সুদের টাকা ফেরত না দিতে আছিয়াকে খুন করি -সিলেটে তিন ঘাতকের স্বীকারোক্তি
লেগুনার
কাগজ বন্ধকি রেখে আছিয়ার কাছ থেকে সুদে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল চালক সুমন।
কিন্তু ওই টাকা সে দিতে পারছিল না। আর টাকা পরিশোধ না করায় আছিয়া দিচ্ছিলেন
না কাগজ। এ কারণে সুমনের নেতৃত্বে কয়েকজন সিলেটের মোগলাবাজারে আমেরিকা
প্রবাসীর কেয়ার টেকার আছিয়াকে খুন করে। সিলেটের আদালতে স্বীকারোক্তিকালে
এসব কথা জানিয়েছে তিন ঘাতক। তারা জানায়- ‘সুদের টাকা ফেরত না দিতে আছিয়াকে
গলাটিপে খুন করি। এরপর লেগুনার কাগজসহ বাসা লুট করে চলে যাই।’ রোববার
বিকালে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম
তিনজনের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন। স্বীকারোক্তি শেষে সন্ধ্যায় তাদেরকে
কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আজবাহার শেখ।
তিনি জানান, তার নেতৃত্বে ও মোগলাবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ থানার পুলিশদের নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার ভোরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এরা হচ্ছে- মোগলাবাজার থানার রাঘবপুর গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে আব্দুল বাছিত, একই থানার তুরখকলা গ্রামের মাওলানা আকবর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহাদি ও বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে কামিল আহমদ। আটকের পর তিনজনই ডাকাতি করে মালামাল লুট করে আছিয়া বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাছাড়া আটকের সময় আব্দুল বাছিতের কাছ থেকে প্রবাসীর বাড়ির লুণ্ঠিত ১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। মো. আজবাহার শেখ আরো জানান, মোগলাবাজার থানার হরগৌরি গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আবু বক্কর এর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জৈন্তাপুর থানার চিকনাগুল পানিছড়া গ্রামের মাখন মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম। তার পূর্ব পরিচিত ছিল হরগৌরি গ্রামের সুমন। সেই সুমন পেশায় একজন লেগুনা চালক ছিল। আর নেতৃত্বেই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করে খুন করা হয় আছিয়া বেগমকে। তিনি জানান- আদালতে তিন আসামি তাদের স্বীকারোক্তিতে বলেছে, তারা তিনজনই ছিলেন লেগুনা চালক সুমনের বন্ধু। আছিয়া বেগম সুদের ব্যবসা করতেন। সুমন মাঝে মধ্যে তার কাছ থেকে সুদে টাকা নিত। কিন্তু সুমন যে লেগুনা গাড়ি চালায় তার সেই গাড়ির সকল কাগজ আছিয়া বেগমের কাছে জমা রেখে সুমন বিশ হাজার টাকা সুদ নেয়। সুদ নেয়ার পর থেকে সুমন আর সুদের লাভের টাকা বা মূল টাকা ফেরত দেয়নি আছিয়া বেগমকে। এ নিয়ে আছিয়া বেগম সুমনকে বার বার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু সুমন টাকা দেয়নি। গত ২২শে সেপ্টেম্বর সুমনের সঙ্গে আছিয়ার দেখাও হয় এবং গাড়ির কাগজ ফেরত দিতে বলে। সেদিন তার সঙ্গে আরো দুই বন্ধু ছিল। পরদিন ২৩শে সেপ্টেম্বর সুমন ও আটককৃত তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে নিয়ে আমেরিকা প্রবাসীর বাড়িতে যায় মূল অপরাধী সুমন। সেখানে গিয়ে তার চার বন্ধুকে ঘরে প্রবেশ করায় এবং আটককৃত তিনজনসহ মোট ৪ জন আছিয়াকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে সুমন ঘরে প্রবেশ করে তার গাড়ির কাগজ ছিনিয়ে আনে ও আছিয়া বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
তিনি জানান, তার নেতৃত্বে ও মোগলাবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ থানার পুলিশদের নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার ভোরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। এরা হচ্ছে- মোগলাবাজার থানার রাঘবপুর গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে আব্দুল বাছিত, একই থানার তুরখকলা গ্রামের মাওলানা আকবর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহাদি ও বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে কামিল আহমদ। আটকের পর তিনজনই ডাকাতি করে মালামাল লুট করে আছিয়া বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাছাড়া আটকের সময় আব্দুল বাছিতের কাছ থেকে প্রবাসীর বাড়ির লুণ্ঠিত ১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। মো. আজবাহার শেখ আরো জানান, মোগলাবাজার থানার হরগৌরি গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী আবু বক্কর এর বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জৈন্তাপুর থানার চিকনাগুল পানিছড়া গ্রামের মাখন মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম। তার পূর্ব পরিচিত ছিল হরগৌরি গ্রামের সুমন। সেই সুমন পেশায় একজন লেগুনা চালক ছিল। আর নেতৃত্বেই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করে খুন করা হয় আছিয়া বেগমকে। তিনি জানান- আদালতে তিন আসামি তাদের স্বীকারোক্তিতে বলেছে, তারা তিনজনই ছিলেন লেগুনা চালক সুমনের বন্ধু। আছিয়া বেগম সুদের ব্যবসা করতেন। সুমন মাঝে মধ্যে তার কাছ থেকে সুদে টাকা নিত। কিন্তু সুমন যে লেগুনা গাড়ি চালায় তার সেই গাড়ির সকল কাগজ আছিয়া বেগমের কাছে জমা রেখে সুমন বিশ হাজার টাকা সুদ নেয়। সুদ নেয়ার পর থেকে সুমন আর সুদের লাভের টাকা বা মূল টাকা ফেরত দেয়নি আছিয়া বেগমকে। এ নিয়ে আছিয়া বেগম সুমনকে বার বার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু সুমন টাকা দেয়নি। গত ২২শে সেপ্টেম্বর সুমনের সঙ্গে আছিয়ার দেখাও হয় এবং গাড়ির কাগজ ফেরত দিতে বলে। সেদিন তার সঙ্গে আরো দুই বন্ধু ছিল। পরদিন ২৩শে সেপ্টেম্বর সুমন ও আটককৃত তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে নিয়ে আমেরিকা প্রবাসীর বাড়িতে যায় মূল অপরাধী সুমন। সেখানে গিয়ে তার চার বন্ধুকে ঘরে প্রবেশ করায় এবং আটককৃত তিনজনসহ মোট ৪ জন আছিয়াকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে সুমন ঘরে প্রবেশ করে তার গাড়ির কাগজ ছিনিয়ে আনে ও আছিয়া বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।
No comments