বিদেশি মিডিয়ায় চকবাজারের আগুন: আগেই সতর্কতা দেয়া হয়েছিল
উচ্চমাত্রায়
প্রাণহানীকর এমন সতর্কতা দেয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ ভবন ব্যবহার করা হয় একই
সঙ্গে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। ২০১০ সালে এক অগ্নিকান্ডে কমপক্ষে ১২৩
জন নিহত হওয়ার পর এমন সতর্কতা দেয়া হয়েছিল। এসব ভবনকে বিধিবিধানের আওতায়
আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আবাসিক ভবন
থেকে রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে ফেলার। চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর বার্তা
সংস্থা এপি একথা লিখেছে। বিদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে
প্রচার করছে এ খবর। এর মধ্যে এপির রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের
বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন। এতে বলা হয়েছে, ভয়াবহ ওই আগুন মুুহুর্তের মধ্যে
ছড়িয়ে পড়ে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৯ জন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
অগ্নিনির্বাপকরা ৯ ঘন্টারও বেশি সময় কঠোর চেষ্টা চালিয়ে বেশিরভাগ আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেছেন, বুধবার রাতে একটি ভবনে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। দ্রুত তা অন্য ভবনগুলোতে চড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কন্ট্রোল রুমের একজন কর্মকর্তা মাহফুজ রিবেন বলেছেন, ঘটনার সময় বহু মানুষ ভবনগুলোতে আটকে পড়েছিলেন। নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯। তিনি বলেছেন, আমাদের টিম সেখানে কাজ করছে। কিন্তু উদ্ধার করা মৃতদেহগুলো চেনার কোনো উপায় নেই। আমাদের সদস্যরা লাশ বহনের ব্যাগে করে সেগুলো হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাচ্ছেন। অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি।
ওদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ড. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ, আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেছেন, এমন আহত ৯ জনকে তার ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোর বেশ কিছু ফ্লোরে রাখা ছিল রাসায়নিক পদার্থ ও প্লাস্টিকের গুদাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বলেছেন, ওই ভবনগুলোতে বহু গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম ছিল। এগুলো একটির পর একটি বিস্ফোরিত হতে থাকে। এ ছাড়া ট্রাফিক জ্যামে আটকে যাওয়া অনেক গাড়ির জ্বালানির ট্যাংকেও আগুন ধরে বিস্ফোরিত হতে থাকে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া। এর শিরোনাম ‘ফায়ার কিলস ৬৯ ইন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল: অফিসিয়াল’। এতেও প্রায় একই রকম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান আলী আহমেদ বলেছেন, পুরনো ঢাকার চকবাজারে এতটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেইে এই অগ্নিকান্ডের সূচনা হয়ে থাকতে পারে। পরে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। কারণ ভবনগুলোতে উচ্চ মাত্রায় দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ মজুদ করা ছিল। আগুন দ্রুত চারটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভবনে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ছিল। এ সময় ওই এলাকায় ছিল মারাত্মক ট্র্যাফিক জ্যাম। ফলে মানুষজন সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। ওই এলাকার রাস্তাগুলোও খুব সরু। পাশেই একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল একটি বিয়ের অনুষ্ঠান।
এতে ওই অনুষ্ঠানের অনেকেই আহত হয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার ইব্রাহিম খান বলেছেন, আগুনে কমপক্ষে দুটি গাড়ি ও ১০টি রিকশা পুড়ে গেছে। ভিকটিমদের মধ্যে রয়েছেন পথচারীও। কেউ কেউ তখন রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন।
অনলাইন বিবিসি বলেছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন মুহুর্তের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক এলাকাকে গ্রাস করেছে। বুধবারের ওই আগুনে কমপক্ষে ৬৯ জন নিহত হয়েছেন। একই রকম কথা লিখেছে বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজ।
অগ্নিনির্বাপকরা ৯ ঘন্টারও বেশি সময় কঠোর চেষ্টা চালিয়ে বেশিরভাগ আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ বলেছেন, বুধবার রাতে একটি ভবনে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। দ্রুত তা অন্য ভবনগুলোতে চড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কন্ট্রোল রুমের একজন কর্মকর্তা মাহফুজ রিবেন বলেছেন, ঘটনার সময় বহু মানুষ ভবনগুলোতে আটকে পড়েছিলেন। নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯। তিনি বলেছেন, আমাদের টিম সেখানে কাজ করছে। কিন্তু উদ্ধার করা মৃতদেহগুলো চেনার কোনো উপায় নেই। আমাদের সদস্যরা লাশ বহনের ব্যাগে করে সেগুলো হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাচ্ছেন। অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি।
ওদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ড. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ, আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেছেন, এমন আহত ৯ জনকে তার ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোর বেশ কিছু ফ্লোরে রাখা ছিল রাসায়নিক পদার্থ ও প্লাস্টিকের গুদাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বলেছেন, ওই ভবনগুলোতে বহু গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম ছিল। এগুলো একটির পর একটি বিস্ফোরিত হতে থাকে। এ ছাড়া ট্রাফিক জ্যামে আটকে যাওয়া অনেক গাড়ির জ্বালানির ট্যাংকেও আগুন ধরে বিস্ফোরিত হতে থাকে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া। এর শিরোনাম ‘ফায়ার কিলস ৬৯ ইন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল: অফিসিয়াল’। এতেও প্রায় একই রকম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান আলী আহমেদ বলেছেন, পুরনো ঢাকার চকবাজারে এতটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেইে এই অগ্নিকান্ডের সূচনা হয়ে থাকতে পারে। পরে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। কারণ ভবনগুলোতে উচ্চ মাত্রায় দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ মজুদ করা ছিল। আগুন দ্রুত চারটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভবনে রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ছিল। এ সময় ওই এলাকায় ছিল মারাত্মক ট্র্যাফিক জ্যাম। ফলে মানুষজন সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। ওই এলাকার রাস্তাগুলোও খুব সরু। পাশেই একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল একটি বিয়ের অনুষ্ঠান।
এতে ওই অনুষ্ঠানের অনেকেই আহত হয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার ইব্রাহিম খান বলেছেন, আগুনে কমপক্ষে দুটি গাড়ি ও ১০টি রিকশা পুড়ে গেছে। ভিকটিমদের মধ্যে রয়েছেন পথচারীও। কেউ কেউ তখন রেস্তোরাঁয় খাবার খাচ্ছিলেন।
অনলাইন বিবিসি বলেছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন মুহুর্তের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক এলাকাকে গ্রাস করেছে। বুধবারের ওই আগুনে কমপক্ষে ৬৯ জন নিহত হয়েছেন। একই রকম কথা লিখেছে বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজ।
No comments