শামিমার সন্তানের নাগরিকত্ব কী!
জঙ্গি
গোষ্ঠী আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামিমা বেগমের নবজাতকের পরিচয়
কি হবে তা নিয়ে এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার শামিমার বৃটিশ
নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৯৮১
সালের বৃটিশ নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করা
যাবে, যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করা জনগণের জন্য শুভ হবে বলে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত হন এবং নাগরিকত্ব বাতিল করলে যদি ওই ব্যক্তি
রাষ্ট্রহীন হয়ে না পড়েন। শামিমা বেগম বলেছেন, তিনি তার বোনের বৃটিশ
পাসপোর্ট ব্যবহার করে সিরিয়ায় গেছেন। কিন্তু সীমান্ত পাড় হয়ে সিরিয়ায়
প্রবেশের পরই তা তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবিসি লিখেছে, শামিমা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বলে মনে করা হয়। এ বিষয়ে তার কাছে বিবিসি জানতে চেয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছেন, তার কাছে বাংলাদেশী কোনো পাসপোর্ট ছিল না।
এমন কি তিনি কখনো বাংলাদেশ সফরে আসেনও নি। এখন প্রশ্ন উঠেছে তার নবজাতক ছেলের পরিচয় নিয়ে। বৃটিশ আইন অনুযায়ী একটি শিশু তার মা বা বাবার নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে যদি জন্মগ্রহণ করে থাকে তাহলে ওই শিশুকে একজন বৃটিশ নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। ওই শিশু যদি বৃটেনের বিরুদ্ধে বড় কোনো হুমকি হয়ে ওঠে তাহলে তার নাগরিকত্ব তাত্ত্বিকভাবে বাতিল করা যেতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য, শামিমার সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে গত শনিবার। আর শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার মঙ্গলবার। এই হিসেবে তার ওই সন্তান বৃটিশ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত কয়েকদিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে এসেছেন যে, বৃটেন ও দেশবাসীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই তার অগ্রাধিকার। তবে এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় বিশেষ কোন ঘটনা বা মামলার উল্লেখ করে নি। তবে নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। এটাকে হালকাভাবে নেয়া হয় নি।
ওদিকে সন্ত্রাস বিষয়ক নিরপেক্ষ সাবেক একজন পর্যবেক্ষক ও আইনজীবী লর্ড কার্লাইল বলেন, শামিমা বেগমের মা একজন বাংলাদেশী। তার নাম জাহানারা। তিনি বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকলে বাংলাদেশী আইনের অধীনে শামিমা বেগমও বাংলাদেশী। ওদিকে বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছেন বৃটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক চিফ সুপারিনটেন্ডেন্ট ও শামিমা বেগমের পারিবারিক বন্ধু দল বাবু। শামিমা বেগম কখনোই বাংলাদেশে আসেন নি উল্লেখ করে দল বাবু বলেন, এমন সিদ্ধান্ত উদ্ভট। আমি জানি না কিভাবে এই বিষয়টিতে বৈধতা দেয়া হচ্ছে।
ওদিকে সরকারি একটি সূত্র বলেছেন, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে সমর্থন দিতে দেশ ছাড়ার কারণে এ পর্যন্ত শতাধিক দ্বৈত্য নাগরিকত্বের অধিকারীরা বৃটিশ নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। গত বছর আইএস সদস্য সন্দেহে দু’জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। সিরিয়ায় তাদেরকে আটক করার পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের বেশির ভাগ ঘাঁটিতে পরাজিত হয়েছে। তাদের কিছু সংখ্যক এখন সিরিয়া ও ইরাক সীমান্ত এলাকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
এ বিষয়ে বিবিসি লিখেছে, শামিমা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বলে মনে করা হয়। এ বিষয়ে তার কাছে বিবিসি জানতে চেয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছেন, তার কাছে বাংলাদেশী কোনো পাসপোর্ট ছিল না।
এমন কি তিনি কখনো বাংলাদেশ সফরে আসেনও নি। এখন প্রশ্ন উঠেছে তার নবজাতক ছেলের পরিচয় নিয়ে। বৃটিশ আইন অনুযায়ী একটি শিশু তার মা বা বাবার নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে যদি জন্মগ্রহণ করে থাকে তাহলে ওই শিশুকে একজন বৃটিশ নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। ওই শিশু যদি বৃটেনের বিরুদ্ধে বড় কোনো হুমকি হয়ে ওঠে তাহলে তার নাগরিকত্ব তাত্ত্বিকভাবে বাতিল করা যেতে পারে।
এখানে উল্লেখ্য, শামিমার সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে গত শনিবার। আর শামিমার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার মঙ্গলবার। এই হিসেবে তার ওই সন্তান বৃটিশ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত কয়েকদিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে এসেছেন যে, বৃটেন ও দেশবাসীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই তার অগ্রাধিকার। তবে এক্ষেত্রে তার মন্ত্রণালয় বিশেষ কোন ঘটনা বা মামলার উল্লেখ করে নি। তবে নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়টি নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে। এটাকে হালকাভাবে নেয়া হয় নি।
ওদিকে সন্ত্রাস বিষয়ক নিরপেক্ষ সাবেক একজন পর্যবেক্ষক ও আইনজীবী লর্ড কার্লাইল বলেন, শামিমা বেগমের মা একজন বাংলাদেশী। তার নাম জাহানারা। তিনি বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকলে বাংলাদেশী আইনের অধীনে শামিমা বেগমও বাংলাদেশী। ওদিকে বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছেন বৃটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক চিফ সুপারিনটেন্ডেন্ট ও শামিমা বেগমের পারিবারিক বন্ধু দল বাবু। শামিমা বেগম কখনোই বাংলাদেশে আসেন নি উল্লেখ করে দল বাবু বলেন, এমন সিদ্ধান্ত উদ্ভট। আমি জানি না কিভাবে এই বিষয়টিতে বৈধতা দেয়া হচ্ছে।
ওদিকে সরকারি একটি সূত্র বলেছেন, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে সমর্থন দিতে দেশ ছাড়ার কারণে এ পর্যন্ত শতাধিক দ্বৈত্য নাগরিকত্বের অধিকারীরা বৃটিশ নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। গত বছর আইএস সদস্য সন্দেহে দু’জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। সিরিয়ায় তাদেরকে আটক করার পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের বেশির ভাগ ঘাঁটিতে পরাজিত হয়েছে। তাদের কিছু সংখ্যক এখন সিরিয়া ও ইরাক সীমান্ত এলাকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
No comments