এনসিটিবিতে ৬৭৮ কোটি টাকার অডিট আপত্তি by নূর মোহাম্মদ
জাতীয়
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ৭১
হাজার টাকার অডিট আপত্তি উঠেছে। বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপা, কাগজ-কালি
কেনা, নিয়মবহির্ভূতাবে সম্মানী নেয়াসহ নানা খাতে এসব আর্থিক অভিযোগ উঠেছে।
১৯৭৯-৮০ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এসব আপত্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অডিট আপত্তি
উঠেছে বর্তমান চেয়ারম্যানের সময় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। এ অর্থবছরে ৪০ অডিট
আপত্তিতে ২৫১ কোটি ৫ লাখ টাকার অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে বিগত বছরের
১২টি অডিট আপত্তিতে ১১ কোটি ৭২ লাখ। বাকি সব আপত্তি বর্তমান চেয়ারম্যানের
সময়। আর বিগত বছরগুলোর ১৪৮টি অডিট আপত্তি যা বছরের পর বছর নিষ্পত্তি হয়নি,
যার আর্থিক পরিমাণ ৪২৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি এনসিটিবির
চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক অডিট প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৮টি অডিট আপত্তি রয়েছে।
তাতে টাকার পরিমাণ ২৩৯ কোটি ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। গুরুত্বপূর্ণ অডিট
আপত্তি রয়েছে ওই বছরের দাখিল স্তরের বইয়ের চেয়ে মাধ্যমিক স্তরের বই বেশি
দরে ছাপার কারণে ৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। দরপত্রে উল্লিখিত সংখ্যার চেয়ে বেশি
বই ছাপানোয় ১০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বই পরিবহনে সার্ভিস চার্জ বাবদ অতিরিক্ত
খরচ করায় ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৮ অডিট আপত্তির মধ্যে সাতটি নিষ্পত্তি হয়েছে বলে এনসিটিবির হিসাব শাখার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তাদের মতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এনসিটিবিতে অডিট আপত্তির পরিমাণ কম। এ ছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় দেড় কোটি টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যানের সম্মানীর পরিমাণ প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
তবে এটাকে আর্থিক অনিয়ম বা অডিট আপত্তি মানতে নারাজ এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তিনি মানবজমিনকে বলেন, এটা অডিট আপত্তি না, পর্যবেক্ষণ। কারণ তারা যখন অডিট করতে আসে তাৎক্ষণিক সব কাগজপত্র দেয়া সম্ভব হয় না। পরবর্তীতে চাহিদা মাফিক কাগজপত্র দেয়ার পর তা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। তিনি জানান, যেসব অডিট আপত্তি উঠেছে তা নিষ্পত্তি হওয়ার মতো। বিগত বছরের অডিটগুলো কেন নিষ্পত্তি হয়নি এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান কাগজপত্র দেখে বলতে হবে জানান।
বিগত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে এই আর্থিক অনিয়ম নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আসছে এনসিটিবি। সমপ্রতি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নানা অনিয়ম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রকাশ পায়।
এনসটিবির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫-১৬ সালে ৪০টি অডিট আপত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় ২৫১ কোটি ৫ লাখ টাকার অডিট আপত্তি উঠেছে। ২০১৪-১৫ সালে ১৪টি অডিট আপত্তিতে ৩ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০৬ টাকার অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর আগে ২০১৩-১৪ সালে ২০টি অডিট আপত্তিতে ৭৩ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৯ টাকা এবং ২০১০ থেকে ২০১৩ সালে ১৭টি অডিট আপত্তিতে ৮ কোটি ৮০ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৪ টাকার অনিয়ম হয়। এ ছাড়া ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সালে ৮৫টি অডিট আপত্তিতে মোট ৩৪২ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ টাকার অনিয়ম হয়েছিল। তবে সর্বশেষ বছর পর্যন্ত ১৪৮টি অডিট আপত্তি যা নিষ্পত্তি হয়নি। টাকা হিসেবে এর পরিমাণ ৪২৯ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেনাকাটা, সম্মানী নেয়াসহ বিভিন্ন কারণে এসব অডিট আপত্তি ওঠে। তৎকালীন চেয়ারম্যানরা এসব অডিট নিষ্পত্তি না হওয়ায় এগুলো জমে আছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যানের সময় সবচেয়ে বেশি অডিট উঠায় হতবাক কর্মকর্তারা।
কোন কোন খাতে অডিট উঠেছে তা জানতে এনসিটিবির বাজেট ও অডিট অফিসার আবদুল হামিদের রুমে গেলে এ বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপার তথ্য দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র চেয়াম্যানের।
গত বছর টিআইবির প্রতিবেদনে সংস্থাটিতে ২০টি ধাপের মধ্যে ১৬ ধাপে দুর্নীতি অনিয়ম হয় বলা হয়। এখানে রাজনৈতিক প্রভাব ও অনিয়ম-দুর্নীতি, আইনবহির্ভূত সম্মানী প্রাপ্তিসহ নানা অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে এনসিটিবির প্রতিবেদনে। বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে আছে এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী নেয়। এ খাতে ২০১৭ সালে ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা ও ২০১৬ সালে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সর্বশেষ মহাহিসাব নিরীক্ষকের (সিএজি) নিরীক্ষায় এ বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করা হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, ১৯৭৩ সালের মুদ্রণ আইন অনুযায়ী যারা কাজ পাবেন তাদেরই তা করার কথা। কিন্তু বেশির ভাগই মুদ্রণ, বাঁধাই ও লেমিনেশনের ক্ষেত্রে সাব-কন্ট্রাক্টে দিয়ে থাকে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআই সনদবিহীন মিলগুলোর কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাগজও কিনে থাকে। একাধিক কাগজ মিল মানসম্মত কাগজ সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত হলেও পরবর্তী বছরে তাদের কাছ থেকে কাগজ কেনা হয়। পর্যাপ্ত কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতার ঘাটতি, সময়মতো কাগজ সরবরাহ করতে না পারা, চুক্তিবদ্ধ মাপ অনুযায়ী কাগজ সবররাহ না করলেও তাদের কাগজে বই ছাপা হচ্ছে। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের একাংশের আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এসব অনিয়মের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এনসিটিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জিম্মি। গবেষণাসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের লোক বসার কথা থাকলেও বেশির ভাগই বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা এসব দখল করে রেখেছে। তাদের প্রেষণে এখানে পদায়ন করা হয়। তারা একই কাজ করলেও নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি বছরে পাঁচ থেকে ছয়টি বোনাস পান। এরপরও আবার বিভিন্ন কাজে সম্মানি গ্রহণ করে থাকেন। পাঠ্যবই মুদ্রণের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা রকম সুবিধাও নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২৮ অডিট আপত্তির মধ্যে সাতটি নিষ্পত্তি হয়েছে বলে এনসিটিবির হিসাব শাখার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন। তাদের মতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এনসিটিবিতে অডিট আপত্তির পরিমাণ কম। এ ছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রায় দেড় কোটি টাকা সম্মানী নিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যানের সম্মানীর পরিমাণ প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
তবে এটাকে আর্থিক অনিয়ম বা অডিট আপত্তি মানতে নারাজ এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা। তিনি মানবজমিনকে বলেন, এটা অডিট আপত্তি না, পর্যবেক্ষণ। কারণ তারা যখন অডিট করতে আসে তাৎক্ষণিক সব কাগজপত্র দেয়া সম্ভব হয় না। পরবর্তীতে চাহিদা মাফিক কাগজপত্র দেয়ার পর তা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। তিনি জানান, যেসব অডিট আপত্তি উঠেছে তা নিষ্পত্তি হওয়ার মতো। বিগত বছরের অডিটগুলো কেন নিষ্পত্তি হয়নি এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান কাগজপত্র দেখে বলতে হবে জানান।
বিগত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে এই আর্থিক অনিয়ম নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আসছে এনসিটিবি। সমপ্রতি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের নানা অনিয়ম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রকাশ পায়।
এনসটিবির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫-১৬ সালে ৪০টি অডিট আপত্তিতে বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় ২৫১ কোটি ৫ লাখ টাকার অডিট আপত্তি উঠেছে। ২০১৪-১৫ সালে ১৪টি অডিট আপত্তিতে ৩ কোটি ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০৬ টাকার অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর আগে ২০১৩-১৪ সালে ২০টি অডিট আপত্তিতে ৭৩ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৯ টাকা এবং ২০১০ থেকে ২০১৩ সালে ১৭টি অডিট আপত্তিতে ৮ কোটি ৮০ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৪ টাকার অনিয়ম হয়। এ ছাড়া ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সালে ৮৫টি অডিট আপত্তিতে মোট ৩৪২ কোটি ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ টাকার অনিয়ম হয়েছিল। তবে সর্বশেষ বছর পর্যন্ত ১৪৮টি অডিট আপত্তি যা নিষ্পত্তি হয়নি। টাকা হিসেবে এর পরিমাণ ৪২৯ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেনাকাটা, সম্মানী নেয়াসহ বিভিন্ন কারণে এসব অডিট আপত্তি ওঠে। তৎকালীন চেয়ারম্যানরা এসব অডিট নিষ্পত্তি না হওয়ায় এগুলো জমে আছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যানের সময় সবচেয়ে বেশি অডিট উঠায় হতবাক কর্মকর্তারা।
কোন কোন খাতে অডিট উঠেছে তা জানতে এনসিটিবির বাজেট ও অডিট অফিসার আবদুল হামিদের রুমে গেলে এ বিষয়ে তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপার তথ্য দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র চেয়াম্যানের।
গত বছর টিআইবির প্রতিবেদনে সংস্থাটিতে ২০টি ধাপের মধ্যে ১৬ ধাপে দুর্নীতি অনিয়ম হয় বলা হয়। এখানে রাজনৈতিক প্রভাব ও অনিয়ম-দুর্নীতি, আইনবহির্ভূত সম্মানী প্রাপ্তিসহ নানা অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে এনসিটিবির প্রতিবেদনে। বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে আছে এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী নেয়। এ খাতে ২০১৭ সালে ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা ও ২০১৬ সালে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সর্বশেষ মহাহিসাব নিরীক্ষকের (সিএজি) নিরীক্ষায় এ বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করা হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। টিআইবির গবেষণায় বলা হয়, ১৯৭৩ সালের মুদ্রণ আইন অনুযায়ী যারা কাজ পাবেন তাদেরই তা করার কথা। কিন্তু বেশির ভাগই মুদ্রণ, বাঁধাই ও লেমিনেশনের ক্ষেত্রে সাব-কন্ট্রাক্টে দিয়ে থাকে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআই সনদবিহীন মিলগুলোর কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাগজও কিনে থাকে। একাধিক কাগজ মিল মানসম্মত কাগজ সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগে কালো তালিকাভুক্ত হলেও পরবর্তী বছরে তাদের কাছ থেকে কাগজ কেনা হয়। পর্যাপ্ত কাগজ উৎপাদনের সক্ষমতার ঘাটতি, সময়মতো কাগজ সরবরাহ করতে না পারা, চুক্তিবদ্ধ মাপ অনুযায়ী কাগজ সবররাহ না করলেও তাদের কাগজে বই ছাপা হচ্ছে। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের একাংশের আর্থিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এসব অনিয়মের অন্যতম কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এনসিটিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জিম্মি। গবেষণাসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের লোক বসার কথা থাকলেও বেশির ভাগই বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা এসব দখল করে রেখেছে। তাদের প্রেষণে এখানে পদায়ন করা হয়। তারা একই কাজ করলেও নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি বছরে পাঁচ থেকে ছয়টি বোনাস পান। এরপরও আবার বিভিন্ন কাজে সম্মানি গ্রহণ করে থাকেন। পাঠ্যবই মুদ্রণের প্রতিষ্ঠান থেকে নানা রকম সুবিধাও নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
No comments