শ্রীলঙ্কা হামলার 'মূলহোতা' জাহরান হাশিম আসলে কে? by জাহিদুল ইসলাম জন
শ্রীলঙ্কার
আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলার সন্দেহভাজন মূলহোতা জাহরান হাশিম মোহাম্মদ।
কাশিম মোহাম্মদ জাহরান নামেও পরিচিত সে। তাওহীদ জামাত নামে পরিচিত একটি
স্থানীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা হাশিম। শ্রীলঙ্কা সরকারের সন্দেহ তার
পরিকল্পনা অনুযায়ী এনটিজে-ই রবিবারের সিরিজ হামলা চালিয়েছে। আইএস-এর পক্ষ
থেকেও দাবি করা হয়েছে, বাগদাদির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে হাশিমের
পরিকল্পনা মাফিক ওই হামলা হয়েছে। এনটিজের হামলার সমন্বয় প্রক্রিয়া এবং
সামরিক গ্রেডের বিস্ফোরক ব্যবহারের ধরণ দেখেও ধারণা করা হচ্ছে বিদেশি কোনও
গ্রুপের সহায়তা পেয়েছে স্থানীয় ওই গ্রুপটি। শ্রীলঙ্কার মুসলিম কাউন্সিলের
এক নেতার দাবি তিন বছর থেকেই হাশিমের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে
কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আসছিলেন তিনি। তার সাথে দক্ষিণ ভারতের উগ্রবাদীদের
সংশ্লিষ্টতাও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।
হামলার পর সরাসরি দায়ী না করা হলেও স্থানীয় উগ্রবাদী গ্রুপ এনটিজেকে সন্দেহের শীর্ষে রেখে তদন্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দারা। এক পর্যায়ে ওই উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সরাসরি দায়ী করে দাবি করা হয়, হাশিম হামলার মূলহোতা। আইএস-এর ছবি সম্বলিত বিবৃতিতে হামলাকারী হিসেবে যে ৮ জনের কথা বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে একমাত্র হাশমিকেই দেখা গেছে মুখ খোলা অবস্থায়। আইএস-ও তাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে হাজির করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নিজের সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হাশিম। অন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আইএসপন্থী সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে হাজার হাজার অনুসারী যোগাড় করেছে সে। শ্রীলঙ্কার মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহমেদ দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, হাশিমের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে তিন বছর ধরে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আসছিলেন তিনি। হাশমি তার কোরআন শিক্ষা ক্লাসে তরুণদের উগ্রবাদে আকৃষ্ট করছিলো বলে কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন তিনি। হিলমি দাবি করেন, ঘৃণাবাদী বক্তব্য সম্বলিত তার সবগুলো ইউটিউব ভিডিও ভারত থেকে আপলোড করা হয়েছে। চেন্নাই অথবা বেঙ্গালুরুতে তার ঘাঁটি রয়েছে।
ভারতের সিএনএন নিউজ ১৮ প্রথম এই হামলায় হাশিমের সম্পৃক্ততার খবর সামনে আনে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি করে কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা হতে পারে বলে লঙ্কান পুলিশকে এপ্রিলের শুরুতে সতর্ক করে দেয় ভারতীয় গোয়েন্দারা। আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, ছয় মাস আগে তামিল নাড়ু থেকেআটক এক আইএস ঘনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় শ্রীলঙ্কায় হামলার তথ্য পায় তারা।
নিক্কি এশিয়ান রিভিউ-এর খবর অনুযায়ী, রবিবারের হামলার কয়েক মাস আগে থেকে দক্ষিণ ভারত থেকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো হাশিমের কর্মকাণ্ড।
ভারতীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হাশিমের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিবিড় তদন্তের আওতায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, ওই সিরিজ বোমা হামলা নিয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাদের কাছে। কলম্বোর হাতে তা পৌঁছে দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রবিবার (২১ এপ্রিল) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৫৯ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।
হামলার পর সরাসরি দায়ী না করা হলেও স্থানীয় উগ্রবাদী গ্রুপ এনটিজেকে সন্দেহের শীর্ষে রেখে তদন্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দারা। এক পর্যায়ে ওই উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সরাসরি দায়ী করে দাবি করা হয়, হাশিম হামলার মূলহোতা। আইএস-এর ছবি সম্বলিত বিবৃতিতে হামলাকারী হিসেবে যে ৮ জনের কথা বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে একমাত্র হাশমিকেই দেখা গেছে মুখ খোলা অবস্থায়। আইএস-ও তাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে হাজির করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নিজের সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হাশিম। অন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আইএসপন্থী সামাজিক যোগাযোগের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে হাজার হাজার অনুসারী যোগাড় করেছে সে। শ্রীলঙ্কার মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহমেদ দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, হাশিমের উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে তিন বছর ধরে কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আসছিলেন তিনি। হাশমি তার কোরআন শিক্ষা ক্লাসে তরুণদের উগ্রবাদে আকৃষ্ট করছিলো বলে কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন তিনি। হিলমি দাবি করেন, ঘৃণাবাদী বক্তব্য সম্বলিত তার সবগুলো ইউটিউব ভিডিও ভারত থেকে আপলোড করা হয়েছে। চেন্নাই অথবা বেঙ্গালুরুতে তার ঘাঁটি রয়েছে।
ভারতের সিএনএন নিউজ ১৮ প্রথম এই হামলায় হাশিমের সম্পৃক্ততার খবর সামনে আনে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি করে কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা হতে পারে বলে লঙ্কান পুলিশকে এপ্রিলের শুরুতে সতর্ক করে দেয় ভারতীয় গোয়েন্দারা। আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, ছয় মাস আগে তামিল নাড়ু থেকেআটক এক আইএস ঘনিষ্ঠকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় শ্রীলঙ্কায় হামলার তথ্য পায় তারা।
নিক্কি এশিয়ান রিভিউ-এর খবর অনুযায়ী, রবিবারের হামলার কয়েক মাস আগে থেকে দক্ষিণ ভারত থেকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছিলো হাশিমের কর্মকাণ্ড।
ভারতীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হাশিমের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিবিড় তদন্তের আওতায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, ওই সিরিজ বোমা হামলা নিয়ে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাদের কাছে। কলম্বোর হাতে তা পৌঁছে দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
No comments