কিম-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: বন্ধুত্বের বাঁধনকে আরো শক্ত করার অঙ্গীকার
প্রথমবারের
মতো উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী
ভ্লাদিভস্তকের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্কি দ্বীপে দুই নেতার এই
বৈঠক হয়। বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট
সমস্যার কথা আলোচনায় এনেছে রাশিয়া। কিন্তু কিম জং উনের দৃষ্টি অন্যদিকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বৈঠক
ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি রাশিয়ার সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেন এ বৈঠকে।
বিবিসি জানিয়েছে, দুই নেতা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর রুশ সহায়তা চেয়েছেন। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
কিন্তু রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ ও উত্তর কোরীয় নেতা দু’দেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করেন।
পুতিন বলেন, তিনি কোরিয়ান অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান। তার ভাষায়, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার এই রাশিয়া সফরের ফলে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান করতে পারি, এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কীভাবে ইতিবাচক উপায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তা ভালোভাবে অনুধাবনে আমাদের সাহায্য করবে।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা বুধবার সীমান্ত অতিক্রম করার পর তাকে রাশিয়ার কর্মকর্তারা উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরপর তিনি ট্রেনে করে পৌঁছে যান ভ্লাদিভস্তক। খাসান সীমান্ত অতিক্রম করার পর তিনি রাশিয়ান টিভিকে বলেছেন, আমার দেশের জনগণের উষ্ণ অনুভূতি সঙ্গে নিয়ে এসেছি রাশিয়ায়। আমি এরই মধ্যে বলেছি, এই সফর সফল ও অর্থপূর্ণ হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, উত্তর কোরিয়া নিয়ে ৬ জাতির আলোচনা বর্তমানে অচল অবস্থায় আছে। এটি দুই কোরিয়া, চীন, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে।
বৃহস্পতিবারের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া দেখাতে চাইছে যে, তার শক্তিধর মিত্র আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এ সময়ে তাদের পাশে বড় শক্তিধর কাউকে দেখানো উত্তর কোরিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হ্যানয়ের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে। এ মাসের শুরুর দিকে তারা দাবি করেছে, পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে মাইক পম্পেওকে। উত্তর কোরিয়া তার কথাবার্তাকে ‘ননসেন্স’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বলেছে, তার পরিবর্তে অধিক সতর্ক এমন কাউকে আলোচনায় আনতে হবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় মহাশক্তিধর কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন তার কমিউনিস্ট মিত্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ে উত্তর কোরিয়ার। দেশটি তখন প্রধান মিত্র হিসেবে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের অধীনে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং ২০১৪ সালে তিনি সোভিয়েত-যুগ পরবর্তী উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ ঋণ সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করতে শুরু করে।
বিবিসি জানিয়েছে, দুই নেতা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কিম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর রুশ সহায়তা চেয়েছেন। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
কিন্তু রুশ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে উদ্বোধনী বক্তব্যে রুশ ও উত্তর কোরীয় নেতা দু’দেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করেন।
পুতিন বলেন, তিনি কোরিয়ান অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান। তার ভাষায়, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনার এই রাশিয়া সফরের ফলে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান করতে পারি, এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কীভাবে ইতিবাচক উপায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তা ভালোভাবে অনুধাবনে আমাদের সাহায্য করবে।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা বুধবার সীমান্ত অতিক্রম করার পর তাকে রাশিয়ার কর্মকর্তারা উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। এরপর তিনি ট্রেনে করে পৌঁছে যান ভ্লাদিভস্তক। খাসান সীমান্ত অতিক্রম করার পর তিনি রাশিয়ান টিভিকে বলেছেন, আমার দেশের জনগণের উষ্ণ অনুভূতি সঙ্গে নিয়ে এসেছি রাশিয়ায়। আমি এরই মধ্যে বলেছি, এই সফর সফল ও অর্থপূর্ণ হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, উত্তর কোরিয়া নিয়ে ৬ জাতির আলোচনা বর্তমানে অচল অবস্থায় আছে। এটি দুই কোরিয়া, চীন, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে।
বৃহস্পতিবারের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া দেখাতে চাইছে যে, তার শক্তিধর মিত্র আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এ সময়ে তাদের পাশে বড় শক্তিধর কাউকে দেখানো উত্তর কোরিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হ্যানয়ের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে। এ মাসের শুরুর দিকে তারা দাবি করেছে, পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে মাইক পম্পেওকে। উত্তর কোরিয়া তার কথাবার্তাকে ‘ননসেন্স’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বলেছে, তার পরিবর্তে অধিক সতর্ক এমন কাউকে আলোচনায় আনতে হবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় মহাশক্তিধর কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন তার কমিউনিস্ট মিত্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ে উত্তর কোরিয়ার। দেশটি তখন প্রধান মিত্র হিসেবে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের অধীনে রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং ২০১৪ সালে তিনি সোভিয়েত-যুগ পরবর্তী উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ ঋণ সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করতে শুরু করে।
No comments