মাদক রুট, তদন্তে ঢাকায় আসছেন শ্রীলঙ্কান গোয়েন্দারা by শুভ্র দেব
শ্রীলঙ্কার
ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান জব্দ ও তিন বাংলাদেশি নাগরিক আটকের পর
ঢাকায় আসার প্রস্তাব দিয়েছে ওই দেশের গোয়েন্দারা। শ্রীলঙ্কান পুলিশ
নারকোটিকস ব্যুরো ও স্পেশাল টাস্কফোর্সের একটি প্রতিনিধিদল ওই ঘটনার তদন্ত ও
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাদক
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করবেন। ইতিমধ্যে সার্ক ড্রাগ অফেন্স মনিটরিং ডেস্কের
(এসডিওএমডি) বাংলাদেশের প্রধান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক
(অপারেশন ও গোয়েন্দা) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীর কাছে শ্রীলঙ্কা থেকে
প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে শিগগিরই তাদের ঢাকা আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার মানবজমিনকে বলেন, শ্রীলঙ্কান পুলিশের মাদক নিয়ে কাজ করেন এমন কর্মকর্তারা ঢাকায় আসার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তারা কোন দিন আসবেন সে বিষয়ে কিছু বলেন নি। আমাদের পক্ষ থেকে যে তারিখ দেয়া হবে সেই তারিখেই তারা আসবেন। তিনি বলেন, ধারণা করছি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করবেন।
এ ছাড়া তাদের দেশে বিপুল পরিমাণ হেরোইন আটকের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত করবেন। কারণ ওই ঘটনায় ঢাকায় তিন নারীসহ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল হয়তো তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মাউন্ট লাভিয়ানার টেম্পলার্স রোডের আবাসিক এলাকার এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন উদ্ধার করে শ্রীলঙ্কার নারকোটিক ব্যুরো ও স্পেশাল টাস্কফোর্স। যার বাজার মূল্য তিনশ’ কোটি টাকার উপরে। এটি ছিল শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের মাদকের চালান আটক। মাদক উদ্ধার করা ছাড়াও ওই বাড়ি থেকে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও দেওয়ান রফিউল ইসলাম নামের দুই বাংলাদেশিকেও তারা গ্রেপ্তার করেছিলেন।
তার ঠিক দুই সপ্তাহ আগে একই এলাকা থেকে ৩২ কেজি হেরোইনসহ সূর্যমণি নামের আরেক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করে শ্রীলঙ্কা পুলিশ। ১৫ দিনের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিন বাংলাদেশি আটকের পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়। এরপর থেকে বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তুলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে। আটক ওই তিন বাংলাদেশি কোনো আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা বিষয়টি উদ্ঘাটনের আলোচনা সামনে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ই জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে শ্রীলঙ্কায় মাদকসহ আটক বাংলাদেশিদের নিয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঘটনার তদন্তের জন্য একটি প্রতিনিধিদল শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিনিধিদলে গোয়েন্দা বাহিনীতে মাদক দমন ও আন্তর্জাতিক মাদক চক্রকে মনিটরিং করেন এমন সদস্যদের রাখার কথা বলা হয়।
এর কিছুদিন পরে ছয় সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কায় যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) ও পুলিশের ডিআইজি ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীর নেতৃত্বে অন্যরা হলেন- গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক জিয়াউল হাসান, সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মেজর মনিরুল ইসলাম ও ইমিগ্রেশনের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। টানা চারদিনের তদন্ত শেষে তারা ঢাকায় ফিরেন।
শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ওই প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, শ্রীলঙ্কান জেলে বন্দি বাংলাদেশি ওই তিনজনকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্যও পাওয়া গেছে। তারা মূলত বাহক হিসেবে কাজ করতো। বাংলাদেশ থেকে এসব মাদক পাচার করা হতো না। তারা বলেছে, আফগানিস্তান থেকে করাচি বন্দর হয়ে চালান যেত কলম্বো। আটক বাংলাদেশিরা শুধু বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে চালান পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তিনি বলেন, তদন্তে বড় ধরনের একটি চক্রের তথ্য মিলেছে। আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। এর আগে দেশে আটক চয়েজ রহমানের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন তাদের সঙ্গে চয়েজ রহমানের একটা যোগাযোগ ছিল। তারা প্রত্যেকেই পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আটক চয়েজ রহমানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের যোগাযোগ রয়েছে। পোশাক ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। মাদকের পাচারের রুট নিয়ন্ত্রণ করে দেশে-বিদেশে গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যে তিন বাংলাদেশি, চায়নায় ২ জন ও ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক আরো ৫ জনই চয়েজ রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় ২৭২ কেজি হেরোইনসহ দুই বাংলাদেশি আটকের খবর পেয়ে সে দেশ থেকে পালিয়ে যান আরো দুই বাংলাদেশি। তারা হলেন- মো. আরিফ উদ্দিন ও শেখ আহমেদ সুমন। এই দুজনও চয়েজ রহমানের সঙ্গে কাজ করতেন। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তারা একই সঙ্গে তৈরি পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জন্য তারা আলাদা হয়ে যান। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন আরিফ ও সুমনই এই নেটওয়ার্কের মূল হোতা। তাদের সঙ্গে একাধিক তরুণী জড়িত আছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরো কিছু নারীর নাম উঠে এসেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে শিগগিরই তাদের ঢাকা আসার আমন্ত্রণ জানানো হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার মানবজমিনকে বলেন, শ্রীলঙ্কান পুলিশের মাদক নিয়ে কাজ করেন এমন কর্মকর্তারা ঢাকায় আসার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তারা কোন দিন আসবেন সে বিষয়ে কিছু বলেন নি। আমাদের পক্ষ থেকে যে তারিখ দেয়া হবে সেই তারিখেই তারা আসবেন। তিনি বলেন, ধারণা করছি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করবেন।
এ ছাড়া তাদের দেশে বিপুল পরিমাণ হেরোইন আটকের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত করবেন। কারণ ওই ঘটনায় ঢাকায় তিন নারীসহ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল হয়তো তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার মাউন্ট লাভিয়ানার টেম্পলার্স রোডের আবাসিক এলাকার এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন উদ্ধার করে শ্রীলঙ্কার নারকোটিক ব্যুরো ও স্পেশাল টাস্কফোর্স। যার বাজার মূল্য তিনশ’ কোটি টাকার উপরে। এটি ছিল শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধরনের মাদকের চালান আটক। মাদক উদ্ধার করা ছাড়াও ওই বাড়ি থেকে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও দেওয়ান রফিউল ইসলাম নামের দুই বাংলাদেশিকেও তারা গ্রেপ্তার করেছিলেন।
তার ঠিক দুই সপ্তাহ আগে একই এলাকা থেকে ৩২ কেজি হেরোইনসহ সূর্যমণি নামের আরেক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেপ্তার করে শ্রীলঙ্কা পুলিশ। ১৫ দিনের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিন বাংলাদেশি আটকের পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়। এরপর থেকে বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তুলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে। আটক ওই তিন বাংলাদেশি কোনো আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা বিষয়টি উদ্ঘাটনের আলোচনা সামনে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ই জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে শ্রীলঙ্কায় মাদকসহ আটক বাংলাদেশিদের নিয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঘটনার তদন্তের জন্য একটি প্রতিনিধিদল শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিনিধিদলে গোয়েন্দা বাহিনীতে মাদক দমন ও আন্তর্জাতিক মাদক চক্রকে মনিটরিং করেন এমন সদস্যদের রাখার কথা বলা হয়।
এর কিছুদিন পরে ছয় সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কায় যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) ও পুলিশের ডিআইজি ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীর নেতৃত্বে অন্যরা হলেন- গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক জিয়াউল হাসান, সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মেজর মনিরুল ইসলাম ও ইমিগ্রেশনের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। টানা চারদিনের তদন্ত শেষে তারা ঢাকায় ফিরেন।
শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ওই প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, শ্রীলঙ্কান জেলে বন্দি বাংলাদেশি ওই তিনজনকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্যও পাওয়া গেছে। তারা মূলত বাহক হিসেবে কাজ করতো। বাংলাদেশ থেকে এসব মাদক পাচার করা হতো না। তারা বলেছে, আফগানিস্তান থেকে করাচি বন্দর হয়ে চালান যেত কলম্বো। আটক বাংলাদেশিরা শুধু বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে চালান পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। তিনি বলেন, তদন্তে বড় ধরনের একটি চক্রের তথ্য মিলেছে। আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। এর আগে দেশে আটক চয়েজ রহমানের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। এখন পর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন তাদের সঙ্গে চয়েজ রহমানের একটা যোগাযোগ ছিল। তারা প্রত্যেকেই পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে আটক চয়েজ রহমানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের যোগাযোগ রয়েছে। পোশাক ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। মাদকের পাচারের রুট নিয়ন্ত্রণ করে দেশে-বিদেশে গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যে তিন বাংলাদেশি, চায়নায় ২ জন ও ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক আরো ৫ জনই চয়েজ রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় ২৭২ কেজি হেরোইনসহ দুই বাংলাদেশি আটকের খবর পেয়ে সে দেশ থেকে পালিয়ে যান আরো দুই বাংলাদেশি। তারা হলেন- মো. আরিফ উদ্দিন ও শেখ আহমেদ সুমন। এই দুজনও চয়েজ রহমানের সঙ্গে কাজ করতেন। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তারা একই সঙ্গে তৈরি পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জন্য তারা আলাদা হয়ে যান। গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যমতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন আরিফ ও সুমনই এই নেটওয়ার্কের মূল হোতা। তাদের সঙ্গে একাধিক তরুণী জড়িত আছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরো কিছু নারীর নাম উঠে এসেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা করা হচ্ছে।
No comments