ছবি হাতে রোহানের খোঁজে স্বজনেরা by মোশতাক আহমেদ ও কমল জোহা খান
নর্থ
সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র তানজিল হাসান রোহান বন্ধুদের সঙ্গে গত
রাতে খেতে গিয়েছিলেন চকবাজার এলাকায়। এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া
যাচ্ছে না। গতকাল রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা
মসজিদ গলির ওয়াহেদ ম্যানসনে আগুন লাগে। এরপর সেই আগুন পাশের কয়েকটি ভবনেও
ছড়িয়ে পড়ে।
রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, ওয়াহেদ ম্যানসন পাশে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরিত হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী সকাল সাড়ে আটটার দিকে ব্রিফিংয়ে জানান, ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও লাশ থাকতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর রোহানের স্বজনেরা মর্গে রোহানের লাশের খোঁজ করছেন। এসেছিলেন ছোট ভাই, মা, নানি। রোহানের খোঁজে দুপুরে তাঁর পরিবার ও স্বজনদের ঢাকা মেডিকেলে এসে আহাজারি করতে দেখা যায়। তাঁরা জানান, রোহানসহ ৫ বন্ধু মিলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ওয়াহেদ ম্যানসনের পাশে হোটেল খেতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
স্বজনেরা জানান, রোহানের মোটরসাইকেলে ছিলেন আরাফাত। আরাফাতের লাশ পাওয়া গেছে। বাকি তিনজন বেঁচে আছেন। ওই তিনজন ছিলেন আরেক মোটরসাইকেলে।
রোহানের বাসার গৃহশিক্ষক তারেকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে রোহানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন রোহানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। রাত থেকে কোথাও তাকে না পেয়ে শেষে হাসপাতালে খুঁজতে এসেছেন। কিন্তু এখনো সন্ধান পাননি।
হাসপাতালের মর্গের সামনে তাঁর স্বজনেরা ছবি নিয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে যাচ্ছেন। সেখানে বয়স্ক এক ব্যক্তি একটি ছবি হাতে পুলিশের কাছে রোহানের খোঁজ করছিলেন। তাঁর নাম লোকমান খান। তিনি রোহানের চাচা।
লোকমান খান বলেন, গতকাল রাত এগারোটার পর থেকে রোহানের খোঁজ নেই। তাদের বাসা পুরান ঢাকার আগামসি লেনে। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
লোকমান খান বলেন, তার ভাতিজা নর্থ সাউথের বিবিএ পড়ত। গতকাল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়ার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত তাকে শনাক্ত করা যায়নি। রোহানরা তিন ভাই এক বোন। তাদের মধ্যে রোহান বড়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এখন অনেক শোকার্ত মানুষের ভিড়। কেউ স্বজন হারিয়েছেন। কেউবা তাদের খোঁজে এসেছেন। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, এখানে ৬৭টি লাশ আনা হয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু লাশ পুড়ে কয়লার মতো হয়ে গেছে। কিছু লাশ আছে চেহারা দেখে শনাক্ত করা যাবে।
রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, ওয়াহেদ ম্যানসন পাশে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস সিলিন্ডারগুলো বিস্ফোরিত হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী সকাল সাড়ে আটটার দিকে ব্রিফিংয়ে জানান, ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও লাশ থাকতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর রোহানের স্বজনেরা মর্গে রোহানের লাশের খোঁজ করছেন। এসেছিলেন ছোট ভাই, মা, নানি। রোহানের খোঁজে দুপুরে তাঁর পরিবার ও স্বজনদের ঢাকা মেডিকেলে এসে আহাজারি করতে দেখা যায়। তাঁরা জানান, রোহানসহ ৫ বন্ধু মিলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ওয়াহেদ ম্যানসনের পাশে হোটেল খেতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
স্বজনেরা জানান, রোহানের মোটরসাইকেলে ছিলেন আরাফাত। আরাফাতের লাশ পাওয়া গেছে। বাকি তিনজন বেঁচে আছেন। ওই তিনজন ছিলেন আরেক মোটরসাইকেলে।
রোহানের বাসার গৃহশিক্ষক তারেকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে রোহানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন রোহানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। রাত থেকে কোথাও তাকে না পেয়ে শেষে হাসপাতালে খুঁজতে এসেছেন। কিন্তু এখনো সন্ধান পাননি।
হাসপাতালের মর্গের সামনে তাঁর স্বজনেরা ছবি নিয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে যাচ্ছেন। সেখানে বয়স্ক এক ব্যক্তি একটি ছবি হাতে পুলিশের কাছে রোহানের খোঁজ করছিলেন। তাঁর নাম লোকমান খান। তিনি রোহানের চাচা।
লোকমান খান বলেন, গতকাল রাত এগারোটার পর থেকে রোহানের খোঁজ নেই। তাদের বাসা পুরান ঢাকার আগামসি লেনে। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
লোকমান খান বলেন, তার ভাতিজা নর্থ সাউথের বিবিএ পড়ত। গতকাল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়ার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত তাকে শনাক্ত করা যায়নি। রোহানরা তিন ভাই এক বোন। তাদের মধ্যে রোহান বড়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এখন অনেক শোকার্ত মানুষের ভিড়। কেউ স্বজন হারিয়েছেন। কেউবা তাদের খোঁজে এসেছেন। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, এখানে ৬৭টি লাশ আনা হয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু লাশ পুড়ে কয়লার মতো হয়ে গেছে। কিছু লাশ আছে চেহারা দেখে শনাক্ত করা যাবে।
No comments