সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে তিন মন্ত্রীর বৈঠক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ফের মন্ত্রিসভায় পর্যালোচনা হবে
সংসদে
পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ফের মন্ত্রিসভায় পর্যালোচনা হবে। আইনটির
যেসব ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ ও অংশীজনের পক্ষ থেকে আপত্তি এসেছে আলোচনার
মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল
হক। গতকাল তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সম্পাদক
পরিষদের সঙ্গে সরকারের তিন মন্ত্রী ও এক উপদেষ্টার তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনের নয়টি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদের আপত্তির বিষয়টি
মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য তোলা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর আবারো
সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বসবো আমরা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হওয়ার
পর এর প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছিল
সম্পাদক পরিষদ। গত শনিবার ওই মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। তথ্যমন্ত্রীর
আলোচনার আহ্বানের প্রেক্ষিতে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
গতকালের বৈঠকে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এ রকম একটা আইন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে, আমরা সেই ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিন্তু এ রকম একটা আইন যেন সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না করে সে ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। যেহেতু আইনটি সংসদে পাস হয়ে গেছে, তাই এখন সম্পাদক পরিষদের আপত্তি ও বক্তব্যগুলোকে মন্ত্রিসভায় তুলে ধরা হবে। আগামী ৩রা অক্টোবরের মন্ত্রিসভার বৈঠকে হয়তো তুলে ধরা হবে না। কারণ অনেকগুলো এজেন্ডা আছে। পরের সভায় তুলে ধরা হবে। তারপর মন্ত্রিসভা যে কার্যপরিধি ঠিক করে দেবে, সেই অনুযায়ী আলোচনায় বসার জন্য তারা সম্মত হয়েছেন। আনিসুল হক বলেন, খবরের কাগজে সম্পাদক পরিষদের আপত্তিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী এবং আইসিটি মন্ত্রীসহ আমরা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবো। ২১ ধারাটা মোটামুটি আমরা এগ্রি করেছি, যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।
কিছু যদি আরো ভালো করা যায় চিন্তা করা হবে। বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থায় অনেক অপরাধ হচ্ছে। এগুলো দমনের জন্য এ আইন করা হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এতে বাধাগ্রস্ত হবে না। তবু সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতারা যেসব আপত্তি সামনে নিয়ে এসেছেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আরো আলোচনার দরকার আছে। অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের দরকার আছে- এ ব্যাপারে বৈঠকে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এ বৈঠকে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম, যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফিসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য সচিব আবুয়াল হোসেনও সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, আমরা আলোচনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরা মনে করি, যে আইনটি সংসদে পাস হয়েছে সেটা সংবিধানে বাক ও গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রেরও পরিপন্থি। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হওয়ার আগে আলোচনা চলছিল। তৃতীয় একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। তা কেন আর হলো না, আমরা জানি না।
হঠাৎ পেপারে দেখলাম সংসদে উঠেছে আইনটি। ওনারা (মন্ত্রীরা) আশ্বাস দিয়েছেন, আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে পারবেন। এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আপত্তির সুরাহা না করেই গত ১৯শে সেপ্টেম্বর সংসদে ওই আইন পাস করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ‘বাকস্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থি’ আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে ২৯শে সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের কর্মসূচি দেয় সম্পাদক পরিষদ। পরে রাজপথের কর্মসূচিতে না নামার অনুরোধ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদকে চিঠি দেন তথ্যমন্ত্রী। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় সম্পাদক পরিষদ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একই দিনে বিএফইউজে ও ডিইউজে এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতাদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী মন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকালের বৈঠকে আইনমন্ত্রী ছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে এ রকম একটা আইন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে, আমরা সেই ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিন্তু এ রকম একটা আইন যেন সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বা বাকস্বাধীনতা ক্ষুণ্ন না করে সে ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন আছে। তিনি বলেন, সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। যেহেতু আইনটি সংসদে পাস হয়ে গেছে, তাই এখন সম্পাদক পরিষদের আপত্তি ও বক্তব্যগুলোকে মন্ত্রিসভায় তুলে ধরা হবে। আগামী ৩রা অক্টোবরের মন্ত্রিসভার বৈঠকে হয়তো তুলে ধরা হবে না। কারণ অনেকগুলো এজেন্ডা আছে। পরের সভায় তুলে ধরা হবে। তারপর মন্ত্রিসভা যে কার্যপরিধি ঠিক করে দেবে, সেই অনুযায়ী আলোচনায় বসার জন্য তারা সম্মত হয়েছেন। আনিসুল হক বলেন, খবরের কাগজে সম্পাদক পরিষদের আপত্তিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী এবং আইসিটি মন্ত্রীসহ আমরা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবো। ২১ ধারাটা মোটামুটি আমরা এগ্রি করেছি, যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।
কিছু যদি আরো ভালো করা যায় চিন্তা করা হবে। বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থায় অনেক অপরাধ হচ্ছে। এগুলো দমনের জন্য এ আইন করা হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এতে বাধাগ্রস্ত হবে না। তবু সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতারা যেসব আপত্তি সামনে নিয়ে এসেছেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আরো আলোচনার দরকার আছে। অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের দরকার আছে- এ ব্যাপারে বৈঠকে সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এ বৈঠকে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম, যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, সমকাল-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফিসহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য সচিব আবুয়াল হোসেনও সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, আমরা আলোচনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমরা মনে করি, যে আইনটি সংসদে পাস হয়েছে সেটা সংবিধানে বাক ও গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রেরও পরিপন্থি। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হওয়ার আগে আলোচনা চলছিল। তৃতীয় একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। তা কেন আর হলো না, আমরা জানি না।
হঠাৎ পেপারে দেখলাম সংসদে উঠেছে আইনটি। ওনারা (মন্ত্রীরা) আশ্বাস দিয়েছেন, আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে পারবেন। এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে এর বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আপত্তির সুরাহা না করেই গত ১৯শে সেপ্টেম্বর সংসদে ওই আইন পাস করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ‘বাকস্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পরিপন্থি’ আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে ২৯শে সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের কর্মসূচি দেয় সম্পাদক পরিষদ। পরে রাজপথের কর্মসূচিতে না নামার অনুরোধ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদকে চিঠি দেন তথ্যমন্ত্রী। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় সম্পাদক পরিষদ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একই দিনে বিএফইউজে ও ডিইউজে এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতাদের সঙ্গে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী মন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
No comments