অভিবাসী ইস্যুতে বাংলাদেশীদেরকেই অসম্মান করেছেন অমিত শাহ -দ্য স্টেটসম্যানের সম্পাদকীয়
কথিত
বাংলাদেশী অভিবাসীদের নিয়ে মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতে ক্ষমতাসীন দল
বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বাংলাদেশীদেরকেই অসম্মান করেছেন (হি হ্যাজ
ইনসালটেড দ্য বাংলাদেশীজ)। তিনি ভারতে অবস্থানরত কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদেরকে
উইপোকা বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইউরোপে আছেন বহু সংখ্যক উত্তর আফ্রিকা ও আরব
অঞ্চলের অবৈধ অভিবাসী। তাদেরকে উদ্দেশ্য করেও এমন অপমানজনক মন্তব্য করা হয়
না। অমিত শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে এসব কথা বলা হয়েছে ভারতের
প্রভাবশালী ইংরেজি পত্রিকা দ্য স্টেটসম্যানের সম্পাদকীয়তে। ‘ইগনোবল
ডিপ্লোম্যাসি’ বা হীন কূটনীতি শিরোনামে ওই সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে
সোমবার। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রেসিডেন্ট একটি মতামত
দিয়েছেন। এটা হলো অবিবেচক।
এমনকি যখন পরিস্থিতি শান্ত বলে মনে হচ্ছে তখন তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশই এ বিষয়ে সচেতন বা জানে যে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ অভিবাসী। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মার্চের পরবর্তী প্রজন্মের অভিবাসীরা। ওই সময়েই অনুপ্রবেশটা বেশি হয়।
এতে আরো বলা হয়, ইউরোপ হোক বা এই উপমহাদেশ হোক সব খানেই শরণার্থীর অনুপ্রবেশ হয়ে উঠেছে মানবিক ইস্যু। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান অমিত শাহ যেভাবে কথা বলেছেন তাতে এর খুব সামান্য অথবা বিন্দুমাত্র প্রতিফলন নেই। তিনি অনুপ্রবেশকে বুঝাতে রসকষহীনভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদেরকে উইপোকা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, তারা ভারতের জাতীয় সম্পদকে খেয়ে ফেলছেন।
এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশীদেরকে অপমান করেছেন। এমন আক্রমণাত্মক কথার দু’রকম অর্থ আছে অভিবাসী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে। অমিত শাহ কথিত ওইসব বাংলাদেশীদেরকে ফেরত পাঠানোর একটিমাত্র মনোবাসনার কথা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, যদি ২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা এটা করবেন। অভিবাসীদের প্রতি তার এমন মন্তব্যে ভারতবিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। সীমান্তজুড়ে হাসিনাবিরোধী লবি জোরালো হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মৌন সমর্থন রয়েছে এই পক্ষটির।
ওই সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, ভারত তিস্তার পানি বন্টনে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টিকে ব্যবহার করছে এই পক্ষটি। বিশেষ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জামায়াতে ইসলামী। এমন অবস্থায় অভিবাসীদের আঘাত করার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডেন্ট অনিচ্ছাকৃতভাবে ভারতের বিরুদ্ধ শক্তির পক্ষে কথা বলেছেন।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাসের মতো সময় বাকি। অপেক্ষাকৃত ধর্মনিরপেক্ষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এসব শক্তি চেষ্টা করছে বলে বলা হয়। ২০১৩ সালের শেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার সরকার। সুনিশ্চিতভাবে বলা যায়, অমিত শাহ যে মন্তব্য করেছেন তাতে এই ডিসেম্বরে ক্ষতি হতে পারে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের। কূটনৈতিক ভাষায়, এটা হলো নিজের পায়ে নিজে গুলি করার মতো ঘটনা।
দুঃখজনক হলো যে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যখন ব্যতিক্রমভাবে উন্নত, বিশেষ করে সম্প্রতি রেল সংযোগ ও অবকাঠামো খাত নিয়ে প্রকল্প উদ্বোধনের পর সেই সম্পর্ক আরো বেড়েছে, ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করে বিতর্ককে উস্কে দিয়েছেন অমিত শাহ। নির্বাচনের প্রাক্কালে, এতে নিজের দেশের বিষয় বাদ দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষা করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সহজ হবে না।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়েছে, এটা জোরালোভাবে বলা যায় ইস্যুটি খুব আবেগঘন। যে দেশটি তার নিজের দলকে দেশে সমৃদ্ধ হতে সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে অমিত শাহের এমন মন্তব্য বন্ধ করার মতো কোনো আহ্বানও আসে নি।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শালিনতাবোধ প্রত্যাশা করাটা খুব বেশি চাওয়া হতে পারে, তবে নিশ্চয় শুভবুদ্ধির উদয় হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ পরিস্থিতি শান্ত করতে ভাল কিছু করবেন।
এমনকি যখন পরিস্থিতি শান্ত বলে মনে হচ্ছে তখন তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশই এ বিষয়ে সচেতন বা জানে যে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ অভিবাসী। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মার্চের পরবর্তী প্রজন্মের অভিবাসীরা। ওই সময়েই অনুপ্রবেশটা বেশি হয়।
এতে আরো বলা হয়, ইউরোপ হোক বা এই উপমহাদেশ হোক সব খানেই শরণার্থীর অনুপ্রবেশ হয়ে উঠেছে মানবিক ইস্যু। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান অমিত শাহ যেভাবে কথা বলেছেন তাতে এর খুব সামান্য অথবা বিন্দুমাত্র প্রতিফলন নেই। তিনি অনুপ্রবেশকে বুঝাতে রসকষহীনভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদেরকে উইপোকা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, তারা ভারতের জাতীয় সম্পদকে খেয়ে ফেলছেন।
এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশীদেরকে অপমান করেছেন। এমন আক্রমণাত্মক কথার দু’রকম অর্থ আছে অভিবাসী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে। অমিত শাহ কথিত ওইসব বাংলাদেশীদেরকে ফেরত পাঠানোর একটিমাত্র মনোবাসনার কথা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, যদি ২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা এটা করবেন। অভিবাসীদের প্রতি তার এমন মন্তব্যে ভারতবিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। সীমান্তজুড়ে হাসিনাবিরোধী লবি জোরালো হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মৌন সমর্থন রয়েছে এই পক্ষটির।
ওই সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, ভারত তিস্তার পানি বন্টনে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয়টিকে ব্যবহার করছে এই পক্ষটি। বিশেষ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জামায়াতে ইসলামী। এমন অবস্থায় অভিবাসীদের আঘাত করার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডেন্ট অনিচ্ছাকৃতভাবে ভারতের বিরুদ্ধ শক্তির পক্ষে কথা বলেছেন।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাসের মতো সময় বাকি। অপেক্ষাকৃত ধর্মনিরপেক্ষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে এসব শক্তি চেষ্টা করছে বলে বলা হয়। ২০১৩ সালের শেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার সরকার। সুনিশ্চিতভাবে বলা যায়, অমিত শাহ যে মন্তব্য করেছেন তাতে এই ডিসেম্বরে ক্ষতি হতে পারে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের। কূটনৈতিক ভাষায়, এটা হলো নিজের পায়ে নিজে গুলি করার মতো ঘটনা।
দুঃখজনক হলো যে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যখন ব্যতিক্রমভাবে উন্নত, বিশেষ করে সম্প্রতি রেল সংযোগ ও অবকাঠামো খাত নিয়ে প্রকল্প উদ্বোধনের পর সেই সম্পর্ক আরো বেড়েছে, ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করে বিতর্ককে উস্কে দিয়েছেন অমিত শাহ। নির্বাচনের প্রাক্কালে, এতে নিজের দেশের বিষয় বাদ দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রক্ষা করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সহজ হবে না।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়েছে, এটা জোরালোভাবে বলা যায় ইস্যুটি খুব আবেগঘন। যে দেশটি তার নিজের দলকে দেশে সমৃদ্ধ হতে সহায়তা করছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে অমিত শাহের এমন মন্তব্য বন্ধ করার মতো কোনো আহ্বানও আসে নি।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শালিনতাবোধ প্রত্যাশা করাটা খুব বেশি চাওয়া হতে পারে, তবে নিশ্চয় শুভবুদ্ধির উদয় হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ পরিস্থিতি শান্ত করতে ভাল কিছু করবেন।
No comments