নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন আমাদের রুখতেই হবে by আব্দুল আলীম
বিকল্প
ধারা বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নিয়ন্ত্রিত কোনো নির্বাচনে যেতে চাই না বলেই
জাতীয় ঐক্য করেছি। এই ধরনের নির্বাচন আমাদেরকে রুখতেই হবে। সরকার নিজেদের
সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করে এখন বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন
করা যাবে না। কিন্তু এই সংবিধান সংশোধন করতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগবে।
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে মানবজমিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায়
তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি দেশের চলমান রাজনীতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন,
জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার অগ্রগতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। বি. চৌধুরী বলেন,
সামনে একটি জাতীয় নির্বাচন। এমন অবস্থায় দেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম তো করতেই হবে। তাই এই বয়সেও দিন-রাত কর্মসূচিতে যোগ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছি। বলেছি- নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। শুধু ভেঙে দিলেই হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কোনো দলীয় লোক দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গ্রহণযোগ্য হবে না। অতএব নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বর্তমান সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে চাইছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদের অধিকাংশ আসনে যারা সংসদ সদস্য তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
সংসদে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। অনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংবিধান সংশোধন করেছেন। তাই এই সংবিধান তাদেরকেই সংশোধন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল করতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগবে। সংসদ অধিবেশন ডেকে এটা পাস করলেই হবে। অতীতে এমন নজির রয়েছে।
জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন যেন না হয়, সে জন্য আমরা ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের এই জাতীয় ঐক্য। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে কর্মসূচি দেবো। সেটা নিয়েই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, আমরা ভোট ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবো না। যেভাবে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কয়েকদিন আগে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও গাজীপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাত থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনে যারা এজেন্ট তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমন কারসাজির কোনো নির্বাচন জনগণ আর দেখতে চায় না। আমরাও এমন কোনো নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে যেতে চাই না। এই ধরনের নির্বাচন আমাদেরকে রুখতেই হবে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান রেখে বি. চৌধুরী বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন চাই। বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আমাদের আহ্বান থাকবে এসব দাবিতে দেশবাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উপমহাদেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। এ ছাড়া তিনি একজন লেখক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, উপস্থাপক এবং সুবক্তা। তিনি ২০০২ সালে এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে তিনি নিজে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আর মাত্র কয়েকদিন পরই ৮৯ বছর বয়সে পা রাখবেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ই অক্টোবর কুমিল্লা শহরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম তো করতেই হবে। তাই এই বয়সেও দিন-রাত কর্মসূচিতে যোগ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছি। বলেছি- নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। শুধু ভেঙে দিলেই হবে না। নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কোনো দলীয় লোক দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গ্রহণযোগ্য হবে না। অতএব নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বর্তমান সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করতে চাইছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদের অধিকাংশ আসনে যারা সংসদ সদস্য তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
সংসদে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। অনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংবিধান সংশোধন করেছেন। তাই এই সংবিধান তাদেরকেই সংশোধন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল করতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগবে। সংসদ অধিবেশন ডেকে এটা পাস করলেই হবে। অতীতে এমন নজির রয়েছে।
জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন যেন না হয়, সে জন্য আমরা ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের এই জাতীয় ঐক্য। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে কর্মসূচি দেবো। সেটা নিয়েই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, আমরা ভোট ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবো না। যেভাবে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কয়েকদিন আগে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও গাজীপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাত থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনে যারা এজেন্ট তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমন কারসাজির কোনো নির্বাচন জনগণ আর দেখতে চায় না। আমরাও এমন কোনো নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে যেতে চাই না। এই ধরনের নির্বাচন আমাদেরকে রুখতেই হবে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান রেখে বি. চৌধুরী বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন চাই। বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আমাদের আহ্বান থাকবে এসব দাবিতে দেশবাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উপমহাদেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ছিলেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। এ ছাড়া তিনি একজন লেখক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, উপস্থাপক এবং সুবক্তা। তিনি ২০০২ সালে এক বিতর্কিত ঘটনার জের ধরে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে তিনি নিজে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আর মাত্র কয়েকদিন পরই ৮৯ বছর বয়সে পা রাখবেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ই অক্টোবর কুমিল্লা শহরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
No comments