বাংলাদেশের রাজনীতিতে নয়া মেরূকরণ by জোসেফ আলচিন
দুর্নীতি
পর্যবেক্ষণ সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক দুর্নীতি
ধারণা (করাপশন পারসেপশন) সূচকে বাংলাদেশ প্রায়ই তলানির দিকেই থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা একটি দুর্নীতি কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশটির সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান আইনি জটিলতার
সম্মুখীন- এ নিয়ে বোধ হয় তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু বাংলাদেশের
রাজনৈতিক বিকল্পও খুব একটা নেই। স্বাধীন দেশ হওয়ার পর থেকে সামরিক শাসন
ব্যতীত বাংলাদেশ কেবল দু’টি রাজনৈতিক পরিবারকেই চিনে এসেছে। একটির নেতৃত্বে
আছেন খালেদা জিয়া। অপরটির হাল ধরে আছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাদের যুগ দৃশ্যত পার হয়ে যাচ্ছে। খালেদা কারাগারে নির্জীব সময় পার করছেন। আগামী নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার সম্ভাবনা কম। কঠিন কিছু রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে ভবিষ্যৎ হাজির হয়েছে, যার উত্তর আরো বেশি কঠিন।
১৯৯১ সালে গণআন্দোলনের মুখে সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতনের পর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে দু’টি শত্রুভাবাপন্ন স্তম্ভ। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে তথাকথিত মধ্য-বাম বা ধর্মনিরপেক্ষ শাসক দল আওয়ামী লীগ ও মধ্য-ডানপন্থি বিএনপি’র মধ্যে। ভোটারদের মধ্যে সরকার-বিরোধী প্রবণতা থাকার ফলে সৃষ্ট এই ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশটিতে বহুত্ববাদের আবির্ভাব দেখা গেছে। কিন্তু কাঠামোগতভাবে দেখলে এই ব্যবস্থার মানে হলো, ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সব ভোগ করেছে সমাজের কিছু অংশ।
গণতন্ত্রের বাহ্যিক চেহারায় এই বিষয়টি চাপা পড়েছিল যে, দুই প্রধান দলের নিয়ন্ত্রণেই কিন্তু দুই রাজনৈতিক দুই সদস্যরা। এই দুই পরিবারের হর্তাকর্তাদের পার্শ্বচরিত্ররা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার পিরামিডের চূড়া পরিবর্তিত হয়নি। ব্যত্যয় কেবল ২০০৭ সালের চূড়ান্ত বিচারে ব্যর্থ সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসনামল।
দুই পরিবারের মধ্যে ক্ষমতা পালাবদলের এই ব্যবস্থার ইতি ঘটে এই ফেব্রুয়ারিতে, যখন দীর্ঘদিন ধরে চলা ওই দুর্নীতি মামলায় শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া দণ্ডিত হন। সম্ভবত, নির্বাচনের বছরে এই মামলার রায় হওয়াটা কাকতালীয় কিছু নয়। তবে ২০১৪ সালের প্রথম থেকেই এই রাজনৈতিক চক্র ভঙ্গুর বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল।
রক্তক্ষয়ী ২০১৩ পেরিয়ে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়। বিএনপি ওই নির্বাচন বয়কট করেছিল। প্রতিবাদ হয়েছিল সহিংস। তবে পুলিশি জবাবও ছিল কঠোর।
এর ফলে বাংলাদেশের চিরাচরিত পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সম্পর্ক শীতল হয়ে যায়। এই দেশগুলো আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিল। উদ্বেগ মূলত ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান বাতিল হওয়া নিয়ে। পশ্চিমা সমালোচনার কারণে সরকার ওই দেশগুলোর কূটনীতিকদের বর্জন করে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এর পর আওয়ামী লীগ খুশি মনে চীনমুখী হয়। চীনের সঙ্গে দহরম মহরমে আবার অসন্তুষ্ট হয় ভারত, যেই দেশটি কিনা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত পৃষ্ঠপোষক।
উভয় নেতাই এখন সত্তরের কোঠায়। ২০০৯ থেকে ক্ষমতায় আছেন শেখ হাসিনা। প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়েও বেশি বলিষ্ঠতা নিয়ে তিনি সামনের দিনগুলোতেও ক্ষমতায় থাকবেন বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। আইনি হয়রানির কারণে খালেদা জিয়ার নিষ্প্রভতার মানে হলো, হাসিনার আপাত একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু এই দৃশ্যকল্প দেশটির জন্য আরো বড় জটিল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামো কি নতুন নেতৃত্ব বেছে নেয়া ও মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম?
এটি এখনো অস্পষ্ট যে, যখন বাংলাদেশি রাজনীতির দুই মহারথী যখন আর ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন কী ঘটবে। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা দৃশ্যত গণতন্ত্র নিয়ে এখন থোড়াই কেয়ার করেন।
বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার ফলে চরমপন্থার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাবন্দিত্ব, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ন্যূনতম রাজনৈতিক সুযোগ না দেয়া থেকে আরো চরমধারার সংগঠন ও কর্মকাণ্ডের দেখা মিলতে পারে। চরম ঘরানার ইসলামিজমের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতে পারে মানুষের রাজনৈতিক বহিঃপ্রকাশ।
রাজনীতি বিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, নামেমাত্র বিরোধী দল গঠনে সরকার হয়তো ইসলামী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী মাদরাসা-ভিত্তিক আন্দোলন হেফাজতে ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ নীতিমালার বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে প্রতিবাদ সংঘটনের জন্য পরিচিত। দুই বড় দলই অতীতে ইসলামিস্টদের সঙ্গে জোট গঠন করতে চেয়েছে। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এখন মনে করেন, হেফাজতই হয়ে যেতে পারে সম্ভাব্য ক্ষমতা নির্ধারক।
অতীতে হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি; সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৩ সালে, যখন নাস্তিকদের ওপর সহিংস হামলা চলছিল। বিএনপি তখন দাবি করেছিল, শাসক দল আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন দৃশ্যত হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলেছে। হেফাজতের নেতাকে দলটি সম্মানও দেখিয়েছে।
আরেকটি ইসলামী দল হলো ইসলামী আন্দোলন যেটি ৩০০টি সংসদীয় আসনেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ এমন এক গোষ্ঠীর বিপরীতে দাঁড়াবে, যারা একটি গ্রিক বিচারের দেবির ভাস্কর্য সরানো না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল।
ভোটাররা হয়তো দেখবেন যে, তাদের সামনে বিকল্প মাত্র দু’টো। এক. একদলীয় শাসন ও দুই. কট্টরপন্থি ইসলামী শাসন। আওয়ামী লীগ বাজি ধরলেও, অনেক ভোটার হয়তো দ্বিতীয়টি বেছে নিতে পারেন।
(জোসেফ আলচিন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি দ্য ইকোনমিস্ট, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস সহ বহু প্রকাশনার হয়ে কাজ করেছেন। ‘বাংলাদেশ: ব্রেকিং উইথ ডিনাস্টি’ শীর্ষক তার এই নিবন্ধ লোয় ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।)
তাদের যুগ দৃশ্যত পার হয়ে যাচ্ছে। খালেদা কারাগারে নির্জীব সময় পার করছেন। আগামী নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারার সম্ভাবনা কম। কঠিন কিছু রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে ভবিষ্যৎ হাজির হয়েছে, যার উত্তর আরো বেশি কঠিন।
১৯৯১ সালে গণআন্দোলনের মুখে সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের পতনের পর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে দু’টি শত্রুভাবাপন্ন স্তম্ভ। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে তথাকথিত মধ্য-বাম বা ধর্মনিরপেক্ষ শাসক দল আওয়ামী লীগ ও মধ্য-ডানপন্থি বিএনপি’র মধ্যে। ভোটারদের মধ্যে সরকার-বিরোধী প্রবণতা থাকার ফলে সৃষ্ট এই ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশটিতে বহুত্ববাদের আবির্ভাব দেখা গেছে। কিন্তু কাঠামোগতভাবে দেখলে এই ব্যবস্থার মানে হলো, ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সব ভোগ করেছে সমাজের কিছু অংশ।
গণতন্ত্রের বাহ্যিক চেহারায় এই বিষয়টি চাপা পড়েছিল যে, দুই প্রধান দলের নিয়ন্ত্রণেই কিন্তু দুই রাজনৈতিক দুই সদস্যরা। এই দুই পরিবারের হর্তাকর্তাদের পার্শ্বচরিত্ররা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার পিরামিডের চূড়া পরিবর্তিত হয়নি। ব্যত্যয় কেবল ২০০৭ সালের চূড়ান্ত বিচারে ব্যর্থ সংক্ষিপ্ত সামরিক শাসনামল।
দুই পরিবারের মধ্যে ক্ষমতা পালাবদলের এই ব্যবস্থার ইতি ঘটে এই ফেব্রুয়ারিতে, যখন দীর্ঘদিন ধরে চলা ওই দুর্নীতি মামলায় শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া দণ্ডিত হন। সম্ভবত, নির্বাচনের বছরে এই মামলার রায় হওয়াটা কাকতালীয় কিছু নয়। তবে ২০১৪ সালের প্রথম থেকেই এই রাজনৈতিক চক্র ভঙ্গুর বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল।
রক্তক্ষয়ী ২০১৩ পেরিয়ে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়। বিএনপি ওই নির্বাচন বয়কট করেছিল। প্রতিবাদ হয়েছিল সহিংস। তবে পুলিশি জবাবও ছিল কঠোর।
এর ফলে বাংলাদেশের চিরাচরিত পশ্চিমা অংশীদারদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সম্পর্ক শীতল হয়ে যায়। এই দেশগুলো আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিল। উদ্বেগ মূলত ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিধান বাতিল হওয়া নিয়ে। পশ্চিমা সমালোচনার কারণে সরকার ওই দেশগুলোর কূটনীতিকদের বর্জন করে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এর পর আওয়ামী লীগ খুশি মনে চীনমুখী হয়। চীনের সঙ্গে দহরম মহরমে আবার অসন্তুষ্ট হয় ভারত, যেই দেশটি কিনা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত পৃষ্ঠপোষক।
উভয় নেতাই এখন সত্তরের কোঠায়। ২০০৯ থেকে ক্ষমতায় আছেন শেখ হাসিনা। প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়েও বেশি বলিষ্ঠতা নিয়ে তিনি সামনের দিনগুলোতেও ক্ষমতায় থাকবেন বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। আইনি হয়রানির কারণে খালেদা জিয়ার নিষ্প্রভতার মানে হলো, হাসিনার আপাত একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু এই দৃশ্যকল্প দেশটির জন্য আরো বড় জটিল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামো কি নতুন নেতৃত্ব বেছে নেয়া ও মসৃণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম?
এটি এখনো অস্পষ্ট যে, যখন বাংলাদেশি রাজনীতির দুই মহারথী যখন আর ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন কী ঘটবে। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা দৃশ্যত গণতন্ত্র নিয়ে এখন থোড়াই কেয়ার করেন।
বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার ফলে চরমপন্থার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাবন্দিত্ব, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ন্যূনতম রাজনৈতিক সুযোগ না দেয়া থেকে আরো চরমধারার সংগঠন ও কর্মকাণ্ডের দেখা মিলতে পারে। চরম ঘরানার ইসলামিজমের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতে পারে মানুষের রাজনৈতিক বহিঃপ্রকাশ।
রাজনীতি বিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, নামেমাত্র বিরোধী দল গঠনে সরকার হয়তো ইসলামী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী মাদরাসা-ভিত্তিক আন্দোলন হেফাজতে ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ নীতিমালার বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে প্রতিবাদ সংঘটনের জন্য পরিচিত। দুই বড় দলই অতীতে ইসলামিস্টদের সঙ্গে জোট গঠন করতে চেয়েছে। অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এখন মনে করেন, হেফাজতই হয়ে যেতে পারে সম্ভাব্য ক্ষমতা নির্ধারক।
অতীতে হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি; সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৩ সালে, যখন নাস্তিকদের ওপর সহিংস হামলা চলছিল। বিএনপি তখন দাবি করেছিল, শাসক দল আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখন দৃশ্যত হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলেছে। হেফাজতের নেতাকে দলটি সম্মানও দেখিয়েছে।
আরেকটি ইসলামী দল হলো ইসলামী আন্দোলন যেটি ৩০০টি সংসদীয় আসনেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ এমন এক গোষ্ঠীর বিপরীতে দাঁড়াবে, যারা একটি গ্রিক বিচারের দেবির ভাস্কর্য সরানো না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল।
ভোটাররা হয়তো দেখবেন যে, তাদের সামনে বিকল্প মাত্র দু’টো। এক. একদলীয় শাসন ও দুই. কট্টরপন্থি ইসলামী শাসন। আওয়ামী লীগ বাজি ধরলেও, অনেক ভোটার হয়তো দ্বিতীয়টি বেছে নিতে পারেন।
(জোসেফ আলচিন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি দ্য ইকোনমিস্ট, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস সহ বহু প্রকাশনার হয়ে কাজ করেছেন। ‘বাংলাদেশ: ব্রেকিং উইথ ডিনাস্টি’ শীর্ষক তার এই নিবন্ধ লোয় ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।)
No comments