নতুন বাজারে বাড়ছে পোশাক রপ্তানি
বাংলাদেশের
পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ ও আমেরিকার বাইরে অপ্রচলিত বা নতুন
বাজারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বাজারগুলোতে গত ছয় মাসে বাংলাদেশ রপ্তানি
করেছে ২৮৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের পোশাক। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানির
পরিমাণ ছিল ২১২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৬
শতাংশেরও বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউরোপ ও আমেরিকা অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোই মূলত বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার হিসেবে পরিচিত। নতুন বাজারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, ভারত, জাপান, কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্কসহ ২৫টি দেশ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তৈরি পোশাকের প্রচলিত বাজারের ওপর নির্ভরতা কমাতে অনেক উদ্যোগ চলমান।
অপ্রচলিত বা নতুন শ্রেণির রপ্তানি উৎসাহিত করতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। নতুন এই দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে প্রায় প্রতি মাসেই যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি মিশন। এর সুফল হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানিতে ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন বাজারের দেশগুলোতে গত ছয় মাসে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২৮৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের গার্মেন্টস পণ্য। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২১২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা ছিল মোট রপ্তানিকৃত গার্মেন্টসের ১৪.৩৯ শতাংশ।
বিজিএমইএর তথ্যমতে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গেল ছয় মাসে নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৬.২১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল মাত্র ২.১৫ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের (২০১৬-১৭) একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৪৮ শতাংশ।
নতুন বাজারের মধ্যে গত ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে জাপানে। দেশটিতে আলোচ্য সময়ে ৫৪ কোটি ৭২ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। রপ্তানিকারকরা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশটিতে চলতি বছর নাগাদ গার্মেন্টস রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি ৩৬ কোটি ডলার এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। আগের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে ১৮ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোটি ডলারের আয় এসেছে প্রতিবেশী ভারত থেকে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতিবেশী দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে রেকর্ড ১৪৩ শতাংশ। নতুন বাজার শ্রেণির আলোচিত বাজার চীনে রপ্তানি হয়েছে ২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বৃদ্ধি প্রায় ৬১ শতাংশ।
অন্যদিকে এ সময়ে নতুন বাজারের মধ্যে রপ্তানি কমে যাওয়া একমাত্র দেশ হলো তুরস্ক। দেশটিতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ডলারে।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ছয় মাসে অস্ট্রেলিয়ায় গার্মেন্টস রপ্তানি বেড়েছে ১৮.৪৬ শতাংশ, ব্রাজিলে ১৫ শতাংশ, চিলিতে ৫৬ শতাংশ, চীনে ৬১ শতাংশ, কোরিয়ায় ৫৬ শতাংশ, মেক্সিকো ৩৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ২১, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৬ ও অন্যান্য দেশ মিলিয়ে ১৯ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। উদ্যোক্তারা বলেছেন, বড় বিনিয়োগে কারখানার অবকাঠামো ও নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্কারের সুফল এখন সব বাজার থেকেই আসতে শুরু করেছে। জাপানের মতো বাজার থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নতুন বাজারের মধ্যে ব্রাজিল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক বাদে অন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা গেছে। এ ছাড়া চীনের উৎপাদন মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তারা ক্রেতাদের সঙ্গে দরে মেলাতে পারছে না। ফলে তাদের ছেড়ে দেয়া ক্রেতাদের (নতুন বাজারের) কিছু অংশ বাংলাদেশে আসছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে ২৮ জাতির জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ১৯ শতাংশ। কানাডায় বেড়েছে ২০ শতাংশ। এই তিন বাজারকে প্রচলিত বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রচলিত-অপ্রচলিত সব বাজারে তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির পরিমাণ এক হাজার ৭০৮ কোটি ডলার।
ইউরোপ ও আমেরিকা অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোই মূলত বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার হিসেবে পরিচিত। নতুন বাজারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, ভারত, জাপান, কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্কসহ ২৫টি দেশ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তৈরি পোশাকের প্রচলিত বাজারের ওপর নির্ভরতা কমাতে অনেক উদ্যোগ চলমান।
অপ্রচলিত বা নতুন শ্রেণির রপ্তানি উৎসাহিত করতে ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। নতুন এই দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে প্রায় প্রতি মাসেই যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি মিশন। এর সুফল হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানিতে ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ইপিবি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন বাজারের দেশগুলোতে গত ছয় মাসে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২৮৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের গার্মেন্টস পণ্য। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২১২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা ছিল মোট রপ্তানিকৃত গার্মেন্টসের ১৪.৩৯ শতাংশ।
বিজিএমইএর তথ্যমতে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গেল ছয় মাসে নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৬.২১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল মাত্র ২.১৫ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের (২০১৬-১৭) একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৪৮ শতাংশ।
নতুন বাজারের মধ্যে গত ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে জাপানে। দেশটিতে আলোচ্য সময়ে ৫৪ কোটি ৭২ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। রপ্তানিকারকরা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশটিতে চলতি বছর নাগাদ গার্মেন্টস রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি ৩৬ কোটি ডলার এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। আগের একই সময়ের তুলনায় বেশি হয়েছে ১৮ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোটি ডলারের আয় এসেছে প্রতিবেশী ভারত থেকে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতিবেশী দেশটিতে রপ্তানি বেড়েছে রেকর্ড ১৪৩ শতাংশ। নতুন বাজার শ্রেণির আলোচিত বাজার চীনে রপ্তানি হয়েছে ২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বৃদ্ধি প্রায় ৬১ শতাংশ।
অন্যদিকে এ সময়ে নতুন বাজারের মধ্যে রপ্তানি কমে যাওয়া একমাত্র দেশ হলো তুরস্ক। দেশটিতে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ডলারে।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ছয় মাসে অস্ট্রেলিয়ায় গার্মেন্টস রপ্তানি বেড়েছে ১৮.৪৬ শতাংশ, ব্রাজিলে ১৫ শতাংশ, চিলিতে ৫৬ শতাংশ, চীনে ৬১ শতাংশ, কোরিয়ায় ৫৬ শতাংশ, মেক্সিকো ৩৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ২১, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৬ ও অন্যান্য দেশ মিলিয়ে ১৯ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। উদ্যোক্তারা বলেছেন, বড় বিনিয়োগে কারখানার অবকাঠামো ও নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্কারের সুফল এখন সব বাজার থেকেই আসতে শুরু করেছে। জাপানের মতো বাজার থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নতুন বাজারের মধ্যে ব্রাজিল, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক বাদে অন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
বিজিএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পোশাক খাতের সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা গেছে। এ ছাড়া চীনের উৎপাদন মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তারা ক্রেতাদের সঙ্গে দরে মেলাতে পারছে না। ফলে তাদের ছেড়ে দেয়া ক্রেতাদের (নতুন বাজারের) কিছু অংশ বাংলাদেশে আসছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে ২৮ জাতির জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ১৯ শতাংশ। কানাডায় বেড়েছে ২০ শতাংশ। এই তিন বাজারকে প্রচলিত বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রচলিত-অপ্রচলিত সব বাজারে তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির পরিমাণ এক হাজার ৭০৮ কোটি ডলার।
No comments