আত্মতুষ্টিতে থাকা যাবে না আত্মতুষ্টি মানেই পতন
আত্মতুষ্টিতে
না ভুগে আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকটি আসনে বিজয় নিশ্চিতে একযোগে কাজ করতে
দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, আত্মতুষ্টিতে
থাকা যাবে না, আত্মতুষ্টিতে থাকা মানেই পতন। গতকাল গণভবনে আয়োজিত এক
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে দেশে
ফেরায় সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ
সরকার এবং দলের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত আগেও ছিল এবং এখনও এ
চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর পর
থেকেই একটা বৈরী পরিবেশে আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করে করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে
যাচ্ছে। শেখ হাসিনা ১৯৯১ সালে দলের ভেতরে ও বাইরে থাকা ষড়যন্ত্রের কথা
স্মরণ করে বলেন, একটি অংশ তাকে বাদ দিয়েই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে
চেয়েছিল। আর এটা করতে গিয়ে অনেক যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে ভুল প্রার্থীকে
মনোনয়ন দেয়া হয়। তিনি বলেন, এদেশে একটা ষড়যন্ত্র সবসময়ই চলে আসছে যাতে
আওয়ামী লীগ অথবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে
পারে।
তাদের একটাই ভয়- তাহলো জনগণ সেই নেতৃত্বের ওপর ভর দিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন একটা সময়ে আমি দেশে ফিরেছিলাম যখন দেশে খুনিদের রাজত্ব চলছিল, যুদ্ধাপরাধীরাই দেশ চালাচ্ছিল। তারা আমার উপর হামলা চালিয়েও বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আমাকে বাঁচিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই আমরা তিন তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছি এবং সুশাসনের মাধ্যমে দেশকে পরিচালনা করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দেশের বর্তমান উন্নয়নের পেছনে দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে তাঁর সরকারের সুচিন্তিত এবং সময়োপযোগী পরিকল্পনা। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীরা এখনও ভীষণভাবে সক্রিয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসক শ্রেণির উচ্ছিষ্টভোগী ও সুবিধাভোগীরা এখনও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। যদিও জনগণের মধ্যে তাদের কোন ভিত্তি নেই, কিন্তু তারা ক্ষমতা লিপ্সু। ক্ষমতার লোভে তারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং খুনি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা এক শ্রেণির সংবাদপত্রের সমালোচনা করে বলেন, তার দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য নিয়ে কয়েকটি পত্রিকা বসেই আছে, জনগণকে তার সরকার সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার জন্য নির্বাচনের সময় তারা একটার পর একটা ছেড়ে দেবে।
দলের সফল নেতা ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেগেই থাকে অভিযোগ করে তিনি এদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তারা শেখ হাসিনাকে তার ৭২তম জন্মদিনেরও শুভেচ্ছা জানান। ২৮শে সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। সেদিন তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান, বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং এ সময়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্্ব নেতৃবৃন্দ এখন বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখছে। জাতির পিতা নিজেকে বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, বাংলাদেশকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্বে মর্যাদার আসনে। যে কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে তিনি যেতেন সেখানেই তিনি থাকতেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাঙালি জাতি বিশ্বে সেই মর্যাদার আসনটি হারিয়ে ফেলে। আমরা সেই হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সবসময়ই সচেষ্ট ছিলাম তাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি এবং দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছি। আজ আমরা দাবি করতেই পারি যার অনেকটাতেই আমরা সফল হয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতির পিতার খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করে জাতির ললাটে লেপ্টে থাকা কালিমা দূর করেছি।
জাতির পিতা যেমনটি বলেছিলেন, ‘বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না, সেটা আজ বিশ্বে প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে পুনরায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে অনেক খুনি এবং বিশ্বসঘাতকের জন্মও এদেশে হয়েছে যারা এ মাটির সন্তান হয়েও বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে কখনও মেনে নিতে পারেনি। তারা একসময় পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিল এবং পাকিস্তানি প্রভুদেরই তারা দাসত্ব করতে চায়, তাদের বংশধররাও রয়ে গেছে, যারা এই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ভোটের রাজনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের কথা বলেন, কিন্তু তারা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোটের কথা ভুলে গেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। গত সাড়ে নয় বছরে উপ-নির্বাচন, পৌরসভা, মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ দেশে ছয় হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেউ এসব নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, নিউ ইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া জাতির পিতার খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষে শান্তিপূর্ণ কূটনীতি পরিচালনায় অবদানের জন্য ইন্টারপ্রেস সার্ভিসেস নিউজ এজেন্সি এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন-এর কাছ থেকে পাওয়া দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও এ সময় দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন।
তাদের একটাই ভয়- তাহলো জনগণ সেই নেতৃত্বের ওপর ভর দিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন একটা সময়ে আমি দেশে ফিরেছিলাম যখন দেশে খুনিদের রাজত্ব চলছিল, যুদ্ধাপরাধীরাই দেশ চালাচ্ছিল। তারা আমার উপর হামলা চালিয়েও বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই আমাকে বাঁচিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করেই আমরা তিন তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছি এবং সুশাসনের মাধ্যমে দেশকে পরিচালনা করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দেশের বর্তমান উন্নয়নের পেছনে দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে তাঁর সরকারের সুচিন্তিত এবং সময়োপযোগী পরিকল্পনা। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীরা এখনও ভীষণভাবে সক্রিয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসক শ্রেণির উচ্ছিষ্টভোগী ও সুবিধাভোগীরা এখনও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। যদিও জনগণের মধ্যে তাদের কোন ভিত্তি নেই, কিন্তু তারা ক্ষমতা লিপ্সু। ক্ষমতার লোভে তারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং খুনি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা এক শ্রেণির সংবাদপত্রের সমালোচনা করে বলেন, তার দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য নিয়ে কয়েকটি পত্রিকা বসেই আছে, জনগণকে তার সরকার সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার জন্য নির্বাচনের সময় তারা একটার পর একটা ছেড়ে দেবে।
দলের সফল নেতা ও সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেগেই থাকে অভিযোগ করে তিনি এদের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তারা শেখ হাসিনাকে তার ৭২তম জন্মদিনেরও শুভেচ্ছা জানান। ২৮শে সেপ্টেম্বর ছিল প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। সেদিন তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান, বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং এ সময়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বিশ্্ব নেতৃবৃন্দ এখন বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখছে। জাতির পিতা নিজেকে বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, বাংলাদেশকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্বে মর্যাদার আসনে। যে কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টে তিনি যেতেন সেখানেই তিনি থাকতেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাঙালি জাতি বিশ্বে সেই মর্যাদার আসনটি হারিয়ে ফেলে। আমরা সেই হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সবসময়ই সচেষ্ট ছিলাম তাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি এবং দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে গেছি। আজ আমরা দাবি করতেই পারি যার অনেকটাতেই আমরা সফল হয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতির পিতার খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করে জাতির ললাটে লেপ্টে থাকা কালিমা দূর করেছি।
জাতির পিতা যেমনটি বলেছিলেন, ‘বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না, সেটা আজ বিশ্বে প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে পুনরায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমাদেরকে মনে রাখতে হবে অনেক খুনি এবং বিশ্বসঘাতকের জন্মও এদেশে হয়েছে যারা এ মাটির সন্তান হয়েও বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে কখনও মেনে নিতে পারেনি। তারা একসময় পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিল এবং পাকিস্তানি প্রভুদেরই তারা দাসত্ব করতে চায়, তাদের বংশধররাও রয়ে গেছে, যারা এই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ভোটের রাজনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোটের কথা বলেন, কিন্তু তারা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ-না ভোটের কথা ভুলে গেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। গত সাড়ে নয় বছরে উপ-নির্বাচন, পৌরসভা, মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ দেশে ছয় হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেউ এসব নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, নিউ ইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া জাতির পিতার খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদান এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষে শান্তিপূর্ণ কূটনীতি পরিচালনায় অবদানের জন্য ইন্টারপ্রেস সার্ভিসেস নিউজ এজেন্সি এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন-এর কাছ থেকে পাওয়া দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও এ সময় দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেন।
No comments