চীনা ঋণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইমরান খান by অনিম আরাফাত
চীনের
প্রস্তাবিত সিল্ক রোড প্রকল্পের জন্য দেশটির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ
ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতিমধ্যে চীনা ঋণের
বিষয়ে নিজের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। ঔপনিবেশিক আমলের আরব সাগর থেকে
হিন্দুকুশ পর্বতমালা পর্যন্ত দীর্ঘ রেল লাইনকে পুনরায় ঢেলে সাজানোর জন্য
প্রায় ১০.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মেগা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে দেশটি।
প্রজেক্টের একটা বড় অংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল চীন। কিন্তু চীনের ঋণের ফাঁদে
আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় পিছু হটতে শুরু করেছে পাকিস্তান।
এ রেল যোগাযোগ মেগাপ্রজেক্ট পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচি ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারকে যুক্ত করবে। এটি চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রজেক্টের অংশ। কিন্তু ইসলামাবাদ এ প্রজেক্টের ব্যয় ও অর্থায়নগত বিষয়ে আটকা পরে রয়েছে।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার পাকিস্তানকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন বলেই এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করেন বিশ্লেষকরা। তিনি চীনের ঋণের বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং পাকিস্তানের জন্য এ ঋণ যে ফাঁদ হতে পারে সেটা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই বৈদেশিক ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হতে হবে। দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী খুশরো বখতিয়ার বলেন, আমরা পাকিস্তানকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই নতুন কোনো পদক্ষেপ নিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না।
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে চীনা ঋণের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশগুলোর নানা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন এবং আরো বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে চলেছে। এ নিয়ে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপের মতো দেশগুলোর নতুন ক্ষমতা পাওয়া সরকারগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে চীনের সিল্ক রোড প্রকল্প থেকে বেরিয়ে এসেছে মাহাথির মোহাম্মদের নতুন মালয়েশিয়া সরকার। মাহাথির বলেছেন, তার দেশ বড় প্রকল্পগুলোতে সমপ্রতি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই ছাড়া তার সরকার নতুন কোনো প্রজেক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে ইমরান খানের নতুন সরকারের মধ্যেও উদ্বিগ্নতা দেখা গেছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা বিআরআই প্রকল্পের সব কন্টাক্ট পুনঃবিবেচনা করে দেখতে চায়। দেশটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, চুক্তিগুলো করার সময় নিজ স্বার্থ নিশ্চিত করে দর কষাকষি হয়নি। একইসঙ্গে তারা বলছে, প্রকল্পটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও এ থেকে চীন একতরফা সুবিধা পাবে। তবে, ভিন্নমত রয়েছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মধ্যেও। দেশটির একজন মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। চীন ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্র পাকিস্তানে বিনিয়োগে আগ্রহী না। আমরা এখন কী করতে পারি? পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিআরআই প্রজেক্ট নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
চীন অবশ্যই পাকিস্তানের নতুন সরকারের চাহিদাগুলো পূরণ করবে। পারসপারিক আলোচনার মাধ্যমেই এ প্রজেক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে পাকিস্তান চীনের প্রস্তাবিত একটি বড় বাঁধ প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছিল। হিমালয়ে একটি বাঁধ নির্মাণে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় চীন। কিন্তু প্রকল্পে চীনের বিশাল বিনিয়োগ পাকিস্তানকে উদ্বিগ্ন করেছিল। দেশটির ধারণা ছিল এ ধরনের মেগা প্রজেক্টের ব্যয় বহনের ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই।
আশঙ্কা ছিল, যদি যথাসময় ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে হয়ত শ্রীলঙ্কার বন্দরের মতো পাকিস্তানও একটি জাতীয় সমপদ হারাবে। বর্তমান সরকারও চীনের ঋণকে ফাঁদ মনে করছেন। চীনের ঋণ পরিশোধে পাকিস্তানের সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান ইমরান খান। তিনি দাবি করেছেন, তার পূর্বসূরি নওয়াজ শরিফ দেশের মাথায় ব্যাপক ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছেন। তাই চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পে অনুদান নিয়ে তার সরকার কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়।
(রয়টার্সে প্রকাশিত সাংবাদিক ড্রাজেন জরজিকের বিশ্লেষণ অনুসারে)
এ রেল যোগাযোগ মেগাপ্রজেক্ট পাকিস্তানের বন্দর নগর করাচি ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারকে যুক্ত করবে। এটি চীনের প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রজেক্টের অংশ। কিন্তু ইসলামাবাদ এ প্রজেক্টের ব্যয় ও অর্থায়নগত বিষয়ে আটকা পরে রয়েছে।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার পাকিস্তানকে শক্তিশালী করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন বলেই এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করেন বিশ্লেষকরা। তিনি চীনের ঋণের বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং পাকিস্তানের জন্য এ ঋণ যে ফাঁদ হতে পারে সেটা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই বৈদেশিক ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হতে হবে। দেশটির পরিকল্পনামন্ত্রী খুশরো বখতিয়ার বলেন, আমরা পাকিস্তানকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাই নতুন কোনো পদক্ষেপ নিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না।
দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে চীনা ঋণের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশগুলোর নানা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে চীন এবং আরো বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে চলেছে। এ নিয়ে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপের মতো দেশগুলোর নতুন ক্ষমতা পাওয়া সরকারগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে চীনের সিল্ক রোড প্রকল্প থেকে বেরিয়ে এসেছে মাহাথির মোহাম্মদের নতুন মালয়েশিয়া সরকার। মাহাথির বলেছেন, তার দেশ বড় প্রকল্পগুলোতে সমপ্রতি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই ছাড়া তার সরকার নতুন কোনো প্রজেক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে ইমরান খানের নতুন সরকারের মধ্যেও উদ্বিগ্নতা দেখা গেছে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা বিআরআই প্রকল্পের সব কন্টাক্ট পুনঃবিবেচনা করে দেখতে চায়। দেশটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, চুক্তিগুলো করার সময় নিজ স্বার্থ নিশ্চিত করে দর কষাকষি হয়নি। একইসঙ্গে তারা বলছে, প্রকল্পটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও এ থেকে চীন একতরফা সুবিধা পাবে। তবে, ভিন্নমত রয়েছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মধ্যেও। দেশটির একজন মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। চীন ছাড়া অন্য কোনো রাষ্ট্র পাকিস্তানে বিনিয়োগে আগ্রহী না। আমরা এখন কী করতে পারি? পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিআরআই প্রজেক্ট নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
চীন অবশ্যই পাকিস্তানের নতুন সরকারের চাহিদাগুলো পূরণ করবে। পারসপারিক আলোচনার মাধ্যমেই এ প্রজেক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে পাকিস্তান চীনের প্রস্তাবিত একটি বড় বাঁধ প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছিল। হিমালয়ে একটি বাঁধ নির্মাণে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় চীন। কিন্তু প্রকল্পে চীনের বিশাল বিনিয়োগ পাকিস্তানকে উদ্বিগ্ন করেছিল। দেশটির ধারণা ছিল এ ধরনের মেগা প্রজেক্টের ব্যয় বহনের ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই।
আশঙ্কা ছিল, যদি যথাসময় ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে হয়ত শ্রীলঙ্কার বন্দরের মতো পাকিস্তানও একটি জাতীয় সমপদ হারাবে। বর্তমান সরকারও চীনের ঋণকে ফাঁদ মনে করছেন। চীনের ঋণ পরিশোধে পাকিস্তানের সক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান ইমরান খান। তিনি দাবি করেছেন, তার পূর্বসূরি নওয়াজ শরিফ দেশের মাথায় ব্যাপক ঋণের বোঝা চাপিয়ে গিয়েছেন। তাই চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পে অনুদান নিয়ে তার সরকার কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়।
(রয়টার্সে প্রকাশিত সাংবাদিক ড্রাজেন জরজিকের বিশ্লেষণ অনুসারে)
No comments