‘মাতাল অবস্থায় কাভানা আমার পোশাক কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন’
যুক্তরাষ্ট্র
সিনেট প্যানেলের সামনে হাজির হয়ে নিজের ওপর চালানো যৌন নির্যাতনের বর্ণনা
দিলেন প্রফেসর ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ড। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে নমিনি
বিচারপতি ব্রেত কাভানা তার জীবনের গতি পাল্টে দিয়েছেন। যখন তার বয়স মাত্র
১৫ বছর তখন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন কাভানা। এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা
দিয়ে লিখিত বক্তব্য প্রস্তাত করেন ব্লাসে ফোর্ড। তিনি লিখেছেন, ব্রেত
কাভানা সুপ্রিম কোর্টে বসবেন কি বসবেন না তা নির্ধারণ করায় তার কোনো দায়
দায়িত্ব নেই। তার দায় দায়িত্ব হলো সত্য প্রকাশ করা।
ব্লাসে ফোর্ড বলেছেন, যখন আমার বয়স ১৫ বছর। তখন কাভানার বয়স ১৭ বছর।
১৯৮২ সালের গ্রীষ্মে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বাড়িতে ঘটে ঘটনাটি। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় কাভানা আমার পোশাক কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। আমাকে বিছানায় চেপে ধরেন এবং আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে থাকেন। একটি পার্টিতে তার এ আচরণ আমার জীবনকে একেবারে নাটকীয়তার সঙ্গে পাল্টে দিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে এত বছর আমি খুব ভীত ছিলাম এবং লজ্জিত ছিলাম। আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কারণ, ব্রেত কাভানা তো আমাকে ধর্ষণ করেন নি। তাই আমার উচিত আমাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। শুধু ধরে নিলাম, এটা আর কখনো ঘটবে না।
ড. ফোর্ড আরো লিখেছেন, বর্তমানের বিচারক ব্রেত কাভানা ও তার বন্ধু মার্ক জাজ আমাকে একটি বাড়ির ছোট্ট একটি রুমে আটকে ফেললো। তালা দিয়ে রাখলো তারা। ঘটনার সময় তারা দু’জনেই ছিল মধ্যপ বা মাতাল। আমার মনে হচ্ছিল ব্রেত কাভানা আমাকে ধর্ষণ করতে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে তিনি হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরেন। এতে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যাই। এটাই আমার মনের ভিতর সবচেয়ে বেশি দাগ কেটে গেছে। তিনি আমার মুখ এমনভাবে চেপে ধরেছিলেন যে, দম ছাড়তে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, ব্রেত কাভানা আমাকে হত্যা করবে। যখন মার্ক জাজ লাফিয়ে উঠলো বিছানায় তখন আমরা পড়ে গেলাম। আমার ওপর তখন আর ব্রেত কাভানা নেই। এরপরই আমি দৌড়ে পালাই ওই রুম থেকে।
ওদিকে ব্রেত কাভানার বিরুদ্ধে আরো একজন নারী একই রকম অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি হলেন ডেবোরাহ রমিরেজ। তিনি কাভানার সঙ্গে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে পড়তেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮০র দশকে ডরমেটরির এক পার্টিতে তার ওপর নিজেকে আপত্তিজনকভাবে প্রকাশ করেন। একটি পানীয়ের খেলার সময় এ ঘটনা ঘটে। ওয়াশিংটন ডিসির অধিবাসী জুলি স্বয়েতনিক এফিডেভিটে বলেছেন, ১৯৮০র দশকে এক ঘরোয়া পার্টিতে যুবতীদের টানাহেঁচড়া এবং তাদের যৌন হয়রান করেছেন কাভানা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রেত কাভানা।
ব্লাসে ফোর্ড বলেছেন, যখন আমার বয়স ১৫ বছর। তখন কাভানার বয়স ১৭ বছর।
১৯৮২ সালের গ্রীষ্মে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বাড়িতে ঘটে ঘটনাটি। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় কাভানা আমার পোশাক কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। আমাকে বিছানায় চেপে ধরেন এবং আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে থাকেন। একটি পার্টিতে তার এ আচরণ আমার জীবনকে একেবারে নাটকীয়তার সঙ্গে পাল্টে দিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে এত বছর আমি খুব ভীত ছিলাম এবং লজ্জিত ছিলাম। আমি নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কারণ, ব্রেত কাভানা তো আমাকে ধর্ষণ করেন নি। তাই আমার উচিত আমাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। শুধু ধরে নিলাম, এটা আর কখনো ঘটবে না।
ড. ফোর্ড আরো লিখেছেন, বর্তমানের বিচারক ব্রেত কাভানা ও তার বন্ধু মার্ক জাজ আমাকে একটি বাড়ির ছোট্ট একটি রুমে আটকে ফেললো। তালা দিয়ে রাখলো তারা। ঘটনার সময় তারা দু’জনেই ছিল মধ্যপ বা মাতাল। আমার মনে হচ্ছিল ব্রেত কাভানা আমাকে ধর্ষণ করতে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে তিনি হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরেন। এতে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যাই। এটাই আমার মনের ভিতর সবচেয়ে বেশি দাগ কেটে গেছে। তিনি আমার মুখ এমনভাবে চেপে ধরেছিলেন যে, দম ছাড়তে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, ব্রেত কাভানা আমাকে হত্যা করবে। যখন মার্ক জাজ লাফিয়ে উঠলো বিছানায় তখন আমরা পড়ে গেলাম। আমার ওপর তখন আর ব্রেত কাভানা নেই। এরপরই আমি দৌড়ে পালাই ওই রুম থেকে।
ওদিকে ব্রেত কাভানার বিরুদ্ধে আরো একজন নারী একই রকম অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি হলেন ডেবোরাহ রমিরেজ। তিনি কাভানার সঙ্গে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে পড়তেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮০র দশকে ডরমেটরির এক পার্টিতে তার ওপর নিজেকে আপত্তিজনকভাবে প্রকাশ করেন। একটি পানীয়ের খেলার সময় এ ঘটনা ঘটে। ওয়াশিংটন ডিসির অধিবাসী জুলি স্বয়েতনিক এফিডেভিটে বলেছেন, ১৯৮০র দশকে এক ঘরোয়া পার্টিতে যুবতীদের টানাহেঁচড়া এবং তাদের যৌন হয়রান করেছেন কাভানা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রেত কাভানা।
No comments