অনেকে সম্পদ ও দলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জালিয়াতি করতে পারে। স্যার জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তার মৃত্যুর পর এসব জালিয়াতি করা কাগজপত্র অকার্যকর হবে। এছাড়া, কারো কোন দাবি থাকলে তা সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যে হলফনামা জমা দেন তাতে তিনি বার্ষিক এক কোটি আট লাখ টাকা আয়ের কথা জানান। সম্পদের বিবরণীতে তিনি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, অনির্ধারিত ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বেতন, সম্মানীর কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে সর্বশেষ তিনি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন যার মূল্য যথাক্রমে ৬ কোটি ২০ লাখ ও ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ইউনিয়ন ব্যাংকে এরশাদের ঋণ রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।
তিনি নিজেও এই ব্যাংকের একজন পরিচালক। ব্যাংকটি থেকে তিনি বার্ষিক ৭৪ লাখ টাকা সম্মানি হিসেবে পান। বেশ কয়েক মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ এরশাদকে সবশেষ বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি। নির্বাচনের আগে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএমইচ)। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে ফেরার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট দিতে নিজের নির্বাচনী এলাকা রংপুরেও যাননি এরশাদ। নির্বাচনের পর গত ৬ই জানুয়ারি হুইল চেয়ারে চড়ে সংসদে যান এইচ এম এরশাদ, শপথ নেন আইনপ্রণেতা হিসেবে। এরপর ২০ জানুয়ারি আবারো চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এরশাদ। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের ২৬ দিনের মধ্যে মাত্র একদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা।
No comments