ঢাকা আসছেন ৭ মার্কিন কর্মকর্তা: নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় by মিজানুর রহমান
নিরাপত্তা
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ঢাকা আসছেন মার্কিন ৭ কর্মকর্তা। আগামী ২রা মে
বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে
নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। ঢাকাস্থ মার্কিন
দূতাবাস এবং ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও এতে অংশ
নেবেন।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ফোরাম রয়েছে। এটি খুবই স্ট্রাকচার্ড বা কাঠামোবদ্ধ ফোরাম। এর আওতায় ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর অল্টারনেটিভ ভেন্যুতে আলোচনা হয়ে আসছে। ওই ফোরামের সর্বশেষ বৈঠক ওয়াশিংটনে হয়েছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে। সেটি ছিল ষষ্ঠ নিরাপত্তা সংলাপ।
সঙ্গত কারণেই এবারের ভেন্যু ঢাকা।
আসন্ন ৭ম নিরাপত্তা সংলাপ প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত ঢাকার কূটনীতিকরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অতীদের ধারাবাহিকতায় এবারের সংলাপে আঞ্চলিক সহযোগিতা, প্রথা এবং অ-প্রথাগত নিরাপত্তাসহ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমন, সামরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইবার সিকিউরিটি, মেরিটাইম সিকিউরিটি, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিগত সংলাপের মূখ্য আলোচ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি ওয়াশিংটনের তরফে এবারের বৈঠকে তোলা হতে পারে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বিশেষতঃ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ হিসাবে কর্মকর্তারা যে বিষয়টি সামনে আনছেন তা হল- শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক বর্বর হামলা। ওই হামলায় বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
সহিংস এমন ঘটনা ঠেকাতে দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো ‘সুনির্দিষ্ট’করণের তাগিদ থাকবে উভয় পক্ষের। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা সতর্কতা (‘কে’ ক্যাটাগরিতে নাম ওঠার) জারির বিষয়টি কিংবা এ নিয়ে মার্কিনীদের উদ্বেগ নিরসনের কোন চেষ্টা ঢাকার তরফে থাকবে কি-না? জানতে চাইলে এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বের যে কোন দেশে মার্কিন মিশন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টের অগ্রাধিকার। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি মনিটর করা এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ওয়াশিংটন নিয়মিতভাবে আলোচনা করে।
নিরাপত্তা সংলাপ কাঠামোবদ্ধ ফোরাম হওয়ায় অতীতে কখনও সতর্ক বার্তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। এবারের এজেন্ডায় তা নেই। তবে ওয়াশিংটন চাইলে ঢাকার তরফে অবশ্যই এ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হবে এবং বাংলাদেশ যে বিদেশীর জন্য নিরাপদ, সেটি দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরা হবে। যুদ্ধ বা সামরিক কারণে নয় কিন্তু বেসামরিক নিরাপত্তার জন্য জরুরি যে কোন অপারেশন পরিচালনায় যেমন দুর্যোাগ-দুর্বিপাকে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে লজিস্টিক সাপোর্ট এগ্রিমেন্ট চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বেসামরিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই চুক্তির জন্য ওয়াশিংটন যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে তা কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা সংলাপে আলোচনা হয়ে আসছে। এবারের সংলাপেও এটি আসতে পারে। তাছাড়া রোহিঙ্গাসহ যে কোন মানব সৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তায় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার নিরাপত্তা সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি উভয় দেশের অঙ্গিকার নিরাপত্তা সংলাপে প্রতিফলিত হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এবারের সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী মন্ত্রী মাইকেল মিলার নেতৃত্ব দিবেন। তার সঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংশ্লিষ্ট ব্যুরো ও বিভাগের ৬ জন প্রতিনিধি থাকবেন। ঢাকা থেকে যুক্ত হবেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এবং তার টিমের অন্তত ৬ জন সদস্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক ফেরদৌসি শাহরিয়ার সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকছেন বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ফোরাম রয়েছে। এটি খুবই স্ট্রাকচার্ড বা কাঠামোবদ্ধ ফোরাম। এর আওতায় ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর অল্টারনেটিভ ভেন্যুতে আলোচনা হয়ে আসছে। ওই ফোরামের সর্বশেষ বৈঠক ওয়াশিংটনে হয়েছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে। সেটি ছিল ষষ্ঠ নিরাপত্তা সংলাপ।
সঙ্গত কারণেই এবারের ভেন্যু ঢাকা।
আসন্ন ৭ম নিরাপত্তা সংলাপ প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত ঢাকার কূটনীতিকরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, অতীদের ধারাবাহিকতায় এবারের সংলাপে আঞ্চলিক সহযোগিতা, প্রথা এবং অ-প্রথাগত নিরাপত্তাসহ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ দমন, সামরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সাইবার সিকিউরিটি, মেরিটাইম সিকিউরিটি, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিগত সংলাপের মূখ্য আলোচ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি ওয়াশিংটনের তরফে এবারের বৈঠকে তোলা হতে পারে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম বা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বিশেষতঃ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কারণ হিসাবে কর্মকর্তারা যে বিষয়টি সামনে আনছেন তা হল- শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক বর্বর হামলা। ওই হামলায় বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
সহিংস এমন ঘটনা ঠেকাতে দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো ‘সুনির্দিষ্ট’করণের তাগিদ থাকবে উভয় পক্ষের। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা সতর্কতা (‘কে’ ক্যাটাগরিতে নাম ওঠার) জারির বিষয়টি কিংবা এ নিয়ে মার্কিনীদের উদ্বেগ নিরসনের কোন চেষ্টা ঢাকার তরফে থাকবে কি-না? জানতে চাইলে এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বের যে কোন দেশে মার্কিন মিশন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি স্টেট ডিপার্টমেন্টের অগ্রাধিকার। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এটি মনিটর করা এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ওয়াশিংটন নিয়মিতভাবে আলোচনা করে।
নিরাপত্তা সংলাপ কাঠামোবদ্ধ ফোরাম হওয়ায় অতীতে কখনও সতর্ক বার্তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। এবারের এজেন্ডায় তা নেই। তবে ওয়াশিংটন চাইলে ঢাকার তরফে অবশ্যই এ নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হবে এবং বাংলাদেশ যে বিদেশীর জন্য নিরাপদ, সেটি দৃঢ়তার সঙ্গে তুলে ধরা হবে। যুদ্ধ বা সামরিক কারণে নয় কিন্তু বেসামরিক নিরাপত্তার জন্য জরুরি যে কোন অপারেশন পরিচালনায় যেমন দুর্যোাগ-দুর্বিপাকে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে লজিস্টিক সাপোর্ট এগ্রিমেন্ট চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বেসামরিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই চুক্তির জন্য ওয়াশিংটন যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে তা কয়েক বছর ধরে নিরাপত্তা সংলাপে আলোচনা হয়ে আসছে। এবারের সংলাপেও এটি আসতে পারে। তাছাড়া রোহিঙ্গাসহ যে কোন মানব সৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তায় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার নিরাপত্তা সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি উভয় দেশের অঙ্গিকার নিরাপত্তা সংলাপে প্রতিফলিত হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এবারের সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পলিটিক্যাল অ্যান্ড মিলিটারি ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী মন্ত্রী মাইকেল মিলার নেতৃত্ব দিবেন। তার সঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংশ্লিষ্ট ব্যুরো ও বিভাগের ৬ জন প্রতিনিধি থাকবেন। ঢাকা থেকে যুক্ত হবেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এবং তার টিমের অন্তত ৬ জন সদস্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক ফেরদৌসি শাহরিয়ার সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকছেন বলে জানা গেছে।
No comments