এখন সব মরে গেছে, কোনো প্রতিবাদ নেই -এম হাফিজ উদ্দিন খান
গত
বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ও দেশের সুশাসনের দিকে ইঙ্গিত
করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন,
‘দুঃখজনক, এর কোনো প্রতিবাদ নেই। আমরা কেউ মাঠে নামি নাই। বাঙালিরা এত
প্রতিবাদী ছিল। বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তরে কত প্রতিবাদ করেছে এই বাঙালি।
এখন সব মরে গেছে কেন, বুঝতে পারলাম না।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক গোলটেবিল বৈঠকে হাফিজ উদ্দিন খান এসব কথা বলেন। দি ঢাকা ফোরাম নামের একটি সংগঠন ‘গণতন্ত্র ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। তবে গণতন্ত্রের শুরুটা হয় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে উন্নয়ন সুবিধা সবাই পাচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের যে স্লোগান চলছে, ষাটের দশকে পাকিস্তান আমলেও তা ছিল। কিন্তু সে উন্নয়ন সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে এসেছে উল্লেখ করে সাবেক এই গভর্নর বলেন, এই খাতে ঋণ প্রবাহ কমে ১২ শতাংশ নেমে এসেছে। অথচ কয়েক বছর আগেও এটি ১৬ শতাংশ ছিল। বড় বড় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অবহেলা করা হচ্ছে। তারা যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ পায় না বললেই চলে। বড় বড় ঋণ পুঁজিপতিদের দখলে।
শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৯০-এর দশকে শেয়ারবাজারে যে কেলেঙ্কারি ঘটেছিল সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। রাষ্ট্র ও সরকার সেই শিক্ষা নেয়নি বলেই ২০১০ সালে কেলেঙ্কারি হয়। তার ধারাবাহিকতা এখনো আছে। কারা, কীভাবে এর সঙ্গে জড়িত, তা সরকার জানে। অথচ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র সংকুচিত হলে পুঁজির অসম বিকাশ ঘটে। আর এই কারণেই এ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীরা। কারণ, পুঁজিই এখন ক্ষমতার উৎস, জনগণ নয়। এতে জনগণের স্বার্থ সেই অর্থে গুরুত্ব পায় না। যার ফলে জবাবদিহি নেই, সুশাসনও নেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমান উন্নয়নের ধরনে জবাবদিহির অভাব ও স্বচ্ছতার অভাব আছে। সড়ক, রেলপথে বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে। এর কারণ, যারা নীতিনির্ধারক তারাই এসব প্রকল্পের পেছনে আছেন। এসব প্রকল্প ব্যয়ের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী, দোষী, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার তৎপর। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অতটা তৎপর নয়।
জনগণ প্রশাসনের কাছে অসহায় বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সব অন্যায় অবিচারের কাছে আমরা ১৭ কোটি লোক অসহায় হয়ে আছি। দেশে সরকার থাকবে আর সুশাসন থাকবে না, এটা হতে পারে না। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই এ রকম বিনা ভোটের একটা সরকার, লজ্জাও পায় না। ভোটাধিকার না থাকলে নাগরিকত্বও থাকে না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার ডাকাত সরকার। ৩০ ডিসেম্বর ডাকাতি করে ভোট নিয়েছে। আবার বলছে, উন্নয়ন হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। যে জিডিপিতে সমতা নেই তাকে উন্নয়ন বলা যাবে না। এটা লুটেরাদের উন্নয়ন।’
বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক গোলটেবিল বৈঠকে হাফিজ উদ্দিন খান এসব কথা বলেন। দি ঢাকা ফোরাম নামের একটি সংগঠন ‘গণতন্ত্র ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। তবে গণতন্ত্রের শুরুটা হয় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে উন্নয়ন সুবিধা সবাই পাচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের যে স্লোগান চলছে, ষাটের দশকে পাকিস্তান আমলেও তা ছিল। কিন্তু সে উন্নয়ন সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে এসেছে উল্লেখ করে সাবেক এই গভর্নর বলেন, এই খাতে ঋণ প্রবাহ কমে ১২ শতাংশ নেমে এসেছে। অথচ কয়েক বছর আগেও এটি ১৬ শতাংশ ছিল। বড় বড় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অবহেলা করা হচ্ছে। তারা যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ পায় না বললেই চলে। বড় বড় ঋণ পুঁজিপতিদের দখলে।
শেয়ারবাজার প্রসঙ্গে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৯০-এর দশকে শেয়ারবাজারে যে কেলেঙ্কারি ঘটেছিল সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। রাষ্ট্র ও সরকার সেই শিক্ষা নেয়নি বলেই ২০১০ সালে কেলেঙ্কারি হয়। তার ধারাবাহিকতা এখনো আছে। কারা, কীভাবে এর সঙ্গে জড়িত, তা সরকার জানে। অথচ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র সংকুচিত হলে পুঁজির অসম বিকাশ ঘটে। আর এই কারণেই এ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীরা। কারণ, পুঁজিই এখন ক্ষমতার উৎস, জনগণ নয়। এতে জনগণের স্বার্থ সেই অর্থে গুরুত্ব পায় না। যার ফলে জবাবদিহি নেই, সুশাসনও নেই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমান উন্নয়নের ধরনে জবাবদিহির অভাব ও স্বচ্ছতার অভাব আছে। সড়ক, রেলপথে বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। এসব প্রকল্পের ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে। এর কারণ, যারা নীতিনির্ধারক তারাই এসব প্রকল্পের পেছনে আছেন। এসব প্রকল্প ব্যয়ের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী, দোষী, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার তৎপর। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার অতটা তৎপর নয়।
জনগণ প্রশাসনের কাছে অসহায় বলে মন্তব্য করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সব অন্যায় অবিচারের কাছে আমরা ১৭ কোটি লোক অসহায় হয়ে আছি। দেশে সরকার থাকবে আর সুশাসন থাকবে না, এটা হতে পারে না। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই এ রকম বিনা ভোটের একটা সরকার, লজ্জাও পায় না। ভোটাধিকার না থাকলে নাগরিকত্বও থাকে না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকার ডাকাত সরকার। ৩০ ডিসেম্বর ডাকাতি করে ভোট নিয়েছে। আবার বলছে, উন্নয়ন হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। যে জিডিপিতে সমতা নেই তাকে উন্নয়ন বলা যাবে না। এটা লুটেরাদের উন্নয়ন।’
বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments