বন্দি করেও মারা গেলো না মশা! by শাহেদ শফিক
নেটের খাঁচায় বন্দি মশা |
মশার
যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ রাজধানীর বাসিন্দারা। বিভিন্ন এলাকায়, বাসাবাড়িতে ওষুধ
ছিটানো হলেও মশা মরছে না। মশা নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন
উঠেছে। এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব পদ্ধতিতে এই ওষুধের গুণগত
মান পরীক্ষা করে। এজন্য ওষুধের নমুনা সংগ্রহ এবং ছোট্ট একটি খাঁচায় অর্ধশত
মশাকে বন্দি করা হয়। কিন্তু ফগিং করার পরেও বন্দি মশা সব মরেনি। রবিবার (৮
এপ্রিল) দুপুরে ডিএসসিসি’র নগর ভবনের বারান্দায় এভাবেই মশা নিধনের ওষুধ
পরীক্ষা করতে দেখা গেছে।
মশা নিধনের কাজে ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবদ্ধ খাঁচার মধ্যে অধিক হারে ফগিং করার পরেও যেখানে শতভাগ মশা করছে না, সেখানে মাঠ পর্যায়ের উন্মুক্ত স্থানে কিভাবে মশা মরবে? ফলে মশা নিধনে ব্যবহৃত এসব ওষুধের গুণগত মান নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন দেখা গিয়েছে।
মশা নিধনের কাজে ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবদ্ধ খাঁচার মধ্যে অধিক হারে ফগিং করার পরেও যেখানে শতভাগ মশা করছে না, সেখানে মাঠ পর্যায়ের উন্মুক্ত স্থানে কিভাবে মশা মরবে? ফলে মশা নিধনে ব্যবহৃত এসব ওষুধের গুণগত মান নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন দেখা গিয়েছে।
এত কাছ থেকে ফগিং করা হলেও মশা মরছে না |
যেভাবে ওষুধের মান পরীক্ষা করা হয়
ডিএসসিসি’র ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগ সূত্র জানিয়েছে— নগরীর মশা নিধনের জন্য যে কীটনাশক সংগ্রহ করা হয়, প্রথমে তা ডিএসসিসির নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়। এজন্য নির্দিষ্ট আকারের ছোট ছোট তিনটি খাঁচার মধ্যে ৫০টি করে মোট ১৫০টি মশা রাখা হয়। খাঁচাগুলোর ৪/৫ ফুট দূরে সাদা কাপড়ের বেড়া দিয়ে এর মধ্যে ফগিং করা হয়। এসময় ওষুধের পাশাপাশি মেশিনের ধোঁয়ায় পুরো এলাকাটি ঢেকে যায়। এভাবে অন্তত তিন মিনিট ওষুধ ছিটানো হয়। এর ২০ মিনিট পর দেখা হয়— কয়টি মশা মরেছে। পরে ফগিং করা খাঁচাগুলো ২৪ ঘণ্টা পর দেখার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে যদি বন্দি কোনও মশা ফের জীবিত হয়ে ওঠে, তবে তাদের খাবার দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টা পর জীবিত মশার সংখ্যা আবারও গণনা করা হয়। তখন যদি মৃত মশার হার ৮০ শতাংশ হয়, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে, ওষুধের গুণগত মান ঠিক আছে।
সূত্রটি আরও জানায়, ডিএসসিসিতে নিজস্ব পদ্ধতিতে ওষুধের মান পরীক্ষার পর তা ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য আরও দুটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কীটনাশকের মান পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর ও রাসায়নিক উপাদান পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সবগুলো পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে মাঠ পর্যায়ে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
তবে ডিএসসিসি’র নিজস্ব এই পদ্ধতি নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। তারা বলছেন, নির্দিষ্ট ছোট্ট একটি খাঁচার মধ্যে মশাকে বন্দি করে অনেক কাছ থেকে একাধিকবার ফগিং বা স্প্রে করার পরেও কেন মশা মরছে না? অনেকে বলছেন, ওই খাঁচার মধ্যে মশার বদলে যদি মানুষ কিংবা অন্য কোনও প্রাণী রাখা হয়, ওষুধের প্রভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা মারা যাওয়ার কথা। এরকম কঠোরতা অবলম্বনের পরেও যেখানে মশা মরছে না, সেখানে মাঠ পর্যায়ে উন্মুক্তস্থানে কিভাবে মশা দমন করা যাবে? সেখানে তো এত কাছ থেকে ওষুধ ছিটানো হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে ডিএসসিসির একজন ভাণ্ডার কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক আগ থেকেই এই পদ্ধতি চলমান রয়েছে। এটা একটা সিস্টেম। কিন্তু এই সিস্টেম সঠিক নয়। কতটা কার্যকর তাও বলা যাচ্ছে না। একটা সিস্টেমের মধ্যে ফেলে তো ওষধ ক্রয় করতে হবে। সে জন্যই হয়তো কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা যে পদ্ধতিতে মশাকে খাঁচায় বন্দি রেখে ওষুধ স্প্রে করি, সেভাবে তো মাঠ পর্যায়ে করা হয় না। এখানে (খাঁচায়) ওষুধ স্প্রে করার পর মশা চলে যেতে পারে না। তাছাড়া, আবদ্ধ করে ওষুধ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে তো মেশিনের শব্দ কিংবা মেশিন থেকে নির্গত গরম হাওয়ায় মশা মরে যাওয়ার কথা। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তো ফগার মেশিনের শব্দ শুনেই মশা পালিয়ে যায়। সেখানে তো ওই পরিমাণ মশা মরে না।’ মশার ওষুধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয়— ওষুধ পরিবর্তন করা উচিত।’
ওষুধ পাল্টাবে ডিএনসিসি
দীর্ঘদিন ধরে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড থেকে মশার ওষুধ সংগ্রহ করে আসছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কিন্তু গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই ওষুধ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, নিয়ম অনুযায়ী মশার ওষুধ ছিটানোর পরও মশা নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওষুধ পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এবার ওষুধ ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। জানা গেছে,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবারও ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই মশা নিধনের ওষুধ সংগ্রহ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মশার উৎপাত একটু বেড়েছে। আমরা নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওষুধ ছিটাচ্ছি। এরপরও মশা কমছে না। আমরা এখন ওষুধ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মশা নিধন কাজে ব্যবহৃত দুই সিটি করপোরেশনের ওষুধের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময় নগরবাসীর মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। অনেকেই বলেছেন, মশা নিধন কাজে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা মানসম্মত নয়। তাদের অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মানহীন ওষুধ কিনছেন সংস্থা দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ হোসেনকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন সিরিভ করেননি।
ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা নতুন কোনও নিয়ম নয়। আমরা অনেক আগ থেকেই এই নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা করে আসছি। পরীক্ষায় শতভাগ মশা না মরলেও ফলাফল যথেষ্ট সন্তোষজনক। এই পরীক্ষাটি ছাড়াও দুটি ল্যাবের মাধ্যমে ওষুধের আরও দুইটি গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। সবক’টি ফলাফল সন্তোষজনক হলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ওষুধ কেনা হবে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীতে মশা নিধনের জন্য প্রতিবছর অর্ধশত কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে দুই সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি)।
ডিএসসিসি’র ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগ সূত্র জানিয়েছে— নগরীর মশা নিধনের জন্য যে কীটনাশক সংগ্রহ করা হয়, প্রথমে তা ডিএসসিসির নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়। এজন্য নির্দিষ্ট আকারের ছোট ছোট তিনটি খাঁচার মধ্যে ৫০টি করে মোট ১৫০টি মশা রাখা হয়। খাঁচাগুলোর ৪/৫ ফুট দূরে সাদা কাপড়ের বেড়া দিয়ে এর মধ্যে ফগিং করা হয়। এসময় ওষুধের পাশাপাশি মেশিনের ধোঁয়ায় পুরো এলাকাটি ঢেকে যায়। এভাবে অন্তত তিন মিনিট ওষুধ ছিটানো হয়। এর ২০ মিনিট পর দেখা হয়— কয়টি মশা মরেছে। পরে ফগিং করা খাঁচাগুলো ২৪ ঘণ্টা পর দেখার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে যদি বন্দি কোনও মশা ফের জীবিত হয়ে ওঠে, তবে তাদের খাবার দেওয়া হয়। ২৪ ঘণ্টা পর জীবিত মশার সংখ্যা আবারও গণনা করা হয়। তখন যদি মৃত মশার হার ৮০ শতাংশ হয়, তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে, ওষুধের গুণগত মান ঠিক আছে।
সূত্রটি আরও জানায়, ডিএসসিসিতে নিজস্ব পদ্ধতিতে ওষুধের মান পরীক্ষার পর তা ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য আরও দুটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কীটনাশকের মান পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর ও রাসায়নিক উপাদান পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সবগুলো পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে মাঠ পর্যায়ে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
তবে ডিএসসিসি’র নিজস্ব এই পদ্ধতি নিয়েও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। তারা বলছেন, নির্দিষ্ট ছোট্ট একটি খাঁচার মধ্যে মশাকে বন্দি করে অনেক কাছ থেকে একাধিকবার ফগিং বা স্প্রে করার পরেও কেন মশা মরছে না? অনেকে বলছেন, ওই খাঁচার মধ্যে মশার বদলে যদি মানুষ কিংবা অন্য কোনও প্রাণী রাখা হয়, ওষুধের প্রভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা মারা যাওয়ার কথা। এরকম কঠোরতা অবলম্বনের পরেও যেখানে মশা মরছে না, সেখানে মাঠ পর্যায়ে উন্মুক্তস্থানে কিভাবে মশা দমন করা যাবে? সেখানে তো এত কাছ থেকে ওষুধ ছিটানো হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে ডিএসসিসির একজন ভাণ্ডার কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক আগ থেকেই এই পদ্ধতি চলমান রয়েছে। এটা একটা সিস্টেম। কিন্তু এই সিস্টেম সঠিক নয়। কতটা কার্যকর তাও বলা যাচ্ছে না। একটা সিস্টেমের মধ্যে ফেলে তো ওষধ ক্রয় করতে হবে। সে জন্যই হয়তো কর্তৃপক্ষ এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা যে পদ্ধতিতে মশাকে খাঁচায় বন্দি রেখে ওষুধ স্প্রে করি, সেভাবে তো মাঠ পর্যায়ে করা হয় না। এখানে (খাঁচায়) ওষুধ স্প্রে করার পর মশা চলে যেতে পারে না। তাছাড়া, আবদ্ধ করে ওষুধ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে তো মেশিনের শব্দ কিংবা মেশিন থেকে নির্গত গরম হাওয়ায় মশা মরে যাওয়ার কথা। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে তো ফগার মেশিনের শব্দ শুনেই মশা পালিয়ে যায়। সেখানে তো ওই পরিমাণ মশা মরে না।’ মশার ওষুধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয়— ওষুধ পরিবর্তন করা উচিত।’
ওষুধ পাল্টাবে ডিএনসিসি
দীর্ঘদিন ধরে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড থেকে মশার ওষুধ সংগ্রহ করে আসছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কিন্তু গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই ওষুধ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, নিয়ম অনুযায়ী মশার ওষুধ ছিটানোর পরও মশা নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওষুধ পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এবার ওষুধ ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। জানা গেছে,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবারও ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই মশা নিধনের ওষুধ সংগ্রহ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মশার উৎপাত একটু বেড়েছে। আমরা নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছি। ওষুধ ছিটাচ্ছি। এরপরও মশা কমছে না। আমরা এখন ওষুধ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মশা নিধন কাজে ব্যবহৃত দুই সিটি করপোরেশনের ওষুধের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময় নগরবাসীর মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। অনেকেই বলেছেন, মশা নিধন কাজে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে তা মানসম্মত নয়। তাদের অভিযোগ, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মানহীন ওষুধ কিনছেন সংস্থা দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ হোসেনকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন সিরিভ করেননি।
ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা নতুন কোনও নিয়ম নয়। আমরা অনেক আগ থেকেই এই নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা করে আসছি। পরীক্ষায় শতভাগ মশা না মরলেও ফলাফল যথেষ্ট সন্তোষজনক। এই পরীক্ষাটি ছাড়াও দুটি ল্যাবের মাধ্যমে ওষুধের আরও দুইটি গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। সবক’টি ফলাফল সন্তোষজনক হলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ওষুধ কেনা হবে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীতে মশা নিধনের জন্য প্রতিবছর অর্ধশত কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে দুই সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি)।
No comments