যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা প্রশ্নে মুখ খুললেন কিম জং উন
প্রথমবারের
মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করেছেন উত্তর
কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত
করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দলীয় সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে
ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং এর মধ্যকার আলোচনার ‘সম্ভাবনা’র কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে কিমের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে
সম্মতি প্রকাশ করলেও এ সম্মেলন নিয়ে এতোদিন নীরব ছিল পিয়ংইয়ং।
মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে কখনও সরাসরি আবার কখনও গোপন বৈঠক হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তৃতীয় একটি দেশে কয়েকবার মিলিত হয়েছেন এবং কথা বলেছেন। যদি বৈঠক আয়োজনের এ প্রচেষ্টা সফল হয় তবে এটাই হবে কোনও ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতার প্রথম সাক্ষাৎ। সোমবার (৯ এপ্রিল) ট্রাম্প জানান, মে মাসে কিংবা জুনের শুরুর দিকে তিনি কিমের সঙ্গে আলোচনা করতে চান।
এর মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, দেশটির নেতা সোমবার (৯ এপ্রিল) উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নয়ন এবং উত্তরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে কিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
এর আগে রবিবার (৮ এপ্রিল) নাম প্রকাশ না করে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান,সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে হওয়া এক গোপন বৈঠকে পিয়ংইয়ং সরাসরি এ নজিরবিহীন বৈঠকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারেও সরাসরি সম্মতি জানিয়েছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে পরোক্ষভাবে সম্মতি জানালেও ওয়াশিংটনের দাবি, এবার পিয়ংইয়ং এর কাছ থেকে সরাসরি সম্মতি পেয়েছে তারা। ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, যোগাযোগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরেই কিম যুক্তরাষ্ট্রে আঘাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা করেন। পিয়ংইয়ং দাবি করে,তারা হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে। এরপরই কিম বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে দক্ষিণের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হন এবং পরে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প বারবার পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির কথা বলে আসছেন। কিন্তু চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। চীনই এখনও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়নি।
অন্যদিকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে ওয়াশিংটনের সংজ্ঞার সঙ্গে পিয়ংইয়ং একমত কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ চায় ওয়াশিংটন। এর আগে আলোচনার সময় ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। যদিও অধৈর্য হয়ে বা দাবি আদায় হবে না এমন পরিপ্রেক্ষিতে আবার পরমাণু কর্মসূচি শুরু করে পিয়ংইয়ং।
মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি চলছে। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে কখনও সরাসরি আবার কখনও গোপন বৈঠক হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তৃতীয় একটি দেশে কয়েকবার মিলিত হয়েছেন এবং কথা বলেছেন। যদি বৈঠক আয়োজনের এ প্রচেষ্টা সফল হয় তবে এটাই হবে কোনও ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতার প্রথম সাক্ষাৎ। সোমবার (৯ এপ্রিল) ট্রাম্প জানান, মে মাসে কিংবা জুনের শুরুর দিকে তিনি কিমের সঙ্গে আলোচনা করতে চান।
এর মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, দেশটির নেতা সোমবার (৯ এপ্রিল) উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নয়ন এবং উত্তরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। তবে কিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
এর আগে রবিবার (৮ এপ্রিল) নাম প্রকাশ না করে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান,সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে হওয়া এক গোপন বৈঠকে পিয়ংইয়ং সরাসরি এ নজিরবিহীন বৈঠকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারেও সরাসরি সম্মতি জানিয়েছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে পরোক্ষভাবে সম্মতি জানালেও ওয়াশিংটনের দাবি, এবার পিয়ংইয়ং এর কাছ থেকে সরাসরি সম্মতি পেয়েছে তারা। ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, যোগাযোগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরেই কিম যুক্তরাষ্ট্রে আঘাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা করেন। পিয়ংইয়ং দাবি করে,তারা হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করেছে। এরপরই কিম বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে দক্ষিণের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হন এবং পরে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প বারবার পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতির কথা বলে আসছেন। কিন্তু চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। চীনই এখনও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়নি।
অন্যদিকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে ওয়াশিংটনের সংজ্ঞার সঙ্গে পিয়ংইয়ং একমত কিনা সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ চায় ওয়াশিংটন। এর আগে আলোচনার সময় ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। যদিও অধৈর্য হয়ে বা দাবি আদায় হবে না এমন পরিপ্রেক্ষিতে আবার পরমাণু কর্মসূচি শুরু করে পিয়ংইয়ং।
No comments