মুখোমুখি মোদি-ইমরান
পালওয়ামা
হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে
দায়ী করে কড়া জবাবের হুমকি দেন। প্রতিক্রিয়ায় গতকাল পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, ভারত
হামলা করলে পাকিস্তান পাল্টা প্রতিশোধ নেবে। প্রতিবেশী দু’দেশের এমন
পাল্টাপাল্টি হুমকিতে কাশ্মীর সীমান্তে আরেকটি যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছেন
অনেকে। এরই মধ্যে পাকিস্তান সফর করেছেন সৌদি আরবের ক্ষমতাশালী ক্রাউন
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল রাতে ভারতে পৌঁছানোর
কথা ছিল তার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিন সালমান নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন
কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় পরস্পরের প্রতিবেশী দুই দেশে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সফর কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ’র গাড়িবহরে হামলার পর এই ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারত যদি হামলা চালায় তাহলে প্রতিশোধ নেবে পাকিস্তান। ভারতের পক্ষ থেকে পালওয়ামা হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হলেও ইমরান খান তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ভারতের কাছে তাদের দাবির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ চেয়েছেন। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী হামলার জন্য উল্টো ভারতের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, ভারতে সামনে নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইমরান খান বুঝাতে চেয়েছেন, সংকট ভারতের ভেতরকার। ইমরান খান আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এতে তিনি কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া পাকিস্তানকে দোষারোপ বন্ধ করতে আহ্বান জানান। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের কোনো অংশ থেকে যদি অভিযান চালানো হয়, তাহলে পাকিস্তান নিশ্চিতভাবেই প্রতিশোধ নেবে। তবে পালওয়ামা হামলার তদন্তে ইসলামাবাদ দিল্লিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান ইমরান খান। তিনি এ জন্য সংলাপ আহ্বান করেছেন।
এদিকে, পাল্টা জবাবে ভারত পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের প্রাণকেন্দ্র আখ্যা দিয়েছে। গতকাল রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালওয়ামায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলে মানতে নারাজ। কিন্তু আমরা এতে বিস্মিত নই। তিনি সহিংস এই হামলার নিন্দা জানাননি, একইসঙ্গে নিহতদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন নি। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার হচ্ছে বলে ইমরান খানের দাবির বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রকৃত বিষয় খুব ভালো করেই জানে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসের প্রাণকেন্দ্র। সন্ত্রাসী হামলার দায় অস্বীকার করা পাকিস্তানের পুরনো অজুহাত। দেশটি বরাবরই এর পুনরাবৃত্তি করে আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ খবর দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা চেয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরাঁকে চিঠি লিখেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে কুরেশি লিখেছেন, জরুরিভিত্তিতে আমলে নিতে হবে এমন একটি অবস্থান থেকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে ভারত। এতে আমাদের এ অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। চিঠিতে ওই হামলা কাশ্মিরী একজন বাসিন্দা চালিয়েছে বলে ভারতীয় বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। তদন্ত হওয়ার আগে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাঁধে দায় চাপানো উদ্ভট এক বিষয়। তবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। তারা বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সব রকম সমস্যার সমাধান হতে হবে দ্বিপক্ষীয়ভাবে।
প্রসঙ্গত, পালওয়ামা হামলায় ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪০ জনেরও বেশি জওয়ান নিহত হন। এর দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ। তাৎক্ষণিকভাবে ভারত এ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইমরান খান। দুই দেশই তাদের স্ব-স্ব দূতকে তলব করেছে।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পালওয়ামা হামলার পর এ বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন ইমরান খান।
উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় পরস্পরের প্রতিবেশী দুই দেশে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সফর কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ’র গাড়িবহরে হামলার পর এই ইস্যুতে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারত যদি হামলা চালায় তাহলে প্রতিশোধ নেবে পাকিস্তান। ভারতের পক্ষ থেকে পালওয়ামা হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হলেও ইমরান খান তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ভারতের কাছে তাদের দাবির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ চেয়েছেন। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী হামলার জন্য উল্টো ভারতের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, ভারতে সামনে নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইমরান খান বুঝাতে চেয়েছেন, সংকট ভারতের ভেতরকার। ইমরান খান আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন। পাক প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এতে তিনি কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়া পাকিস্তানকে দোষারোপ বন্ধ করতে আহ্বান জানান। ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের কোনো অংশ থেকে যদি অভিযান চালানো হয়, তাহলে পাকিস্তান নিশ্চিতভাবেই প্রতিশোধ নেবে। তবে পালওয়ামা হামলার তদন্তে ইসলামাবাদ দিল্লিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান ইমরান খান। তিনি এ জন্য সংলাপ আহ্বান করেছেন।
এদিকে, পাল্টা জবাবে ভারত পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের প্রাণকেন্দ্র আখ্যা দিয়েছে। গতকাল রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালওয়ামায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলে মানতে নারাজ। কিন্তু আমরা এতে বিস্মিত নই। তিনি সহিংস এই হামলার নিন্দা জানাননি, একইসঙ্গে নিহতদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন নি। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার হচ্ছে বলে ইমরান খানের দাবির বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রকৃত বিষয় খুব ভালো করেই জানে যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসের প্রাণকেন্দ্র। সন্ত্রাসী হামলার দায় অস্বীকার করা পাকিস্তানের পুরনো অজুহাত। দেশটি বরাবরই এর পুনরাবৃত্তি করে আসছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ খবর দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা চেয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরাঁকে চিঠি লিখেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবকে কুরেশি লিখেছেন, জরুরিভিত্তিতে আমলে নিতে হবে এমন একটি অবস্থান থেকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে ভারত। এতে আমাদের এ অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। চিঠিতে ওই হামলা কাশ্মিরী একজন বাসিন্দা চালিয়েছে বলে ভারতীয় বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি। তদন্ত হওয়ার আগে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাঁধে দায় চাপানো উদ্ভট এক বিষয়। তবে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। তারা বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সব রকম সমস্যার সমাধান হতে হবে দ্বিপক্ষীয়ভাবে।
প্রসঙ্গত, পালওয়ামা হামলায় ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪০ জনেরও বেশি জওয়ান নিহত হন। এর দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ। তাৎক্ষণিকভাবে ভারত এ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইমরান খান। দুই দেশই তাদের স্ব-স্ব দূতকে তলব করেছে।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পালওয়ামা হামলার পর এ বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন ইমরান খান।
No comments