সমালোচকরা বৃটেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতি করছে: তেরেসা মে’
চেকার্সের
ব্রেক্সিট প্ল্যানের সমালোচকরা যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতি করছে
বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’। তিনি বলেছেন, ‘চেকার্সের
ব্রেক্সিট প্ল্যানই একমাত্র কার্যকর প্ল্যান। তাই আমার ব্রেক্সিট প্ল্যান
নিয়ে রাজনীতি করবেন না।’ শনিবার বৃটিশ দৈনিক সানডে টাইমসকে দেয়া
সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বৃটেনের বাণিজ্য নীতি কেমন হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর চেকার্স থেকে বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পার্লামেন্টারিয়ান চেকার্সের ওই ব্রেক্সিট প্ল্যানের সমালোচনা করে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের অনেকেই পার্লামেন্ট ভোটে ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার কথা বলেছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টিতেও সমালোচিত হয়েছেন তেরেসা মে’।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বার্মিংহামে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ সেখানে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়বেন সে সম্ভাবনা প্রবল। সম্মেলনের আগের দিন শনিবার বৃটিশ দৈনিক সানডে টাইমসের মুখোমুখি হন তেরেসা মে’। সেখানে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ইইউ’র আপত্তি সত্ত্বেও তেরেসা মে’ বলেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এটাই একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি। সানডে টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্রেক্সিট ছাড়াও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন মে’। বিদেশে যেসব বৃটিশ নাগরিকের বাড়িঘর রয়েছে তাদের ওপর আরো কর আরোপ করার ঘোষণা দেন তিনি। তেরেসা মে’ বলেন, ‘এখন শুধুমাত্র একটি প্রস্তাবই আলোচনার টেবিলে রয়েছে, তা হলো চেকার্সের প্ল্যান।’
আর প্রস্তাবিত ‘ব্রেক্সিট প্ল্যান’ গ্রহণযোগ্য না হলে বিপরীতে আরেকটি প্ল্যান উপস্থাপন করার জন্য তিনি ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানান। সমালোচকরা যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতি করছে উল্লেখ করে মে’ বলেন, সব সময় দেশ ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দ্রুতই ইইউ’র সঙ্গে একটি গ্রহণযোগ্য ব্রেক্সিট চুক্তিকে পৌঁছতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তেরেসা মে’। চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার অন্যতম বিরোধিকাকারী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও সানডে টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ আসলে ব্রেক্সিটেই বিশ্বাস করেন না। চেকার্সের ব্রেক্সিট প্ল্যান ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটের চেতনার পরিপন্থি বলেও মন্তব্য করেন বরিস জনসন। তিনি বৃটেনের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতির একটি রূপরেখা উপস্থাপন করেন। যাতে বৃটেন ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ বিবিসি’র রাজনীতি বিষয়ক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘অ্যান্ড্রু মারে শো’তে উপস্থিত হন। এতে তিনি বরিস জনসনের সমালোচনার জবাব দেন। তেরেসা মে’ জনসনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি অবশ্যই ব্রেক্সিটে বিশ্বাস করেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত যাই আসুক না কেন, চূড়ান্তভাবে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তি করতে সফল হবেন বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বার্ষিক সম্মেলনে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করার জন্য টরি পার্টির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। মে’ বলেন, ঐক্যবদ্ধ হোন ও চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে সমর্থন করুন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘লেবার পার্টির প্রতি আমার বার্তা হলো, ব্রেক্সিট নিয়ে তাদের রাজনীতি বন্ধ করে জাতীয় স্বার্থে কাজ করা উচিত। আর আমার দলের প্রতি আহ্বান হলো, আসুন একমত হই এবং বৃটেনের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি চুক্তি করি।’
টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে দেশটির অর্থনীতি ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারকে অব্যাহতভাবে সতর্ক করে চলেছেন বৃটিশ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় গতকাল বার্মিংহামে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগামী ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলন চলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সম্মেলনেই চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বৃটেনের বাণিজ্য নীতি কেমন হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর চেকার্স থেকে বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পার্লামেন্টারিয়ান চেকার্সের ওই ব্রেক্সিট প্ল্যানের সমালোচনা করে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের অনেকেই পার্লামেন্ট ভোটে ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার কথা বলেছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টিতেও সমালোচিত হয়েছেন তেরেসা মে’।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বার্মিংহামে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ সেখানে তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়বেন সে সম্ভাবনা প্রবল। সম্মেলনের আগের দিন শনিবার বৃটিশ দৈনিক সানডে টাইমসের মুখোমুখি হন তেরেসা মে’। সেখানে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ইইউ’র আপত্তি সত্ত্বেও তেরেসা মে’ বলেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এটাই একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি। সানডে টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় ব্রেক্সিট ছাড়াও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন মে’। বিদেশে যেসব বৃটিশ নাগরিকের বাড়িঘর রয়েছে তাদের ওপর আরো কর আরোপ করার ঘোষণা দেন তিনি। তেরেসা মে’ বলেন, ‘এখন শুধুমাত্র একটি প্রস্তাবই আলোচনার টেবিলে রয়েছে, তা হলো চেকার্সের প্ল্যান।’
আর প্রস্তাবিত ‘ব্রেক্সিট প্ল্যান’ গ্রহণযোগ্য না হলে বিপরীতে আরেকটি প্ল্যান উপস্থাপন করার জন্য তিনি ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানান। সমালোচকরা যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনীতি করছে উল্লেখ করে মে’ বলেন, সব সময় দেশ ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দ্রুতই ইইউ’র সঙ্গে একটি গ্রহণযোগ্য ব্রেক্সিট চুক্তিকে পৌঁছতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তেরেসা মে’। চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার অন্যতম বিরোধিকাকারী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও সানডে টাইমসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ আসলে ব্রেক্সিটেই বিশ্বাস করেন না। চেকার্সের ব্রেক্সিট প্ল্যান ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটের চেতনার পরিপন্থি বলেও মন্তব্য করেন বরিস জনসন। তিনি বৃটেনের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রনীতির একটি রূপরেখা উপস্থাপন করেন। যাতে বৃটেন ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ বিবিসি’র রাজনীতি বিষয়ক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘অ্যান্ড্রু মারে শো’তে উপস্থিত হন। এতে তিনি বরিস জনসনের সমালোচনার জবাব দেন। তেরেসা মে’ জনসনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি অবশ্যই ব্রেক্সিটে বিশ্বাস করেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত যাই আসুক না কেন, চূড়ান্তভাবে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তি করতে সফল হবেন বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বার্ষিক সম্মেলনে চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করার জন্য টরি পার্টির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। মে’ বলেন, ঐক্যবদ্ধ হোন ও চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে সমর্থন করুন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘লেবার পার্টির প্রতি আমার বার্তা হলো, ব্রেক্সিট নিয়ে তাদের রাজনীতি বন্ধ করে জাতীয় স্বার্থে কাজ করা উচিত। আর আমার দলের প্রতি আহ্বান হলো, আসুন একমত হই এবং বৃটেনের জন্য সবচেয়ে ভালো একটি চুক্তি করি।’
টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে দেশটির অর্থনীতি ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারকে অব্যাহতভাবে সতর্ক করে চলেছেন বৃটিশ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় গতকাল বার্মিংহামে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগামী ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলন চলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সম্মেলনেই চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
No comments