কোটা বাতিলের রিপোর্টে যা বলা হয়েছে: মন্ত্রিসভায় উঠছে কাল by দীন ইসলাম
সরকারি
চাকরিতে বিদ্যমান কোটা অনুযায়ী পদ পূরণের বিষয়টি জটিল ও সময়সাপেক্ষ
ব্যাপার। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা থাকলে প্রার্থী নির্বাচন ও
ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়। কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে
জটিলতার উদ্ভব হয়ে থাকে। এ জটিলতার সমাধান করতে অপ্রত্যাশিত সময় ব্যয় হয়। এ
কারণে বর্তমানে প্রচলিত কোটা প্রয়োগ পদ্ধতির সহজীকরণ অপরিহার্য। বিদ্যমান
কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার ও বাতিল করার জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের
কমিটির প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে
নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
কাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোটা সংস্কার পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্টটি আলোচনার জন্য উঠবে। এ রিপোর্টের ওপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার ও বাতিলের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদনের একটি কপি মানবজমিনের হাতে এসেছে।
১৫ পৃষ্ঠার এ রিপোর্টটিতে ভূমিকা, বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির পূর্বাপর পর্যালোচনা, কোটা সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিশন বা কমিটির রিপোর্টের পর্যালোচনা, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ ও পর্যালোচনা এবং কোটা সংস্কার বিষয়ে কমিটির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। কোটা সংস্কার নিয়ে পর্যালোচনা কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালের ১৭ই মার্চ সর্বশেষ কোটার হার নির্ধারণ করা হয়। এটা বর্তমানে বহাল রয়েছে।
পরে মুক্তিযোদ্ধার জন্য নির্ধারিত ৩০% কোটায় মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র- কন্যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাগুলোর মধ্যে যেকোনো কোটায় পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই কোটা থেকে ১% যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থী দিয়ে পূরণ করা হবে। কোটা পদ্ধতি সংস্কার রিপোর্টের শুরুতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রে কর্মচারী নিয়োগে সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সংবিধান প্রবর্তনের আগেই ১৯৭২ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর এক অফিস স্মারক জারি করা হয়। ওই স্মারকের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কোটা পদ্ধতির সূচনা করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে কোটার হারের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নতুন কোটার সংযোজন এবং বিদ্যমান কোটার বিয়োজন করা হয়েছে। কোটা সংস্কার কমিটির আলোচনা সম্পর্কে রিপোর্টে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ১ম ও ২য় শ্রেণির এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জন্য প্রযোজ্য কোটার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে এবং কোটার হারও ভিন্ন। কোটা সংস্কার রিপোর্টে বিভিন্ন সময়ে যেভাবে কোটা পদ্ধতি বাড়ানো বা কমানো হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়েছে। কোটা সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে যেসব কমিশন বা কমিটি গঠিত হয়েছে ওই সব কমিশন বা কমিটির রিপোর্ট বা প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা কমিটির সভায় আলোচিত হয়। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, রেগুলেটরি রিফরমস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান এবং সাবেক সচিব কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হয়। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে মেধা কোটা ৪৫% থেকে ৫০% এ উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি প্রতি তিন বছর পর পর কোটা পদ্ধতি রিভিউ করার কথা বলা হয়। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কোটা পদ্ধতি সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং সাবেক সচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের মতামত নেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে কোটা সংস্কার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামতে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা হ্রাস বা বৃদ্ধি করা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ার। তাই লিভ টু আপিলের রায় এ বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। এসব নানা রেফারেন্স উল্লেখের পর সরকারি চাকরিতে প্রবেশ নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোটা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর পর সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদনটিই কাল মন্ত্রিসভায় উঠবে। এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২রা জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ওই দিন বলেন, আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ আগে যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বলা হতো, সেগুলো নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হবে।
কাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোটা সংস্কার পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্টটি আলোচনার জন্য উঠবে। এ রিপোর্টের ওপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার ও বাতিলের জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদনের একটি কপি মানবজমিনের হাতে এসেছে।
১৫ পৃষ্ঠার এ রিপোর্টটিতে ভূমিকা, বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির পূর্বাপর পর্যালোচনা, কোটা সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিশন বা কমিটির রিপোর্টের পর্যালোচনা, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ ও পর্যালোচনা এবং কোটা সংস্কার বিষয়ে কমিটির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে। কোটা সংস্কার নিয়ে পর্যালোচনা কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালের ১৭ই মার্চ সর্বশেষ কোটার হার নির্ধারণ করা হয়। এটা বর্তমানে বহাল রয়েছে।
পরে মুক্তিযোদ্ধার জন্য নির্ধারিত ৩০% কোটায় মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র- কন্যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাগুলোর মধ্যে যেকোনো কোটায় পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই কোটা থেকে ১% যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থী দিয়ে পূরণ করা হবে। কোটা পদ্ধতি সংস্কার রিপোর্টের শুরুতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রে কর্মচারী নিয়োগে সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে সংবিধান প্রবর্তনের আগেই ১৯৭২ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর এক অফিস স্মারক জারি করা হয়। ওই স্মারকের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সমতাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কোটা পদ্ধতির সূচনা করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে কোটার হারের হ্রাস-বৃদ্ধি এবং নতুন কোটার সংযোজন এবং বিদ্যমান কোটার বিয়োজন করা হয়েছে। কোটা সংস্কার কমিটির আলোচনা সম্পর্কে রিপোর্টে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ১ম ও ২য় শ্রেণির এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জন্য প্রযোজ্য কোটার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে এবং কোটার হারও ভিন্ন। কোটা সংস্কার রিপোর্টে বিভিন্ন সময়ে যেভাবে কোটা পদ্ধতি বাড়ানো বা কমানো হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়েছে। কোটা সংস্কার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে যেসব কমিশন বা কমিটি গঠিত হয়েছে ওই সব কমিশন বা কমিটির রিপোর্ট বা প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা কমিটির সভায় আলোচিত হয়। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, রেগুলেটরি রিফরমস কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান এবং সাবেক সচিব কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হয়। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে মেধা কোটা ৪৫% থেকে ৫০% এ উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি প্রতি তিন বছর পর পর কোটা পদ্ধতি রিভিউ করার কথা বলা হয়। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কোটা পদ্ধতি সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং সাবেক সচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের মতামত নেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে কোটা সংস্কার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামতে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা হ্রাস বা বৃদ্ধি করা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ার। তাই লিভ টু আপিলের রায় এ বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। এসব নানা রেফারেন্স উল্লেখের পর সরকারি চাকরিতে প্রবেশ নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোটা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর পর সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদনটিই কাল মন্ত্রিসভায় উঠবে। এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২রা জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ওই দিন বলেন, আমাদের ফাইন্ডিংস হলো নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ আগে যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি বলা হতো, সেগুলো নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ হবে।
No comments