যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়া যুদ্ধে যোগ দেবে বৃটেন!
পার্লামেন্টের
অনুমোদন ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে সিরিয়া হামলায় যোগ দিতে পারে
বৃটেন। সামরিক বিভিন্ন শাখার প্রধানদের এ পরিকল্পনা সম্পর্কে নির্দেশনা
দেয়া হয়েছে। এ হামলা হবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষকে
লক্ষ্য করে। সম্প্রতি পূর্ব ঘৌটায় বেসামরিক জনগণের ওপর বিষাক্ত গ্যাস
প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে তার সরকারের বিরুদ্ধে। এর আগে বাশার আল আসাদের
বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর অনুমতি চেয়েছিলেন বৃটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু হাউস অব কমন্স তাকে সেই অনুমোদন দেয় নি। এ খবর
দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, সিরিয়ার বিরুদ্ধে
অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে
বৃটেনের সেনা বাহিনী। এ জন্য তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সোমবার। ১০
ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোট চাওয়ার সম্ভাবনা
প্রত্যাখ্যান করা হয় নি। তবে বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা
মে পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই অভিযানে যোগ দিতে পারেন। এ ইস্যুতে কি
পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে বিতর্কের জন্য ইস্টার উপলক্ষে ছুটিতে থাকা
এমপিদেরকে হোয়াইট হলে ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও খবর মিলেছে। তবে
এক্ষেত্রে যে সরকারকে অবশ্যই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে এমন কোনো
আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তবু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন প্রথম
দফায়ই এমন পদক্ষেপের বিষয়ে এমপিদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলেন। এখন বৃটিশ
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র কণ্ঠে একটি সুর শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন,
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান মদতদাতা হলো রাশিয়া। যদি দামেস্কের
কাছে রাসায়নিক গ্যাস হামলার জন্য দায়ী পাওয়া যায় রাশিয়াকে এর জন্য জবাব
দিতে হবে। ফলে ঘটনা যে অন্যদিকে মোড় নিতে পারে তা স্পষ্ট। কারণ, রাশিয়ান
গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়ার ওপর নার্ভ গ্যাস প্রয়োগের
জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাশিয়াকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন এক শীতল যুদ্ধের
আবহ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এরইড মধ্যে শুরু হয়ে গেছে নতুন ওই
শীতল যুদ্ধ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বড় বড় দেশ
অবস্থান নিয়েছে। ফলে বৃটেন যে শুধু সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে দমনে ব্যবস্থা
নিচ্ছেন তেমনটা ভাবা বোকামি। তিনি এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার লেজও টেনে ধরতে
চাইতে পারেন।
No comments