আফগানিস্তানকে একমাত্র রাশিয়া সাহায্য করতে পারে: কারজাই
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই |
আফগানিস্তানের
সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করার
ক্ষেত্রে তার দেশকে একমাত্র রাশিয়া সাহায্য করতে পারে। তালেবানের হাতে
রয়েছে প্রচুর অস্ত্র এবং তাদেরকে মোকাবেলা করতে হলে রাশিয়ার সাহায্য দরকার।
এক টিভি সাক্ষাৎকার কারজাই বলেন, “আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি যে, যদি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়া নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে তাহলে মস্কো আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবে। যে ব্রিটেনকে আমরা কয়েকবার বের করে দেয়ছি তারা পারবে না; আমেরিকাও পারবে না বরং তারা আমাদেরকে ১৭ বছর ধরে হত্যা করছে; শুধুমাত্র রাশিয়া পারবে।”
রুশ টিভি চ্যানেল এনটিভিকে হামিদ কারজাই আরো বলেন, “সন্ত্রাসীদের জন্য আমরা হলাম শেষ বাধা। আমরা দেড়শ বছর ধরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই করছি।”
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কো সবসময় আফগানিস্তানকে সাহায্য করেছে এমনকি সোভিয়েত আগ্রাসনের সময়ও। তিনি বলেন, সেসময় আমরা অবশ্যই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তবে মস্কো তখন বহু স্কুল ও হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছে। সে যুদ্ধের পর আমেরিকা আল-কায়েদা তৈরির কাজ করেছে এবং পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পকে আল-কায়েদা তৈরির কাজে ব্যবহার করে। আফগান যুদ্ধের পর আমেরিকা একমাত্র পরাশক্তি হতে চেয়েছিল; সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা তা হয়েছিল। আফগান যুদ্ধ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের অন্যতম কারণ বলেও উল্লেখ করেন হামিদ কারজাই।
আফগানিস্তানে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হাজার হাজার সদস্য রয়েছে বলে জানান তিনি। হামিদ কারজাই বলেন, “আফগানিস্তানের আকাশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আমেরিকা; তাদের অনুমতি ছাড়া আফগানিস্তানের আকাশে কিছুই উড়তে পারে না। এ অবস্থায় আমি আফগানিস্তান থেকে মার্কিনিদের বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।
এক টিভি সাক্ষাৎকার কারজাই বলেন, “আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি যে, যদি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়া নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলে তাহলে মস্কো আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবে। যে ব্রিটেনকে আমরা কয়েকবার বের করে দেয়ছি তারা পারবে না; আমেরিকাও পারবে না বরং তারা আমাদেরকে ১৭ বছর ধরে হত্যা করছে; শুধুমাত্র রাশিয়া পারবে।”
রুশ টিভি চ্যানেল এনটিভিকে হামিদ কারজাই আরো বলেন, “সন্ত্রাসীদের জন্য আমরা হলাম শেষ বাধা। আমরা দেড়শ বছর ধরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে লড়াই করছি।”
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কো সবসময় আফগানিস্তানকে সাহায্য করেছে এমনকি সোভিয়েত আগ্রাসনের সময়ও। তিনি বলেন, সেসময় আমরা অবশ্যই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তবে মস্কো তখন বহু স্কুল ও হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছে। সে যুদ্ধের পর আমেরিকা আল-কায়েদা তৈরির কাজ করেছে এবং পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পকে আল-কায়েদা তৈরির কাজে ব্যবহার করে। আফগান যুদ্ধের পর আমেরিকা একমাত্র পরাশক্তি হতে চেয়েছিল; সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তারা তা হয়েছিল। আফগান যুদ্ধ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের অন্যতম কারণ বলেও উল্লেখ করেন হামিদ কারজাই।
আফগানিস্তানে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হাজার হাজার সদস্য রয়েছে বলে জানান তিনি। হামিদ কারজাই বলেন, “আফগানিস্তানের আকাশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আমেরিকা; তাদের অনুমতি ছাড়া আফগানিস্তানের আকাশে কিছুই উড়তে পারে না। এ অবস্থায় আমি আফগানিস্তান থেকে মার্কিনিদের বের করে দেয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।
No comments