কঙ্কাল শারপিন টিলায়, থেমে নেই পাথর লুট, ফের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা
কোম্পানীগঞ্জের
শারপিন টিলা এখন কঙ্কাল। বলতে গেলে শূন্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে কেবল দৃশ্যমান
টিলা। এরপরও পাথরখেকো সিন্ডিকেটের লুটপাট থেমে নেই। এখনো দিন-রাতে চলছে
বোমা মেশিন দিয়ে তাণ্ডব। আর এই তাণ্ডবে ক্রমেই ঝুঁকির মুখে পড়েছে শারপিন
টিলা। শ্রমিক মৃত্যুর মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সবাই। তবে- নীরব
প্রশাসন। অভিযোগ উঠেছে- পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন শারপিন টিলা থেকে
কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হচ্ছে।
বোমা মেশিন ব্যবহার করে অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে বিগত দিনে শাহ আরফিন টিলায় দুই দফা টিলা ধসের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় টিলা ধসের ঘটনায় মারা যান হতদরিদ্র ৬ শ্রমিক। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টির পর ওই টিলায় পাথর উত্তোলন বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে উক্ত থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ বায়েছ আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। এমনকি বদলি করা হয় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহকেও। অকল্পনীয় হলেও সত্য এত কিছুর পরও এখনো শাহ আরফিন টিলায় বোমা মেশিন দিয়ে ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলন চলছে অবাধে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পাথরখেকোরা পাথর উত্তোলনে হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। এ অবস্থায় কিছুদিন পরপর ওই টিলায় টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি বোমা মেশিন আটকের পর ধ্বংসও করা হয়েছে। আবার প্রকৃত আসামিদের আড়ালে রেখে মামলা দেয়া হয়েছে অনেক নিরপরাধী ব্যক্তির নামে।
যা নিয়ে উপজেলায় সংশয় ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা ক্ষোভের সঙ্গে জানান- উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতাকে পুঁজি করে পাথরখেকোরা প্রতিদিন বোমামেশিন নামক দানবযন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকার হারাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব। বিগত কয়েকদিন শাহ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও গত এক সপ্তাহ যাবৎ শাহ আরফিন টিলা ধ্বংসের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়া মূলহোতাদের নেতৃত্বে আবারো লুটপাট করা হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাথর। দীর্ঘদিন যাবৎ অপরিকল্পিতভাবে ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাথরখেকো সিন্ডিকেট প্রধান ও সিন্ডিকেট সর্দারদের নেতৃত্বে চলছে বেপরোয়াভাবে বোমামেশিনে পাথর উত্তোলন। শাহ আরফিন টিলার মাটি মিশ্রিত পানি ও লাল মাটি পাথরখেকোরা যত্রতত্র ফেলার কারণে আশপাশের শতশত একর ফসলি জমি আজ পতিত ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বছরে একবারও সেখানে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না কৃষকদের পক্ষে। যে কারণে সাধারণ কৃষকরা পড়েছেন ব্যাপক বিপাকে।
হাসির বদলে মুখে যেন বিষাদের ছাপ নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছেন কৃষকরা। রীতিমতো অজানা দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে। শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে শাহ আরফিন টিলার কাদামাটির জন্য। হাজার হাজার জনসাধারণ পড়েন ব্যাপক ভোগান্তিতে। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত পাঠদান করতে পারে না। যে কারণে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাদের অভিভাবকরা। সবকিছুর জন্য দায়ী পাথরখেকোদের প্রধান ও সর্দাররা। আর তাদেরকে বর্তমানে আশ্রয় দিচ্ছেন খোদ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোয় সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন আদালত। এ ছাড়া ইতিপূর্বে শাহ আরফিন টিলাসহ তিনটি কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই শাহ আরফিন টিলা কেটে ও বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনে চলছে মহোৎসব।
বোমা মেশিন ব্যবহার করে অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে বিগত দিনে শাহ আরফিন টিলায় দুই দফা টিলা ধসের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় টিলা ধসের ঘটনায় মারা যান হতদরিদ্র ৬ শ্রমিক। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টির পর ওই টিলায় পাথর উত্তোলন বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে উক্ত থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ বায়েছ আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। এমনকি বদলি করা হয় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহকেও। অকল্পনীয় হলেও সত্য এত কিছুর পরও এখনো শাহ আরফিন টিলায় বোমা মেশিন দিয়ে ও টিলা কেটে পাথর উত্তোলন চলছে অবাধে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পাথরখেকোরা পাথর উত্তোলনে হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। এ অবস্থায় কিছুদিন পরপর ওই টিলায় টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি বোমা মেশিন আটকের পর ধ্বংসও করা হয়েছে। আবার প্রকৃত আসামিদের আড়ালে রেখে মামলা দেয়া হয়েছে অনেক নিরপরাধী ব্যক্তির নামে।
যা নিয়ে উপজেলায় সংশয় ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা ক্ষোভের সঙ্গে জানান- উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতাকে পুঁজি করে পাথরখেকোরা প্রতিদিন বোমামেশিন নামক দানবযন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকার হারাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব। বিগত কয়েকদিন শাহ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও গত এক সপ্তাহ যাবৎ শাহ আরফিন টিলা ধ্বংসের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়া মূলহোতাদের নেতৃত্বে আবারো লুটপাট করা হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাথর। দীর্ঘদিন যাবৎ অপরিকল্পিতভাবে ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পাথরখেকো সিন্ডিকেট প্রধান ও সিন্ডিকেট সর্দারদের নেতৃত্বে চলছে বেপরোয়াভাবে বোমামেশিনে পাথর উত্তোলন। শাহ আরফিন টিলার মাটি মিশ্রিত পানি ও লাল মাটি পাথরখেকোরা যত্রতত্র ফেলার কারণে আশপাশের শতশত একর ফসলি জমি আজ পতিত ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বছরে একবারও সেখানে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না কৃষকদের পক্ষে। যে কারণে সাধারণ কৃষকরা পড়েছেন ব্যাপক বিপাকে।
হাসির বদলে মুখে যেন বিষাদের ছাপ নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছেন কৃষকরা। রীতিমতো অজানা দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে। শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে শাহ আরফিন টিলার কাদামাটির জন্য। হাজার হাজার জনসাধারণ পড়েন ব্যাপক ভোগান্তিতে। স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত পাঠদান করতে পারে না। যে কারণে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন তাদের অভিভাবকরা। সবকিছুর জন্য দায়ী পাথরখেকোদের প্রধান ও সর্দাররা। আর তাদেরকে বর্তমানে আশ্রয় দিচ্ছেন খোদ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোয় সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন আদালত। এ ছাড়া ইতিপূর্বে শাহ আরফিন টিলাসহ তিনটি কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই শাহ আরফিন টিলা কেটে ও বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনে চলছে মহোৎসব।
No comments