সেই বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলতে চেয়েছিলেন স্নিগ্ধা by জাভেদ ইকবাল
রংপুরের
বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনাকে হত্যার পর তার
শিক্ষিকা স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ও কথিত প্রেমিক শিক্ষক কামরুল ইসলাম মরদেহ
গুম করার স্থান হিসেবে বেছে নেন তার বড় ভাই ঢাকায় বসবাসরত খাদেমুল ইসলামের
নির্মাণাধীন বাড়ি। ওই বাড়িতেই মরদেহ গুম করার সিদ্ধান্ত হিসেবে ভিন্ন কথা
বলে স্কুলের দুই ছাত্রকে দিয়ে গর্ত খুঁড়িয়ে নেন এবং লাশ গর্তে রেখে মাটি
চাপা দেন। স্নিগ্ধা ও কামরুলের পরিকল্পনা ছিল সেখানে তিনি স্কুলের
ছাত্রছাত্রীদের কোচিং সেন্টার খুলবেন।
এ জন্য আগে থেকে ছাত্রছাত্রীদের বলেন, আমরা কোচিং সেন্টার খুলবো তোমরা সেখানে ক্লাস করবে। তাদের পরিকল্পনা ছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কামরুল ওই বাড়িটি সংস্কারের নামে সেখানে মেঝে প্লাস্টার করে নিতেন এবং কেউ যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য কোচিং ক্লাস শুরু করে দিতেন। অ্যাড. রথীশ হত্যার ঘটনায় জড়িত রিমান্ডে থাকা কামরুল ইসলাম পুলিশকে এ তথ্য জানান। পুলিশ জানায়, অ্যাড. রথীশ ভৌমিকের হত্যাকাণ্ডের বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে, তদন্ত হলেই সাংবাদিকদের কাছে তা উপস্থাপন করা হবে। সূত্র আরো জানায়, অ্যাড. রথীশ হত্যার পর নিখোঁজ রথীশের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্নিগ্ধা ভৌমিকের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় গিয়েছিল কামরুল ইসলাম। স্নিগ্ধাকে সান্ত্বনা দিয়ে তার হাতে তুলে দেন খাবারের জন্য বিভিন্ন ফলমূল। খুনের ঘটনায় কেউ যেন তাকে সন্দেহ করতে না পারে সেজন্য এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রচার করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে ৩০শে মার্চ নিখোঁজ হন আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক। তিনি জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও এবং মাজারের খাদেম হত্যা মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এ ঘটনার জন্য সকলে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিদের দায়ী করে আওয়ামী লীগ, আইনজীবী সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ক্ষত্রিয় সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলন শুরু করেন। নিখোঁজ রথীশের সন্ধানে মাঠে নামে র্যাব, পুলিশ, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে আইনজীবীর স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক এবং তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ষষ্ঠ দিন ৪ঠা এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করা হয়। স্নিগ্ধা ভৌমিক র্যাবকে জানায়, পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও অশান্তির কারণে সে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে তার কথিত প্রেমিক কামরুলকে নিয়ে স্বামী অ্যাড. রথীশচন্দ্র ভৌমিককে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্নিগ্ধা ও কামরুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কামরুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয় স্নিগ্ধার।
এ জন্য আগে থেকে ছাত্রছাত্রীদের বলেন, আমরা কোচিং সেন্টার খুলবো তোমরা সেখানে ক্লাস করবে। তাদের পরিকল্পনা ছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কামরুল ওই বাড়িটি সংস্কারের নামে সেখানে মেঝে প্লাস্টার করে নিতেন এবং কেউ যাতে বুঝতে না পারে সেজন্য কোচিং ক্লাস শুরু করে দিতেন। অ্যাড. রথীশ হত্যার ঘটনায় জড়িত রিমান্ডে থাকা কামরুল ইসলাম পুলিশকে এ তথ্য জানান। পুলিশ জানায়, অ্যাড. রথীশ ভৌমিকের হত্যাকাণ্ডের বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। আরো তদন্ত চলছে, তদন্ত হলেই সাংবাদিকদের কাছে তা উপস্থাপন করা হবে। সূত্র আরো জানায়, অ্যাড. রথীশ হত্যার পর নিখোঁজ রথীশের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্নিগ্ধা ভৌমিকের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় গিয়েছিল কামরুল ইসলাম। স্নিগ্ধাকে সান্ত্বনা দিয়ে তার হাতে তুলে দেন খাবারের জন্য বিভিন্ন ফলমূল। খুনের ঘটনায় কেউ যেন তাকে সন্দেহ করতে না পারে সেজন্য এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রচার করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে ৩০শে মার্চ নিখোঁজ হন আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক। তিনি জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও এবং মাজারের খাদেম হত্যা মামলার সরকারি আইনজীবী ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এ ঘটনার জন্য সকলে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিদের দায়ী করে আওয়ামী লীগ, আইনজীবী সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ক্ষত্রিয় সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলন শুরু করেন। নিখোঁজ রথীশের সন্ধানে মাঠে নামে র্যাব, পুলিশ, পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে আইনজীবীর স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক এবং তার সহকর্মী স্কুলশিক্ষক কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ষষ্ঠ দিন ৪ঠা এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করা হয়। স্নিগ্ধা ভৌমিক র্যাবকে জানায়, পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও অশান্তির কারণে সে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে তার কথিত প্রেমিক কামরুলকে নিয়ে স্বামী অ্যাড. রথীশচন্দ্র ভৌমিককে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্নিগ্ধা ও কামরুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কামরুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয় স্নিগ্ধার।
No comments